The Diary Game : 22 August 2022
আজ সোমবার
২২ আগস্ট, ২০২২ খ্রীস্টাব্দ
৭ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এখন শরৎ-কাল।
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে। আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে সকলের মাঝে হাজির হলাম।
নতুন দিন মানেই নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা। অফিস থেকে রাতে জানিয়েছিল ঢাকার বাড্ডাতে ভিজিট করতে এবং সবকিছু ঠিক আছে কিনা পর্যবেক্ষণ করতে। আমাদের অফিসের যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। যাইহোক, সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে দ্রুত দাঁত ব্রাশ এবং গোসল করলাম, এরপর রেডি হয়ে বের হলাম আমাদের বাড্ডা পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। সকাল ছিলো বলে রাস্তায় তেমন একটা জ্যাম ছিলো না।
সকাল ৮.১০ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছালাম। যেহেতু আমি ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি! কাজেই খুটিনাটি সকল কার্যক্রম দেখবো ডেলিভারি অফিসার এবং পয়েন্ট সুপারভাইজার এর। সকলের সাথে পরিচিত হয়ে হলাম।
অফিসের পাঠানোর জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করলাম সবাইকে নিয়ে। এখানে ১২, জন ডেলিভারি অফিসার এবং একজন পয়েন্ট সুপারভাইজার কাজ করেন। আমাদের এই বাড্ডা পয়েন্ট - গুলশান, বাড্ডা পুরোপুরি কাভার করে। যাইহোক, সকলের অভিযোগ/সাজেশন ইত্যাদি নিয়ে প্রায় অনেকক্ষণ কথাবার্তা বললাম।
এরপর তাদের কাজ দেখা আরম্ভ করলাম, সঠিক ভাবে করছেন কিনা। কিভাবে একটা পার্সেল আসলে স্ক্যানিং করে রিসিভ করতে হয়, কোন ডেলিভারি অফিসারকে কোন কোন পার্সেল গুলো এসাইন করলেন সেগুলো দেখলাম।
কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের কাজের অভিজ্ঞতা সত্যি অসাধারণ নানান ধরনের কাজ শেখার রয়েছে, যদিও প্রচুর কাজের প্রেসার থাকে অনেক। আপনাদের কারো কোনো সাপোর্ট অথবা কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাকে কমেন্ট করতে পারেন, আশাকরি এই সম্পর্কে আমি সহযোগিতা করতে পারবো।
আমি এই ডেলিভারি পয়েন্ট অডিট করলাম সুপারভাইজারের সহযোগিতা নিয়ে। সবকিছু ঠিক-ঠাক মতো ছিলো। ডেলিভারি অফিসারদের কাজের উদ্দেশ্যে বের করে আমি আমার কাজ আরম্ভ করলাম। সকালের নাস্তা করিনি তাই দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে কাছাকাছি একটি হোটেল গিয়ে খাবার খেলাম। হোটেলে নানান ধরনের আয়োজন ছিলো, কিন্তু আমি খিচুড়ি খেলাম। এরপর কিছুক্ষণ সেই এরিয়াতে পয়েন্ট সুপারভাইজারকে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করে তারপর পয়েন্টে ফিরলাম।
সকল কাজ এবং রিপোর্টিং গুলো অফিসে ইমেইল আকারে পাঠিয়ে আমি রওনা হলাম বাসার উদ্দেশ্যে। জ্যামকে উপেক্ষা করে বাসূয় ফিরলাম। বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
ঘুম থেকে উঠে আমার মা এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে কথাবার্তা বললাম। প্রতিদিন আমার মাকে এবং স্ত্রীর খোঁজ খবর নিতে হয়, যেহেতু তারা গ্রামে আছেন এবং আমি ঢাকায় অবস্থান করতেছি। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য আমার পরিচিত পোস্ট থেকে চাইলে জানতে পারবেন।
বাসায় বসে কিছুটা বিরক্তবোধ করছিলাম তাই সন্ধ্যায় আমাদের এলাকার কাছাকাছি একটি ফুড আইল্যান্ডে গিয়ে হালকা খাবার খেলাম৷ সেখান থেকে ফিরে পুনরায় আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে ফোনে কথাবার্তা বলা আরম্ভ করি। আমার ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটা হঠাৎ করে অসুস্থ তাই সারাদিন যেভাবে কেটেছে কিন্তু খবরটা পাওয়ার পর মনটা খারাপ হয়ে গেছে। যাদের সন্তান আছে তারা হয়তো বুঝবেন সন্তানের অসুস্থতার কারণে বাবা-মার কেমন অবস্থা হয়। যাইহোক, তার খেয়াল রাখতে বললাম এবং রাতে বেড়ে যাওয়াতে আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER: