The diary game : 20/09/2020 || Alhamdulillah! I had another beautiful day by the grace of Allah
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে!
আজ রোববার,
২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রীস্টাব্দ
২ সফর ১৪৪২ হিজরী
৫ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
এখন শরৎকাল।
আশাকরি স্টিম ব্লকচেইনের সকল বন্ধুরা ভালো আছেন! সবার জায়গা থেকে ☺।
প্রতিদিনের মতো আমি আমার ডায়েরি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। সবার সাথে আমার সারাদিনের বিষয়গুলো শেয়ার করার উদ্দেশ্য। সম্পূর্ণ ডায়েরি পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো!
দিনের শুরুটা
আল্লাহর অশেষ রহমতে ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠতে পারলাম আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর ফোন পেয়ে (সারাজীবন এভাবেই যেনো আমাদের সম্পর্ক থাকে)। তার ফোন কেটে দিয়ে দ্রুত উঠে নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলাম এবং নামাজ আদায় করলাম৷ নামাজ শেষ করে কিছুটা সময় হাটাহাটি করেছিল রাস্তায়, দেখলাম একটি পিকআপ গাড়িতে করে অনেক মুরগি নিয়ে এসেছে অর্থাৎ আমাদের এলাকায় ব্যবসায়ীরা নিয়ে এসেছেন এবং সেগুলো গাড়ি থেকে গুনে গুনে নামানো হচ্ছে। আমি আমার মতো হাটতে থাকলাম।
আমাদের বাসার গলিতে প্রবেশ লরি সুন্দর একটা বাতাস বইছিলো এবং অসাধারণ আবহাওয়া ক্যামেরায় বন্দী না করে থাকতে পারলাম না।
যাইহোক, বাসায় এসে আমি খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেয়ে বিছানায় শুয়ে স্টিমিট ডটকম ব্রাউজ করতে থাকলাম। প্রায় ৪০ মিনিটের মতো একটানা ব্রাউজ করি এবং গতকালকে না করা ডায়েরি পোস্টটি করলাম। ডায়েরি পোস্ট করে, মোবাইলে সময় পাড় করেছিলাম এবং মোবাইলের ক্যালেন্ডার ইভেন্টে দেখাচ্ছে আজকে অফিসে কিসের কিসের মিটিং আছে এবং বিস্তারিত। এন্ড্রয়েড ফোনে এখন হাজারো ফিচার যা চোখে পড়ার মত। প্রযুক্তি সত্যি অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
আমার ঘুমাতে হবে কারণ অফিস আছে তাই আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে শুভ সকাল এর একটি এসএমএস পাঠিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
সকাল ৮.১০ মিনিট ঘুম থেকে উঠলাম একটু দেরি হয়ে গেছে! দ্রুত দাঁত ব্রাশ এবং গোসল করলাম। দুপুরের খাবার জন্য রুটি নিয়ে নিলাম, রুটি এবং দুধ চা খাবো আজকে দুপুরে। হালকা নাস্তা করলাম করে আমি রেডি হয়ে মাস্কটা নিয়ে বের হয়ে গেলাম অফিসের জন্য। প্রতিদিনের মতো যথারীতি মোটরসাইকেলে করে অফিস এরিয়াতে পৌঁছে গেলাম সকাল ৮.৫৪ মিনিট! অফিসে স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রবেশ করে আমি নিজে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। অফিসের স্কাইপ গ্রুপে শুভ সকাল জানিয়ে আজকের মতো কাজ করা আরম্ভ করলাম।
একটানা কাজ করতে থাকলাম আমার যত পেন্ডিং কাজগুলো ছিল এবং ইমেইল গুলো ফলো করছিলাম গত দু'দিন যেহেতু বন্ধ ছিল তাই না সেজন্য। সকাল ১১ টা থেকে একটি মিটিং ছিল যেটা প্রায় একঘন্টা হলো আমাদের এই মিটিং। এই মিটিং-টি সম্পূর্ণ হচ্ছে আমাদের অফিসের যে সম্পদ (ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, চেয়ার, ডেস্ক, মোটরসাইকেল, এসি, ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন) গুলো আছে সেগুলো আমরা কিভাবে ব্যবহার করবো এই সম্পর্কিত এইচআর এবং আইটি থেকে। মিটিং শেষ করে অফিসের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করছিলাম এমন সময় শুনলাম যে আমাদের অফিসের কিছুটা