সারাদিনের কার্যকলাপ || পরিবারের সাথে কাটানো সুন্দর দিন
কেমন আছেন সবাই?
আজ - ২১ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শরৎকাল |
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে। আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
নতুন আরেকটি দিনের শুরু! নতুন দিন মানেই নতুন কিছু করার প্রত্যয়। আমি মনে করি, আগের দিন যা হয়েছে নতুন দিন যেনো এর থেকে ভালো এবং সুন্দর কাটে। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করলাম, এরপর আমার প্রিয়তমা স্ত্রী নাস্তা নিয়ে হাজির হলেন। আমরা দুজনে একত্রে নাস্তা খেলাম। খাওয়া শেষ করে আমি কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে বসে ছিলাম! বাহিরে প্রচুর গরম ছিল সকাল থেকেই।
বাসার ছাদে উঠলাম, আমাদের বাসার পেছনে কিছু জমি আছে এবং সেই জমিতে কিছু একটা করার পরিকল্পনা আমার মাথায় আসলো হঠাৎ করে। কিছু ফল গাছ বা শাকসবজি লাগানো যেতে পারে সেখানে। ছাদের থেকেই আমি বেশ কিছুক্ষণ ভাবলাম একনাগাড়ে। এরপর রুমে এসে আমার মায়ের সাথে আলোচনা করলাম আমি। ছোটখাটো যেকোনো বিষয় মায়ের সাথে আলোচনা করে তারপর অগ্রসর হই আমি।
রুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গরম ছিলো তাই আমি এবং আমার প্রিয়তমা স্ত্রী দুজনে মিলে বাড়ির পেছনে এসে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। সেখানে আমরা দুষ্টামি, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং ফটোগ্রাফি করে সময় পার করলাম। আমার মতে, এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে খারাপ লাগে। গ্রামে আমি যতদিনই থাকি সবসময়ই পরিবারের দেখভাল করি কারণ এটা আমার কর্তব্য।
দুপুরে গোসল করে সবাই মিলে একত্রে খাবার খেয়ে আমরা টিভি দেখে সময় পার করছিলাম। আমি মাঝে মাঝে steemit.com ব্রাউজ করে আপডেট নিতে থাকি এবং কমেন্ট করি নতুন করো পোস্ট পেলে। আস্তে আস্তে বিকেল হয়ে গেছে প্রায়। ভাবলাম আজকে বিকেল বাজারে যাবো এবং বেরিয়ে পরলাম আমি এবং আমার ছেট চাচাতো ভাই। আবহাওয়া একটু অন্য রকম ছিলো সারাদিনই।
সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে কিছু ভাজাপোড়া খেলাম, চিকেন পিঠা প্রতু পিছ ১৫ টাকা করে। আমি এবং আমার চাচাতো ভাই ছিলাম একসাথে। একসাথে হাটাহাটি করে হালকা নাস্তা করলাম আমরা বাজারেই। চিকেন পিঠা, ফুচকা এবং চটপটি খেয়েছি আমরা।
একটি ভ্যানগাড়িতে করে এই স্ট্রিট ফুডগুলো বিক্রি করা হয়। আমি দোকানদারের সাথে কথা বলেছি অনেক্ক্ষণ, প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় উনি এখানে এসে বসেন। সন্ধ্যার পর থেকে উনি এখানে সময় ব্যয় করে প্রায় প্রতিদিনই সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো আয় করে থাকেন উনি। উনার সাথে একজন সহযোগী থাকেন যিনি পিঠা ভাজা এবং ফুচকা তৈরিতে ওনাকে সহযোগিতা করেন।
বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম উনার সাথে, উনার বিক্রি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। মানুষের সম্পর্কে জানতে আমার ভালো লাগে। বাসায় ফেরার সময় সকলের জন্য মোগলাই এখন চিকেন পিঠা কিনে আনলাম। প্রতিটি মোগলাই দাম পরেছে ৬০ টাকা করে, আমি ২টা মোগলাই কিনেছি।
প্রায় সকলেই খুশি গরম গরম মোগলাই এবং চিকেন পিঠা দেখে। বাজার থেকে কিনে আনা কোনো খাবার সকলের মাঝে ভাগ করে খাওয়ার মজাই আলাদা এবং শান্তি কাজ করে। রাত ১০.২০ মিনিট! যাইহোক, আজকে অনেক ভাজাপোড়া খাওয়া হয়েছে আমার তাই রাতে ভাত খাওয়ার তেমন কোন ইচ্ছে ছিল না, তবে বাসায় আজকে গরুর গোশত আয়োজন ছিল তাই কয়েকটুকরা গোশত খেলাম আমি। বাসার বাকিদের খাওয়া শেষ হওয়ার পর আমরা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
দিনটা অনেক সুন্দরভাবে কাটছে ভাই আপনার।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই 🙂
অনেক সুন্দর ছিল আপনার দিনটি। খাবারের ছবিগুলো দেখতে সুস্বাদু লাগতেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ❤️
ভালো একটা দিন কাটিয়েছেন ভাইয়া
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ❤️
অনেক সুন্দর ছিল আপনার দিনটি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ❤️
A beautiful diary
ধন্যবাদ ভাই 🙂