We need some fresh air to regain our energy and enthusiasm.
আজকে আবার বেরিয়ে পড়লাম অজানার উদ্দেশ্যে।এই করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি কাজ ছাড়া তেমন একটা বেরোনো হয়না।সারাদিন কেটে যায় ঘরে বসে বসে।তাই মাঝে মাঝে মনটাকে সজীব করার জন্য প্রয়োজন হয় একটু মুক্ত পরিবেশ ও বিশুদ্ধ হাওয়ার।আর যখনই আমার দমবন্ধ লাগে তখনই আমার bike অথবা scooty নিয়ে বেরিয়ে পড়ি অজানার উদ্দেশ্যে।
আজ সকাল থেকেই একটু বেরোনোর mood এ ছিলাম।তাই ঘড়ির কাঁটায় বিকেল 4 টা বাজতে বেরিয়ে পড়লাম কোনো এক গ্রামের নির্মল পরিবেশের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে।জায়গাটি আমার এলাকা থেকে 18 km দূরে।রাস্তাটি খুবই smoot ও bike চালানোর জন্য খুবই আদর্শ।5 km পথ যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গেল গ্রাম্য পরিবেশ।চারিদিকে সবুজের মিছিল নেমেছে যেন।মনে হচ্ছে বিশাল সবুজের বুক ছিড়ে একে বেঁকে চলে গেছে কালো পিচ ঢালা রাস্তা টা।
এই ভয়াবহ virus এর ভয়ে কোনো গ্রামের মানুষ ঘরে বসে নেই।কারণ বেশি দিন ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই তাদের।ঘরে সঞ্চিত অর্থ বলতে তেমন কিছু নেই যে দিনের পর দিন ঘরে বসে বসে খাবে।তাই খাবারের সন্ধানে প্রতিদিন ই প্রত্যেকে নিজের নিজের জীবিকা নির্বাহ করছে।কেউ ভ্যান গাড়ি চালিয়ে টাকা উপার্জন করছে ,কেউ আবার বসে আছে সবজির বাস্কেট সাজিয়ে।কোথাও দেখতে পেলাম গৃহ নির্মাণে প্রচুর শ্রমিক এক জোট হয়ে কাজ করছে ।তাদের ভিতর কোনো স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব নেই।কারণ তাদের এই বিধি নিষেধ মানতে গেলে ঘরে স্ত্রী সন্তানেরা থাকবে অনাহারে।তাদের মাথায় শুধু দিনের শেষে খাবার জোগাড়ের চিন্তা।এই খিদে মেটানোর যুদ্ধে করোনা যেন এক সাধারণ ব্যাধি।
এইটাই আমাদের ভারতের আসল ছবি।অনিন্দ্যসুন্দর এই ভারতের হৃদয়ে ও প্রচুর দুঃখ বাস করে ।তারই প্রমাণ পাওয়া যায় গ্রাম বাংলার পরিশ্রমী মানুষের মুখের ভঙ্গিমাতে।
এই ভাবে আমার bike চালিয়ে যেতে যেতে দেখতে পেলাম রাস্তার ধারে বসে একদম উঠতি যুবক বসে আড্ডা মারছে।করো মুখে musk নেই।হয়তো এরা এই মহামারির আসল গুরুত্ব বোঝেনি অথবা এই অনিবার্য দুর্দশাকে মেনে নিয়েছে।যা আছে ভাগ্যে তাতেই ভরসা রেখে জীবন যাপন করছে।আবার কোথাও দেখতে পেলাম রাস্তার ধারে নতুন বিরিয়ানি খাবার রেস্তোরাঁ আবার কোথাও চায়ের আড্ডা।এগুলো সত্যিই আমাকে পীড়িত করলো।এবং প্রতিদিন ভারতে করোনা পরিস্তিতি কেন এত খারাপ হচ্চে এই সব দৃশ্য তারই দৃষ্টান্ত।
এই ভাবে দুইপাশে অনেক কিছু দেখতে দেখতে আমি এগিয়ে চলেছি।এক সময় দেখলাম রাস্তার দুই পাশে পাতলা কাঠের বোর্ড রোদে শুকাতে দিয়েছে।যা রাস্তাকে যেন অন্য রকম রূপে রূপায়িত করেছে।
আরো কিছুদূর যাওয়ার পর একদম ফাঁকা জায়গা দেখে আমার scooty টি থামালাম।এরপর ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।স্মার্ট ফোন কয়েকটি গান ও শুনলাম।আর পর আস্তে আস্তে আলো কমে যেতে লাগলো।সূর্য ও অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে আজকের মতো।আমিও আমার bike start করলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
Foto yang luar biasa
চমৎকার অনুভুতি।
ভালো লিখেছেন ভাইয়া। এই পরিস্থিতিতে মন মানসিকতা ভালো রাখার জন্য অবশ্যই একটু নিরিবিলি পরিবেশে ঘোরাঘুরির দরকার আছে।
নিরিবিলি পরিবেশে ঘোরাফেরার দরকার আছে এতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হয় কিন্তু বাহিরে গিয়ে যখন দেখা যায় এতো কঠিন অবস্থাতেও মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা তখন সেটা অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাল লিখেছেন আপনি।
ভাই চমৎকারভাবে কিছু সময় উপভোগ করেছেন মনে হচ্ছে। হ্যা, প্রকৃতি এবং তার মাঝে অবস্থিত সকল কিছুেই আমাদের সময়কে উপভোগ্য করতে এবং আমাদের আরো বেশী সতেজ রাখতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।