সামনে আগুন লেগেছে এবং আসলে আগুনটা অনেকখানি লেগেছিল দেখলাম যে ফায়ার সার্ভিসসহ মিডিয়ারা চলে এসেছি ইতিমধ্যে! আমাদের অফিসের প্রায় কাছাকাছি, আমি আর আমার অফিসের দু'জন সহকর্মী কিছুক্ষণ পর অফিসের নিচে নামলাম চা খাওয়ার জন্য এবং ভাবলাম সেখান থেকে একটু ঘুরে দেখে আসি যে কি অবস্থা এখন পরিস্থিতি। আলহামদুলিল্লাহ ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস বিষয়টা তাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন ফলে পরিস্থিতি খুব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই অফিসে চলে আসলাম এবং অফিসে এসে পুনরায় নিজদের কাজ করা আরম্ভ করে দিলাম।
দুপুর ১২.৫০ মিনিট! জোহরের নামাজের আজান হচ্ছে বাহিরে, আমি আমার কাজগুলো গুছিয়ে দুপুর ১.৩০ মিনিটে অযু করে, নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষ করে আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে ফোন করলাম - প্রিয় মানুষটার সাথে কথা বলার জন্য কোনো টপিকের প্রয়োজন হয় না, বিভিন্ন ভালোলাগা, ভালোবাসা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হলো! তাকে দুপুরের খাবার খেতে বললাম এবং আমি ফোন কেটে আমি খাবার খেয়ে নিলাম। আজকের খাবারের আয়োজন ছিলো সাদামাটা।
খাবার শেষ করে ডেস্কে আসলাম পুনরায়। দুপুর টাইম যেহেতু একটু ঘুম ধরছিল তবে অফিসে তো আসলে ঘুমানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই (ঘুমানোর জায়গাও নয়)! যেহেতু এটা একটা কাজের স্থান তো আমি আমার ঘুমকে আসলে পরিহার করে কাজ করতে থাকলাম।
বিকেল ৪.৩০ মিনিট বাহিরে আজান হচ্ছে আসরের, নামাজ শেষ করলাম এবং আমার যা কাজগুলো ছিল এবং দিনের শেষে ইমেইল পাঠিয়ে আজকের মত কাজ এখানেই সমাপ্ত করলাম। বিকেল ৫.১০ মিনিটে কাজ শেষ করে অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম বাসায় আসার জন্য।
মোটরসাইকেলে করে প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে ইসিবি চত্বর এরিয়াতে চলে আসি এবং বাসায় আসার জন্য হাটা শুরু করি। রাস্তায় হাটতে থাকলাম এবং আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে ফোন করে কিছুক্ষণ তার সাথে কথাবার্তা বললাম এবং বাসায় এসে আমি ফ্রেশ হয়ে তাঁকে মাগরিবের নামাজ আদায় করে পুনরায় ফোন করবো বলে তার কলটি কেটে দেই। বাসায় এসে ফ্রেশ হওয়ার পরই মাগরিবের আযান হলো মসজিদে, আমি মসজিদে নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম নামাজ আদায় করলাম এবং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে হালকা নাস্তা করলাম যেহেতু বাসায় কেউ নেই তাই সন্ধ্যার নাস্তা শেষ করে আমি পুনরায় বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসলাম।
মোবাইলের সময় পার করছিলাম আমি, এশারের আজান হবে হচ্ছে ৭.৩০ মিনিটে যেহেতু আমাদের মসজিদের জামাআত হচ্ছে রাত ৮টার সময়। এশারের নামাজের কিছুক্ষণ আগে মুহূর্ত থেকে হঠাৎ করে দেখলাম যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে প্রচুর এবং একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে যার জন্য মসজিদে যাওয়া সম্ভব হয়নি ফলে বাসাতেই নামাজ টা আদায় করতে হয়েছে।
ইসলাম
যিকর অর্থ স্মরণ করা, বর্ণনা করা ও উপদেশ ইত্যাদি। সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ রেখে তাঁরই পথে চলা হচ্ছে যিকর। কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ পাঠ, দু'আ করা, আল্লাহর ভয়ে হারাম কাজ বর্জন করা ও ভালো কাজে অগ্রসর হওয়া ইত্যাদি যিকরের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন :
وَلَذِكْرُالّٰلهِ اَكْبَرُ.
