Movie review - Pelé: Birth of a Legend 📺🎬
Pelé: Birth of a Legend
Pelé: Birth of a Legend
ফুটবল খেলা পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। অনেকে আমরা দেশভিত্তিক ফুটবল খেলা সাপোর্ট করি। কিছু কিছু খেলোয়াড় পছন্দের দিক থেকে দেশের ঊর্ধ্বে এবং সবারই পছন্দের। এ রকমই একজন প্লেয়ার ব্রাজিলের পেলে। যিনি ফুটবলের রাজা হিসেবে আমাদের সবার কাছে পরিচিত। আজকে আমি এমন একটি মুভি সম্পর্কে আলোচনা করব যে মুভিটি ফুটবলের রাজা পেলের ( Pele) জীবন কাহিনি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই মুভিটি দুজন পরিচালক মিলিতভাবে নির্মাণ করেন জেফ জিম্বালিস্ট এবং মাইকেল জিম্বালিস্ট। মুভিটি ২০১৩ সালে তৈরির কাজ আরম্ভ করে ২০১৪ সালে শেষ হয় এবং এটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে।
পরিচালনা | জেফ জিম্বালিস্ট এবং মাইকেল জিম্বালিস্ট |
---|---|
অভিনয় | কেভিন ডি পলা, রদ্রিগো সান্টোরো, ভিনসেন্ট ডি'অনোপ্রিয়ো, কলম ম্যানে, দিয়েগো বোনেটা |
প্রযোজনা | ব্রায়ান গ্র্যাজার, ইভান অরলিক |
রচনা | জেফ জিম্বালিস্ট এবং মাইকেল জিম্বালিস্ট |
সংগীত | এ আর রহমান |
সময় | ১০৭ মিনিট |
ভাষা | ইংরেজি, পর্তুগীজ |
টোটাল আয় | ২.৩ মিলিয়ন |
মুক্তি | ৬ মে ২০১৬ (আমেরিকা) |
শুটিং লোকেশন | রিও ডি জেনিরো (ব্রাজিল) |
কাহিনি সংক্ষেপে
কাহিনি সংক্ষেপে
শুরুতে দেখা যায় বস্তির ছোট ছোট ছেলেরা মুচির কাজ করতেছে। তারপর কাপড় পেচিয়ে ফুটবল বানিয়ে তারা ফুটবল খেলে। ডিকো এবং তার ভাই যখন কাদার মধ্যে ফুটবল খেলে বাড়ি ফিরে। তার মা তাকে জিজ্ঞেস করে এরকম কেন তারা বলে ফুটবল খেলেছে। ডিকোর মা রেগে যায় কারণ তিনি চান না তার ছেলেরা ফুটবল খেলুক। কারণ ডিকোর বাবা অনেক ভালো ফুটবলার ছিলেন, হাঁটুর ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। তিনি এখন সুইপার এর কাজ করেন।
movie screenshot
এটা ছিল ১৯৫০ সাল তখন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা হচ্ছিল সবাই রেডিওর ধারাবিবরণী শুনতে ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্রাজিল সেই ম্যাচ হেরে যায়। ডিকো খুব কষ্ট পায় এবং চোখের জল ফেলে। ডিকোর বাবা খেলা দেখে বের হয়ে আসে, তখন ওর বাবাকে বলে বাবা কান্না করো না আমি ব্রাজিলকে একদিন বিশ্বকাপ এনে দেবো। ডিকোর মা মানুষের বাসায় কাজ করে। ডিকো সেখানে যায় সেই বাসার ছেলেরা ফুটবল খেলত। সেখান থেকে জানতে পারে একটা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বস্তিতে এসে সব ছেলেদের নিয়ে বলে যে আমরা ওই টুর্ণামেন্টে অংশ নেব। তারপরে তারা ওই টুর্ণামেন্টে অংশ নেয়।
movie screenshot
তাদের কারও গায়ে জার্সি ছিলনা, বিছানার চাদর চুরি করে সেটা দিয়ে তারা এক ধরনের জার্সি তৈরি করে এবং সে জার্সি পরে তারা র্টুণামন্টে নেয়। তারা অনেক ভাল খেলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে। ডিকোর দলের নাম ছিল সুলেছ। ডিকোর নাম দিয়েছিল পেলে। কারণ ডিকোর প্রিয় খেলোয়াড় ছিল বেলে। ডিকো ওই নামটা ঠিক মতো উচ্চারণ করতে পারত না। তাই অন্য টিমের খেলোয়াড়রা তাকে মজা করে পেলে ডাকত। এই দলের কারোই বুট জুতা ছিল না। সবাই স্থানীয় একটি গুদাম থেকে বাদাম চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে পুরাতন বুট জুতা কিনে,কিন্তু সেগুলো কারো পায়ে ঠিকমতো হচ্ছিল না। ফাইনাল খেলায় ডিকোর দল ৫/৬ গোলে হেরে যায় কিন্তু পেলের খেলা সবাই খুব পছন্দ করে এবং হাততালি দিতে থাকে।
