1000 DAYS OF STEEM:_The Diary Game - 10/08/2020
আসসালামুআলাইকুম
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিনের মত আজকেও সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। শেষ হওয়ার পর সকালের নাস্তাটা সেরে ফেললাম। সকালের নাস্তায় ছিল রুটি ও গরুর মাংস। কিছুদিন আগেই চলে গেল কোরবানির ঈদ। আর সেই কারণেই ফ্রিজ ভর্তি মাংস তো আছেই। মাংস দিয়ে রুটি খেতে আমার খুব ভালোলাগে এটি সত্যিই খুব সুস্বাদু। আমার মনে হয় প্রায় প্রত্যেকেরই এটা পছন্দের একটা খাবার। শুধু কেউ কেউ খেতে পারে না তাদের কোন না কোন সমস্যার কারণে। কারো হয়তো হাই প্রেসারের কারণে গরুর মাংস খাওয়া বারণ অথবা কারো এলার্জি। কিন্তু আমার তো কোন কাজ নেই তাই মজা করে মনের মত করে গরুর মাংস দিয়ে রুটি খেলাম।
খাবার শেষ করে আমার রুমে এসে মোবাইল ফোনটা হাতে নিলাম। মোবাইল হাতে নিয়ে নেটটা অন করে কিছুক্ষণ ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করলাম চারিদিকের খবরা খবর নেয়ার জন্য। আসলে নিউজফিডে করলে দেখা যায় অনেক খবর চোখের সামনে চলে আসে সেটা হোক ভালো হোক বা খারাপ। তেমনি একটা খবর আজকেও আমার সামনে চলে এলো। খবরটা ছিল আমার এক আত্মীয় মৃত্যুর খবর। এটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। যদিও কতটা কাছের আত্মীয় না তবুও শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আসলে মানুষ মাত্রই মরণশীল যে জন্ম নিয়েছে তার মরণের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তবুও কেন জানি না এই চরম সত্যিটা আমরা কেউ সহজে মানতে পারিনা । অতঃপর কিছুক্ষণ পড়ে বের হলাম তার জানাজা নামাজে যাওয়ার জন্য। জানাজার নামাজে অনেক মানুষ এসেছিল।সেখানে আরও অনেক আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা-সাক্ষাত ফোনে কথা-বার্তা হলো। এরপর আজান পরল। সবাই মিলে নামাজ পড়লাম আর নামাজের পর শুরু হলো জানাজা। জানাজা শেষ করে কবরস্থানে গিয়ে মাটি দিলাম। অনেক মানুষ জানাজা পরেই চলে গেছিল মাটি দেওয়ার ওইখানে খুব একটা লোক ছিল না। সবাই মিলে মাটি দেওয়ার কাজ শেষ করে কবরস্থান থেকে মোনাজাত করলাম। মোনাজাত শেষে যে যার বাসায় চলে গেল আমিও আমার বাসায় চলে এলাম। বাসায় এসে খুব একটা ভালো লাগছিল না কেমন যেন মনটা খারাপ হয়ে ছিল।
তারপর ভাবলাম এভাবে মন খারাপ করে থেকে কোন লাভ নেই তার চেয়ে বাইরে গিয়ে একটু ঘুরে আসি মনটা ভালো হবে। তারপর গেলাম বাইরে। আজকে বাইরের পরিবেশটা বেশ খানিকটা ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল। আকাশটা হালকা হালকা মেঘে ঢাকা ছিল মিষ্টি মিষ্টি রোদ বেশ ভালোই লাগছিল পরিবেশটা। কিছুক্ষণ বসে থাকতেই এক বড় ভাই এসে বলল চলো ওইদিকে যাই একটু ঘুরে আসি। তখন তার সাথে সামনের দিকে গেলাম। তখন সে বলল চলনা বিকেলে একটু ঘুরে আসি তোমার ক্যামেরাটা নিয়ে আমি বললাম ঠিক আছে। তারপর আমি বাসায় এসে গোসলটা সেরে নিলাম। গোসল শেষ করে দুপুরের খাবার ও শেষ করলাম । আর ক্যামেরা চার্জ দিয়ে রেডি করলাম বিকেলের জন্য। এরপর আমি আমার পিসিটা ওন করে কিছু মিউজিক ভিডিও দেখতে লাগলাম। মিউজিক ভিডিও গুলো দেখতে দেখতে একটা ফানি ভিডিও চোখে পরলো। ফানি ভিডিও টা অন করে দেখলাম বেশ মজাই লাগছিল। আসলে ফানি ভিডিও গুলো অনেক মজারি হয় সবারই মন ভালো করে দেওয়ার মত। পিসিতে অনেকক্ষণ ভিডিও দেখার পর পিসি টা অফ করে বিছানায় একটু শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম। দিতে দিতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পরলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম 4:30 বাজে । এরপর মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলাম । তারপর রুমে এসে বই পড়ছিলাম ।কিছুক্ষণ পরে বড় ভাইয়ের ডাক। আর দেরী না করে বেরিয়ে পড়লাম বড় ভাইয়ের সাথে।
আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালই লাগে। ধরতে গেলে এটা আমার এক প্রকার শখ বলা চলে। আমি ঘুরতে এবং ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি।আর তাই তার সাথে ঘুরতে ঘুরতে আর ফটোগ্রাফি করতে করতে আমার মনটা অনেকটাই ভালো হয়ে গেল। বেশ অনেক ফটোগ্রাফি করলাম কিছু বড় ভাইয়ের ফটোগ্রাফি করে দিলাম আর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি না করে নিয়ে এলাম আমার জন্য। বিশেষ করে সূর্য ডোবার সময় কয়েকটা ফটো তুললাম যেগুলো আমার বেশ ভালো লাগলো। আসলে সূর্য ডোবার সময় ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়। মনে হয় এই পরিবেশটা শুধু ফটোগ্রাফির জন্যই আল্লাহ তৈরি করেছে। উপভোগ করতে করতে ফটোগ্রাফি করলাম।
ঘুরাঘুরি আর ফটোগ্রাফি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে বাসায় চলে এলাম।বাসায় এসে ক্যামেরাটা আবারো চার্জে লাগিয়ে দিয়ে মেমোরি টা খুলে ফোনে উঠিয়ে পিকচার গুলো দেখতে লাগলাম। আজকে প্রায় অনেক গুলোই ভাল ফটোগ্রাফি করে ফেলেছি। ভাল কিনা পুরোপুরি শিওর না তবে আমার কাছে ভালো লেগেছে।যাইহোক ফটোগ্রাফি অনেক হয়েছে সবগুলো পিসিতে ট্রান্সফার করে দিয়ে ফোনটা চার্জে লাগিয়ে দিলাম।
এরপর পিসিতে একটা মুভি বের করে দেখতে লাগলাম। মুভিটা ছিল হলিউডের। এটি একটি বিগ বাজেটের ছবি ছিল যার মধ্যে প্রচুর একশন ছিল। এটি মার্বেল কোম্পানির একটি মুভি । মার্বেলের প্রায় প্রতিটি ছবি আমার দেখা।কেননা মার্বেলের মুভি গুলো অনেক বড় বাজেটের আর অনেক অ্যাকশনে ভরপুর হয়। এইরকম মুভি দেখলে মনটা কেমন যেন চাঙ্গা হয়ে যায়। হলিউডের অধিকাংশ মুভি অনেক বড় বাজেটের হয় এবং অনেক একশন সম্পূর্ণ হয়। তাই আমি হলিউডের মুভিগুলো দেখতেই বেশি পছন্দ করি। মুভি দেখতে দেখতে রাতের খাবার সময় হয়ে গেল। মুভিটা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। রাতের খাবার খেয়ে রুমে আসতেই কেমন যেন ঘুমঘুম লাগল। তাই আর দেরি না করে ঘুমানোর জন্য বিছানায় চলে গেলাম । কিন্তু কি আর করব কালকের মত আজকেও কারেন্ট চলে গেল। গরমে ঘুম আর হলো না তাই একটু ফেসবুকে ঢুকে ঘুরতে লাগলাম।
ফেসবুকে কিছু-কিছু পোষ্ট দেখতে বেশ ভালই লাগে। এখানে অনেকে অনেক রকম ট্যালেন্ট তুলে ধরে। সবাই চায় নিজের ট্যালেন্ট কে সবার মধ্যে জানিয়ে দিতে। আর সেই চাওয়াটা পূরণ হয় একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুক ইউটিউব এগুলোর মাধ্যমে। আসলেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো অনেক ট্যালেন্টপুল লোকেদের জন্য পারফেক্ট একটা জায়গা।
যাইহোক এভাবে ফেসবুকে কিছুক্ষণ ঘুরতে ঘুরতে অনেক পোস্ট দেখতে দেখতে সময় পেরিয়ে গেল প্রায় এক ঘন্টা। শেষমেষ কারেন্ট তার চাঁদমুখ খানা নিয়ে হাজির হল।অবশেষে একটু শান্তির মুখ দেখলাম গরমের হাত থেকে রেহাই পেলাম।এরপর মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে আবারো ঘুমানোর জন্য বিছানায় চলে গেলাম।
This is my 4 diary game blog. That's all for today. Thanks you @steemcurator01 for your constant support and @steemitblog for introducing Diary game to us.
Thank You All
Greeting From @shahinalom1
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team
Thank you for your support @steemcurator01.
Great diary post, Keep posting every day.
Thank you bro. Of course I do regularly.💪
Reading your whole post, totally appreciate your graveyard visit🙏, that's we all need to do every single day...remembering death, visiting the loved ones who just passed away! Nice post, keep up the good work
Thank you for your compliment.🙏🙏