"আল্লাহর যিকর (স্মরণ)-ই সবচেয়ে বড়।"
[সূরা আনকাবূত:২৯; ৪৫]
নামাজ শেষ করলাম এবং আমার খালা আমাকে ডেকেছিলেন রাতে খাবার খাওয়ার জন্য এবং তাদের বাসায় গিয়ে আমি রাতের খাবারটা সেখানে খাওয়ার পর বের হলাম। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছিল আমি পুনরায় বাসায় এসে ছাতা নিয়ে বাহিরে বের হলাম বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ দেখা করার উদ্দেশ্যে।
যেহেতু আজকে বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল তাই বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই আসেনি আমিও বেশিক্ষণ ছিলাম না সেখানে! কিছুক্ষণ থেকে হালকা কিছু খাবার অর্থাৎ চিপস খেলাম যদিও ভাত খেয়ে এসেছি তারপর বন্ধুদের অনুরোধে খেলাম। সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি বাসায় এবং এসে আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে ফোন করি এবং তার সাথে আমি কথা বলতে থাকি। আসলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে কথাবার্তা গুলো হয়ে থাকে সেগুলো তো আসলে সবাইকে বলা যায় না/উল্লেখ করা সম্ভব নয়, নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত অনেক ব্যাপার হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম এবং প্রায় অনেক রাত পর্যন্ত আমরা আলোচনা করি। প্রায় রাত দুটো পর্যন্ত আমরা দু'জনে আলোচনা করে তাকে শুভরাত্রি বলে ফোনটি কেটে দিলাম কারণ ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে যে।
আমি আছি #bangladesh এর রাজধানী ঢাকাতে। আগামীকালকের ডায়েরিতে হয়তো আমার সাথে ঘটে যাওয়া নতুন কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ!
আমার আজকের সারাদিনের এই ছোটখাটো বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আমার পোস্টে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর বিষয় থাকলে দয়াকরে আমাকে জানাবেন। প্রতিদিনের মতো এই প্রতিযোগিতার জন্য @steemitblog - কে অনেক ধন্যবাদ।
চাইলে আমাকে খুঁজে পেতে পারেন,
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ☺
শুভ রাত্রি, আল্লাহ-হাফেজ!
সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন
আনন্দময় হোক আপনার সারাদিন।
![PB8ro82ZpZP5xqHVTtgzxr9jRnPYTxeDK7ZMexdP1QdT79YteNJR9qRbw9B2XYYbJ7H2WvqLgnN2de2kPJXHQQtawm8pbvdVXv5XsxM8x4Y4VdKL.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmX8jfQBwyKJc9mvFEFtfqj7JgmeNxBA38vwNtGe5PrMJ2/PB8ro82ZpZP5xqHVTtgzxr9jRnPYTxeDK7ZMexdP1QdT79YteNJR9qRbw9B2XYYbJ7H2WvqLgnN2de2kPJXHQQtawm8pbvdVXv5XsxM8x4Y4VdKL.png)
ভাই লেখার মান ঠিক আছে তবে আরও সুন্দর ও উন্নত করতে পারবেন।
এখন মনে হচ্ছে এটি একটি রচনার মতো।
আপনি আর একটু চেস্টা করে পোস্ট করেন তাহলে অনেক ভালো হবে,যেমন বেশি বেশি ছবি দেওয়া,সকাল,দুপুর, সন্ধ্যা এই লিখাগুলো মাঝবরাবর ব্যবহার করা।আর প্রতিটা ছবির নিচে সুন্দর একটা শিরোনাম দেওয়া এবং সাথে গুগল প্লাস কোড ব্যবহার করা।
আশা করি সামনের পোস্ট থেকে আমরা অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবো।
#onepercent
#bangladesh
অনেক ধন্যবাদ @hasanurhasib ভাই! কষ্ট কর৷ আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আশাকরি, পরবর্তীতে আমি সবগুলো বিষয় খেয়াল করে পোস্ট করবো।
If you power up 100% then you will get extra upvote Besides, you will use google location code in the pictures of your post. By doing this you can become a 'Lucky Day' winner.
Chech this post - 1000 DAYS OF STEEM : The Diary Game : It's Your Lucky Day & Photo locations
How do you make your post 100% power. Check out this post to find out.
How to do 100% power up. Take a look at that
Have a nice day #diarydoctor #bangladesh #affable
Thanks @toufiq777 bhai, I am following this post of yours and I have already posted the 21st September accordingly.
Nice diary.
Doesn't your wife stay with you?
#onepercent
#bangladesh
#affable
No brother! My beloved wife lives in the village, now is the time for us to be patient. Brother, pray for us & thanks for the valuable comment.
আপনার লেখার মদ্ধে ইসলাম এর বিষয়টি প্রশংসনীয় ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই @rex-sumon. ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে শুনতে পেয়ে। আশাকরি প্রতিনিয়ত এভাবে আমাকে সমর্থন করবেন।