আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । আজকে আমি @ngoenyi ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত ডাইরি গেম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্চজি। তো চলুন আমার আজকের ডাইরি শুরু করা যাক। |
আজকে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ৮টার পর। ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা আগে চার্জে লাগিয়ে দিলাম। তারপর আবারো শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষন পর উঠে দেখি আমার রুমমেট মোবাইলটাকে চার্জ থেকে খুলে রেখেছে। এটা দেখে একটু বিরক্তিকর বোধ হলো। তারপর আবারো মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে দিলাম এবং ফ্রেস হয়ে নিলাম। ফ্রেস হয়ে আমার সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর আমার রুমমেট কলেজে গেলো। আমি রুমে বসে বসে বই পড়লাম।
কিছুক্ষন বই পড়ার পর আর পড়তে ইচ্ছা করছিলো না তাই পড়া বাদ দিয়ে মোবাইল টিপলাম। তারপর মোবাইলে আমার প্রিয় গেম ফ্রি ফায়ার খেললাম। কিছুক্ষন পর মেসের বড় ভাইয়েরা ক্রিকেট খেলার জন্য জন্য ডাকতে আসলো। কিন্তু আমি আজকে বাড়িতে যাবো তাই ক্রিকেট খেললাম না। কারন ক্রিকেট খেললে কাপড় ময়লা হতো। আর কাপড় ধুয়ে শুকানোর মতো সময় আমার হাতে ছিলো না। জানালা দিয়ে বড় ভাইদের ক্রিকেট খেলা দেখলাম।
দুপুরে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। এরপর তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে আমি ও আমার রুমমেট দিনাজপির রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। একটা অটোতে করে স্টেশনে গেলাম। অটো ভাড়া নিলো ৩০ টাকা। আবার স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটলাম দুইটা। দুইটা টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা করে ১০০ টাকা। দিনাজপুর থেকে পার্বতীপুর যেতে মাঝখানে কোনো স্টেশনেই ট্রেন দাঁড়ায় না। মাত্র একটা স্টেশনের ব্যবধান। তবুও ভাড়া ৫০ টাকা।
ট্রেনের টিকিট কাটার পর আমি আর আমার রুমমেট প্লাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য আপেক্ষা করলাম। আমাদের মতো আরো শত শত যাত্রী প্লাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতেছে। সেখানে একটু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর দুপুর ২:২০ মিনিটে ট্রেন আসলো। আজকে বৃহস্পতিবার হওয়ার কারনে ট্রেনে প্রচুর ভীড় ছিলো। কেননা আগামীকাল সরকারি ছুটি। ট্রেনে করে পার্বতীপুরে আসলাম আর সেখান থেকে ভ্যানে করে বাড়িতে ফিরলাম। আজ ৬ দিন পর বাড়িতে ফিরলাম আমি। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে বিশ্রাম নিলাম।
বিকালে আমার বন্ধু মেসিবাবু তার বাইক নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে আসলো। সে একটি টি-শার্ট আমার মেসে রেখে এসেছিলো ওটা আবার আমি আজকে নিয়ে এসেছি। মেসিবাবু আমাদের বাড়ির সামনে আসলে আমি তাকে তার টি-শার্টটা দিয়ে দেই। আর টি-শার্ট দেয়ার পর আমরা চলে যাই তুলসীপুকুরে। বিকালে তুলসীপুকুরের ভিউ অসম্ভব সুন্দর দেখায়। আজ প্রায় কয়েক বছর পর আমরা দুই বন্ধু এই তুলসীপুকুরে আসলাম। এখানে এসে পাড়ে বসে অনেক্ষন গল্প করলাম তারপর অনেকগুলো ছবিও তুললাম। ছবি তুলার পর আমরা সেখানে বসে আরো কিছুক্ষন গল্প করলাম। গল্প করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
বাড়িতে ফিরে আসতে আসতে রাত হয়ে গেলো। বাড়িতে এসে ফ্রেস টিভি দেখতে বসলাম। কিছুক্ষন পর আমার ভাতিজা পড়া শেষ করে টিভি দেখতে আসলো। ভাতিজা প্রতিদিন টিভিতে কার্টুন দেখে। তাই আমি ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির কাছে থাকা একটি ভাজাপোড়ার দোকানে চলে গেলাম। এই দোকানে প্রতিদিন আমাদের পাড়ার সব ছোট বাচ্চারা ও বড় মানুষেরাও পিয়াজু, ধুনিয়ার চপ খায়। এগুলো খুবই মজার হয়ে থাকে। সেখানে ধুনিয়া ও পিয়াজু খেয়ে আবারো বাড়ি ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে আমার আজকের এই পোস্টটি লেখা শুরু করলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট ।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য @alamin125, @mdparvaj এবং @shuhad কে আমান্ত্রন যানাচ্ছি । |
https://x.com/saikat01718/status/1765745673071436205?s=46
Thank you for your entry. The pictures you have shared are awesome. I know you really enjoyed the ride on the train . I haven't joined train before. I wish I can get the opportunity.