movie screenshot
তারপর হঠাৎ করে কিছু লোক ওদের ধাওয়া করে কারণ তারা গুদাম থেকে বাদাম চুরি করেছিল। দৌড়াতে দৌড়াতে ডিকো এবং দিয়াগো একটি পাহাড়ের গুহার ভেতরে আশ্রয় নেয়। তারপর বৃষ্টি শুরু হয় ডিকো গুহা থেকে বের হতে পারলেও দিয়াগো আর বের হতে পারে না। দিয়াগো মাটি চাপা পড়ে মারা যায় এই ঘটনার পর ডিকো একদম স্তব্ধ হয়ে যায়। ফুটবল খেলা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। তারপর কি ডিকোর বাবা তাকে উৎসাহ দিয়ে আবার ফুটবলে ফিরিয়ে আনে এবং তাকে প্রশিক্ষণ দিতে থাকে।
movie screenshot
ডিকোর মা তার এই খেলার আগ্রহ দেখে প্রাক্তন একজন ফুটবলার সাথে কথা বলে তাকে সেনটুস ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দেয়। তারপর সেই ক্লাবে আস্তে আস্তে অনেকগুলো শিরোপা জয় করে। তারপর সবাইকে অবাক করে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলে ডাক পায় ১৯৫৮ সালে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইনজুরিতে পড়ে। সেমিফাইনালের আগের সব খেলা সে মিস করে। ব্রাজিলের অনেক প্লেয়ার ইনজুরিতে পড়ার কারণে বাধ্য হয়ে ডিকোকে সেমিফাইনাল ম্যাচ নামানো হয়। ডিকো হাঁটুর ইনজুরির নিয়েই খেলতে ছিল। তারপর সেই ম্যাচে ব্রাজিল জয়লাভ করে এবং ডিকো হ্যাটট্রিক করে।
movie screenshot
সমগ্র ব্রাজিল বাসি ডিকোকে নিয়ে উল্লাসে মেতে পরে। ফাইনাল খেলায় ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হয় সুইডেন। ব্রাজিল ৫/২ গোলে জয়লাভ করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। সবাই তখন তরুণ ডিকোকে নিয়ে উল্লাস করতে থাকে। ব্রাজিলের সমস্ত দর্শক কান্না করতে থাকে কিন্তু এই কান্না ১৯৫০ সালের ম্যাচ হেরে যাওয়ার কান্না নয়। সেই ডিকো থেকে পেলে হয়ে যায়। পেলে একমাত্র খেলোয়াড় যে বিশ্বকাপে মাত্র ১৭ বছর বয়সে গোল করেছে।
movie screenshot
মন্তব্য
মন্তব্য
আসলে যারা জীবনের সফলতা অর্জন করে অধিকাংশ মানুষের জীবনের জীবনী থেকে পাওয়া যায় যে তারা খুব দারিদ্র্য পরিবার থেকে উঠে এসেছে। অনেক জনপ্রিয় ফুটবলার রয়েছে যারা ছোটবেলায় খুব দারিদ্র্য জীবন যাপন করলেও জীবনের কঠোর পরিশ্রম এবং অটুট লক্ষ্য তাদের জীবনের সফলতা এনে দিয়েছে। এই মুভির মাধ্যমে পেলের জীবনেও আমরা একই রকম দেখতে পেরেছি । এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষনীয় রয়েছে। দারিদ্রতাকে জয় করে পেলে বিশ্ব ফুটবলের রাজা হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
রেটিং
রেটিং
- Imdb rating - 7.2/10
- my rating - 9.5/10
ভালো ছিলো পোস্ট টা
সুন্দর হয়েছে পোস্টটি। ভবিষ্যতেও এমন পোস্ট করবেন আশা করি।