গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাজার করার অভিজ্ঞতা। 🐋🐳
কেমন আছেন আমার বিউটি অফ ক্রিটিভিটি ব্লগ এর বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
গত বৃহস্পতিবার দিন আমি আমার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে গিয়েছিলাম। আমি ঢাকাতে থাকলেও দেখা যায় ২-৩ সপ্তাহ পর পরই বাড়িতে যাই এটা আমার সেই স্টুডেন্ট লাইফের অভ্যাস।এবার বাড়িতে গিয়ে আমি অনেক উপভোগ করেছি। আমাদের বাড়িতে অনেক অনেক আম গাছ আছে। আর এখন গাছের প্রায় সব আম ই পেকে যাচ্ছে তাই বাড়িতে গিয়ে প্রচুর আম খাওয়া হয়েছ। আম দুধ খাওয়া এটিতো গ্রাম অঞ্চলের একটি প্রচলিত খাবার। এবার বাড়িতে গিয়ে আমার অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতা ও হয়েছে। সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা যেটা সেটা হল মাছের বাজারে গিয়ে মাছ কেনা। বাজার করতে আমার বেশ ভালোই লাগে। এবার আমি বাজার করতে গিয়েছিলাম পাবনা বেড়াতে। এত দূরে গিয়ে টাটকা মাছ কেনার অভিজ্ঞতাটা সত্যিই অন্যরকম। চলুন তাহলে আজকে আপনাদের সাথে সেই গল্পই শেয়ার করি।
আমি শনিবারে সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ি থেকে বের হই পাবনা বেড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমার বেড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যই হল টাটকা জিনিসপত্র বাজার করা। বেড়া মাছের বাজারে গিয়ে আমার বেশ ভালো লাগলো কেননা এখানে প্রচুর মাছ ছিল। প্রায় বেশিরভাগ মাছ ই ছিল নদীর আর তাজা। তো আমি বড় মাছ দেখতে শুরু করলাম।
এইতো দেখতে পাচ্ছেন বেশ বড় বড় তাজা মাছ ছিল বাজারে। এখানে সিলভার কাতল এবং রুই মাছ ছিল। এই ৩ প্রজাতির মাছের ভেতর কাতল মাছ টাই আমার একটু ভালো লাগে। তাই মাছগুলোর মধ্যে থেকে আমি 7 কেজি ওজনের এই কাতল মাছটি কিনি।এটির দাম ৩০০০ টাকা পড়েছিল। কাতল মাছ টি বেশ বড় এবং তাজা ছিল। মাছটি আমি জেলেদের দিয়েই কেটে নিয়েছিলাম।
এই বাজারে অনেক নদীর ছোট মাছ ছিল। আর বরাবরের মতোই আমার বড় মাছের চাইতে ছোট মাছের প্রতি লোভ অনেক বেশি। তো আমি ছোট মাছ দেখতে শুরু করলাম।
এখানে অনেক সুন্দর নদীর টেংরা মাছ ছিল। আর টেংরা মাছ আমার বেশ ভালই লাগে। তাই কিছু টেংরা মাছ নিয়ে নিলাম। আর আর এক ধরনের মাছ ছিল যার নাম আমাদের গ্রামে বলে কাকলাস মাছ।এই মাছটি আমার পছন্দের না তাই আর নেওয়া হয়নি ।
অন্যান্য দোকানে আমি আরো ছোট মাছ দেখতে লাগলাম। আর সেখানে চিংড়ি সহ বেশ ভালো ভালো মাছ ছিল।
এখানে নদীর তাজা চিংড়ি আর বাচা মাছ ছিল।চিংড়িগুলো এতটাই তাজা ছিল যে এগুলো নড়ছিল। আমি আর দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না কিছু চিংড়ি আর বাঁচা মাছ কিনেনিলাম।
এই বাজারের সবচেয়ে যে মাছগুলো আমার বেশি ভালো লেগেছিল সেগুলো হল চিংড়ি মাছ।এখানে বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি ছিল এবং সবগুলোই অনেক টাটকা আর তাজা ।
তাই আমি এখান থেকে বেশ অনেক চিংড়ি মাছ কিনেছিলাম।
এই মাছটিকে বাঘার মাছ বলে। আমি অলরেডি অনেক মাছ কিনে ফেলেছিলাম বলে এই মাছগুলো আর নেইনি। তবে এই মাছগুলো বেশ তাজা ছিল।
মাছের বাজারে এই মেশিনটি দেখে আমার আরও একটি নতুন অভিজ্ঞতা হয়। এটি বরফ তৈরি করার মেশিন। এখানে বরফ কাটা হয়। যে বরফগুলো দিয়ে মাছকে জেলেরা সতেজ রাখে।
আমি আমার বাজার শেষ করে সাড়ে নয়টার দিকে বাড়িতে ফিরি।আমি বাজার থেকে প্রায় মোট ৮-৯ হাজার টাকার মাছ নিয়েছিলাম বাড়ির সবাই এতগুলো তাজা মাছ দেখে অনেক খুশি হয়। আর তারা আমাদের বাড়িতে উঠোন মাছগুলো কাটতে বসে।
পাবনা বেড়া থেকে মাছ কিনে আমার বেশ ভালই লেগেছে। তাই আপনাদের সাথে এই মাছ কেনার ব্লগটি শেয়ার করলাম।আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন।আজকে এ পর্যন্তই বন্ধুরা পরবর্তীতে হাজির হব আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি।
ফটো মেকার : Asraful islam
ডিভাইস : Samsung Galaxy
লোকেশন :পাবনা।