Steembangladesh contest:Book review //Lalshalu//by sunon01 (23 may21)
হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু আলাইকুম। জানি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও তোমাদের মতো ভালো আছি।আজ আমি স্টিম বাংলাদেশ বুক রিভিউ তে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ স্যারের ১৯৪৮ সালের বিখ্যাত উপন্যাস লালসালু আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
চলুন শুরু করা যাক,
লালসালু
বইয়ের পরিচিতি
লালসালু উপন্যাসটি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় ঢাকায়।প্রকাশক মুহাম্মাদ আতাউল্লাহ।তারপর আবার ১৯৬০ সালে দ্বিতীয় সংস্করণ করা হয়।১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে দশম সংস্করণ এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।তাছাড়া অন্যান্য অনেক ভাষায় এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়।যেমনঃউর্দু,ফরাসি,ইংরেজি ভাষায়।
বইয়ের সম্পর্কে কিছু কথা
লালসালু একটি সামাজিক সমস্যা মূলক উপন্যাস।
যুগ যুগ ধরে সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মভীরুতা কাজে লাগিয়ে যে ধর্ম ব্যবসা করা হয় তা তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে।
গ্রামের লোকের সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভন্ডামি করা।
উপন্যাসটি অনেক ছোট হলেও এর ভিতরে উপস্থাপিত কথা গুলো সমাজের মানুষকে আলোর পথে জাগিয়ে তোলে।
গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্র সমূহ
মজিদঃগল্পটির প্রধান চরিত্র হলো মজিদ।যাকে ভিত্তি করে গল্পটি রচনা করা হয়।মজিদ গ্রামের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ধর্ম ব্যাবসা শুরু করে।
তাহের ও কাদেরঃতাহের কাদের হলো খালেক ব্যাপারীর বিসস্ত লোক। তারা তার কথায় সব কাজ করে।
খালেক ব্যাপারীঃখালেক ব্যাপারী হলো মহব্বত নগর গ্রামের একজন ক্ষমতাধারী ব্যাক্তি।তার প্রচুর সম্পদ থাকার কারণে গ্রামের মাুষের তাকে ভয় পায়।
সলেমানের বাপঃতিনি একজন হাপানী রোগী।
দুদু মিঞাঃদুদু মিঞা সাত সন্তানের বাপ।
রতনঃতাদের কাদের এর কনিষ্ঠ ভাই হলো রতন।রতন পেশায় একজন মাঝি।
আক্কাস আলীঃআক্কাস আলীও একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র। তিনি মজিদের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি তার সকল কাজকে বাধা দিতেন আর গ্রামের মানুষের যেন ভালো থাকে সে নিয়ে ভাবতেন।
রহিমাঃরহিমা হলো মজিদের প্রথম বিধবা স্ত্রী। রহিমা ছিল একজন ধর্মভিরু মহিলা এবং স্বামীর কথাকে তিনি সব সময় বিশ্বাস করতেন।
জমিলাঃজমিলা হলল মজিদের যুবতী স্ত্রী। যাকে মজিদ জোর করে বিয়ে করে।
আমেনাঃ আমেনা খালেক ব্যাপারীর নিঃসন্তান স্ত্রী। যিনি সন্তান লাভের আসায় মজিদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
মূল কাহিনির সারসংক্ষেপ
অভাবের তড়নায় নিজের সুখের আসায় নিজের গ্রাম ত্যাগ করে নিজের ভাগ্যে পরিবর্তন জন্য অজানা উদ্দেশ্য পারি জমায় মজিদ।সেই অজানা জায়গাটির নাম হলো মহব্বত নগর গ্রাম।মহব্বত নগর গ্রামে প্রবেশটা ছিল তার নাটকীয়।তখন মজিদ একটি কবরের সামনে বসে মোনাজাত করছে।তখন সেই বিষটি তাহের কাদের চোখে পড়ে।
