The Diary Game:: 15 August 2020::steemCreated with Sketch.

in Steem Bangladesh4 years ago

প্রতিদিন সকালে কোন না কোন কান্ড ঘটিয়েই সকালটা শুরু করি। আজকেও নতুন কিছু। আজকে সকালে খুব তারাতারি উঠে নিজেকেই কেমন যেন মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছে অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছি। উঠতেই আবারও মায়ের নজরে। মায়ের চোখ কি আর ফাঁকি দেওয়া যায়? মা আর আপু দুজনেই রহস্যজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মা আর আপু দুজনেই কানাঘুষা করছে কি ব্যপার এতো জলদি ওঠার কারনটা কি? মেয়ে মানুষের কিন্তু সন্দেহ কোন দিন যাবে না। সেটা মা হোক বোন হোক বউ হোক আর ডার্লিং এই হোক।

দুজনেই আমার দিকে কিঞ্চিত বাঁকা চোখ তাক করে তাকিয়ে আছে ভাবটা এমন যেন কোন বড় দাগী আসামী আজোই জেলের তালা ভেঙ্গে পালিয়ে এসেছে। আসলে এতো সকালে তো কখনো উঠি না।

দুজনের থেকে কয়েক কদম অতিক্রম করেই বায়ুর চাপ আর আটকিয়ে রাখতে পারি নিই। আসলে বলেন তো বুয়ু কি আটকিয়ে রাখা যায়। মিথ্যা আর বায়ু কখনো আটকিয়ে রাখা যায় না। অদ্ভুদ বিকট শব্দে বেরিয়ে আসলো। তারা দুজনেই নাক ছিটকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আমার ছোট্ট ভাতিজা বাজারের হাড্ডি সালমান শব্দ শুনেই সে কি অট্টহাসি তার হাসি শুনে কেউ আর চুপ থাকতে পারে নিই। সবাই অট্টহাসি শুরু। মহা বিপদ আমিও মৃদু হেসে সোজা ওয়াস রুমের দিকে।

যাক এবার ছোট রুম থেকে বার হওয়ার সময় নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে নিলাম যাতে পিচ্চি আমার মজা না নেয়। পিচ্চির সাথে সাথে তো সবাই মজা নিবে তা আমার জানা আছে। তাই নিজের টেহারাটাকে একটু গুরুগম্ভীর ভাব করে বেরিয়ে আসলাম যাতে পিচ্চি একটু ভয়ে থাকে। কিন্তু কোন লাভ হল না যেই লাউ সেই কধু অবস্থা। সব প্লান ভেস্তে গেলো। বার হতেই পিচ্চি আবার জোরে জোরে হাসছে আর কি যেন বলছে। ইজ্জত আর রাখলো না এই পিচ্চি। শেষমেশ বেহায়াদের মত চোয়ালের সব খানা দাঁত বার করে হাসতে হল।

আজ শনিবার কষ্টের দিন। শুক্রবারের পর শনিবারে সেন্টারে যেতে একটু কষ্ট হয় যেমনটা কষ্ট হত শনিবারে স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুল যেতে। শুক্রবার সারাদিন বাসায় শুয়ে বসেই কেটেছে। এছাড়া যা গরম আবহাওয়া তাতে বাইরেও যাওয়া হয় নিই।

20200815_142122.jpg

যাক সেন্টারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বার হলাম।।প্রতিদিনেই তো অনেক কিছু দেখি। দেখতে দেখতে চলেই আসলাম। স্টুডেন্টদের ক্লাস নিচ্ছি প্রতিদিনের মত। নতুন কিছু স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে। তাদের এক্সট্রা কিছু কেয়ার নিতে হয়। ক্লাস নিতে নিতে যোহরের আজান হয়ে গেলো। মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে বার হতেই আহা জান্নাতি বাতাস বইছে। আল্লাহ্ তায়ালা কি কুদরত। এক ঝাপটা বাতাসে দেহ ঠান্ডা। আকাশটাও নীল হয়ে আছে। কি দারুণ এক পরিবেশ। সেখান থেকে সরতেই ইচ্ছা করতেছিল না। কিছুক্ষন থেকে চলে আসলাম নিজের অফিসেই।

20200815_145735.jpg

আবার স্টুডেন্টদের ক্লাস শুরু এভাবেই বিকাল ৪ টা হয়ে গেলো। সেই মুহুর্তে @mspbro হাজির। তার সাথে অনেকক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে বার হলাম বাসার উদ্দেশ্যে পথে কিছু নাস্তা করে চলে আসলাম দুজনে হাঁটতে হাঁটতে বাসায়।

বাসায় এসে প্রতিদিনের মতোই ফ্রেশ হওয়া, নামাজ পরে খাওয়া দাওয়া রেস্ট। এভাবেই রাত হয়ে ডিনার সময় আবার নামাজ শেষে ডিসকোর্ডে আড্ডা দিতে দিতে পোস্ট লিখা।

Sort:  
 4 years ago 

What is the reason for getting up so early this morning?

#onepercent
#Bangladesh

দুজনের থেকে কয়েক কদম অতিক্রম করেই বায়ুর চাপ আর আটকিয়ে রাখতে পারি নিই। আসলে বলেন তো বুয়ু কি আটকিয়ে রাখা যায়। মিথ্যা আর বায়ু কখনো আটকিয়ে রাখা যায় না। অদ্ভুদ বিকট শব্দে বেরিয়ে আসলো। তারা দুজনেই নাক ছিটকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আমার ছোট্ট ভাতিজা বাজারের হাড্ডি সালমান শব্দ শুনেই সে কি অট্টহাসি তার হাসি শুনে কেউ আর চুপ থাকতে পারে নিই। সবাই অট্টহাসি শুরু। মহা বিপদ আমিও মৃদু হেসে সোজা ওয়াস রুমের দিকে।
Please read carefully.......

 4 years ago 

বায়ু ত্যাগ করার জন্য ঘুম থেকে কেউ উঠে আগে কখনো শুনিনি।
By the way nice post.

হা হা হা। ভাই ভালো করে পড়েন। এইখানে শুধু বায়ু ত্যাখের বিষয় না। ইমার্জেন্সি কল আসছিল।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56269.96
ETH 2364.95
USDT 1.00
SBD 2.26