তাহের-কাদের গ্রামের মতব্বর খালের ব্যাপরীর কাছে খরবটি জানায় এবং মজিদকে তাদের সামনে আনা হলে মজিদ প্রতি উত্তরে বলে মোহাচ্ছের পীরের মাজার বলে কবরটিকে অভিহিত করে।গ্রামের সাধারন মানুষের ছিল ধর্ম ভিরু।তারা খোদাকে অনেক ভয় পায়।তখন তারা মজিদের কথা বিশ্বাস করে নেয় এবং তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন করে।
মজিদ এই কবরকে ঘিরে তার ধর্মব্যাবসা শুরু করে।সে কবরে একটি লাল কাপড় দিয়ে বলে এটি একটি একজন পীরের মাজার।তিনি তাকে স্বপ্নে এখানে আসতে বলেছেন।তখন থেকে মজিদ এই ব্যাবসা শুরু করে।লোকেরা মজিদের কথা বিশ্বাস করতে শুরু করে।ধীরে ধীরে মজিদ এই মাজারের কারণে টাকা পয়সা জমি জমা সব করতে শুরু করে এবং মানুষকে বোকা বানাতে শুরু করে।
যখন মজিদের টাকা পয়সা হতে থাকে তখন সে নিজের জায়গাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য গ্রামের বিধবা, সুন্দরী, যুবতী একজন নারীকে বিবাহ করে। মজিদ আর অনেক ছলে বলে কৌশলে
গ্রামের মানুষকে বোকা বানাতে শুরু করে আর নিজের পুজি বাড়াতে থাকে।এমনকি মজিদ খালের ব্যাপারীর স্ত্রী কে শাস্তি দিতে ও পিছে হটে না বিনা দোষে।
অন্য দিকে গ্রামের একজন একজন সুশিক্ষিত ছেলে হলে আক্কাস মিঞা।তিনি গ্রামের মানুষের ভালো নিয়ে সব সময় ভাবে।তিনি যখন লক্ষ্য করেন গ্রামের মানুষেরা মাজারের প্রতি বেশি বিশ্বাসী এমনকি তারা কোনো কাজ করার আগে তারা মাজারের প্রতি আস্থাশীল। এমনি তারা ঝড়ের সময় ও তাদের জমি রক্ষা না করে মাজারে গিয়ে যিকির করতে বসে।সে গ্রামের মানুষকে ভালো দিক গুলো বোঝাতে শুরু করে।
তখন অন্য দিকে মজিদ আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে গ্রামের লোকের কাছে নানা কথা বলে। মজিদের লক্ষ্য ছিল মাজার ঘিরে তার ব্যবসা চালা। গ্রামের লোকেরা যেন তার মাজার ছেড়ে কোথায় না যায়।গ্রামের লোকেরা তারা মাজারে পড়ে থাকে।এমন কি আক্কাস গ্রামের মানুষের ভালোর জন্য গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ও মজিদ তাকে গ্রাম থেকে বের করে দিতে বাধ্য করে।
মজিদ তার জায়গা আরো শক্তিশালী করার জন্য গ্রামের একটি অল্প বয়সী মেয়ে জমিলাকে বিয়ে করেন।জমিলা তো প্রথমে তাকে বরের বাবা বলে অভিহিত করেছিলেন।জমিলা মজিদকে স্বামী হিসেবে মানে না।তখন মজিদ জমিলা নানা ভাবে অত্যাচার করতে থাকে।
এমনকি মজিদ জমিলাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য তার তৈরি করা মাজারে তাকে বেধে রেখে আসে।তাকে রেখে বাড়িতে চলে আসলে তার প্রথম স্ত্রী তাকে নানা ভাবে বোঝাতে থাকে।আর তখনই প্রবল আকারে ঝড় শুরু হয়।তখন মজিদ জমিলা কাছে গিয়ে তার হাত পায়ের বাধন খুলে দিলে তাকে কোলে নিয়ে বললে থাকে জান এখনে আছে আর অন্যদিকে রহিমা কাদতে থাকে।
বইটি পড়ার পর আমার মতামতঃ
উপন্যাস তৈরি করার মূল করণ বলে আমি মনে করি গ্রামের মানুষের মাঝে সচেতনা সৃষ্টি করা।এছাড়াও মানুষেরা যেন কুসংস্কার, ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অশক্ত হয়ে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে না বসে বা যারা এই রকম ধর্ম ব্যাবসা শুরু করছে তাদের পাতা ফাদে কেউ যেন না পড়ে সেই উদ্দেশ্য এই উপন্যাসটি লেখা হয়েছে।
sundor uponnash!
Good review
আসলে সালু মানে চাদর বা কাপড়। আপনি পতাকার কথা বলেছেন। আসলে পতাকার কথা ওখানে ছিল না।
ধন্যবাদ ভাই আমি এখনে ঠিক করছি।