Steem-bangladesh contest: Movie Review //The Martain//by sumon01(29 May 21)
হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু- আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ স্টিম বাংলাদেশ মুভি রিভিউ প্রতিযোগিতায় আমি আপনাদের সাথে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা "দ্য মারটেইন "বিখ্যাত এই মুভিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
মুভিটির টেইলার
মুভি সম্পর্কে কিছু কথা
মুভিটি তৈরি করার আসল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো পরিবেশে মানুষের প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করা। যেন মানুষ কোনো বিপদে পড়লে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে। ।ছবিটি মূলত মঙ্গল গ্রহ নিয়ে রচিত একটি মানুষের ৫৬১দিন বেচে থাকার লড়াই এর উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়।
মুভি সম্পকে কিছু তথ্য :
পরিচালকের তৈরি মুভিটিকে বলা হয় 'বিজ্ঞানের প্রেমপত্র'
মুভিটি মুক্তি প্রাপ্ত হওয়ার আগের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল নাসার কাছ থেকে মুভিটি রিলিজ হওয়ার অনুমতি নেওয়া।
মুভিতে যে নায়ক অভিনয় করেছে তার পোষাক তৈরি করতে ১৫ দিন সময় লাগে এবং তার পোষাক তৈরি করতে ৬ জন লোক কাজ করে। নায়ক ম্যাট ডেমনের পোশাক তৈরিতে সময় লেগেছে ১৫ দিন।
মুভিটিতে যে আলু চাষের দৃশ্য দেখানো হয় তা একটি কক্ষে নিয়ম মাফিক ভাবে পরিচালনা করা হয়।
মুভিটি তৈরিতে সর্বমোট ১০ কোটি ৮০ ডলার হয়।
ছবিটির মুক্তি কাল অক্টোবরের ২ তারিখে
ছবিটি মোট ১৪১ মিনিট।
মুভিটির সর্বমোট ৭৫ দিন শুটিং হয়েছে।
মুভিটির মূল কাহিনিঃ
মুভির শুরুতে কিছু নভোচারি তাদের রকেট নিয়ে মঙ্গল গ্রহে যায় কিছু কাজ করার জন্য। কিন্তু সেখানে তারা একটি ঝড়ের পূবাভাস পায়। আর সেখানে একটি ঝড় আসে। সেই ঝড়ে মার্ক ওয়াটিনি নামক এক ব্যাক্তি তাদের সাথে আলাদা হয়।আর তারা সেই ব্যাক্তিটিকে না নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
ঝড়ের কিছু সময় পর ঝড় যখন থামে তখন হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিটির জ্ঞান ফিরে পায়। আর তখন সে নিজেকে সেখানে আবিস্কার করে অসুস্থ অবস্থায়। আর সে লক্ষ্য করে তার সাথীরা তাকে না নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে গেছে।তারপর সে নিজেকে অনেক অসহায় মনে করে।
তখন অন্য দিকে তার সহকর্মীরা ভাবে সে মারা গেছে। তাই তারা পৃথিবীতে জানিয়ে দেয় যে সে মারা গেছে এবং তার মারা যাওয়া নিয়ে একটি মহাসম্মেলন এর আয়োজন করে তাকে মহাপুরুষ্কারে ভূষিত করার জন্য।
অন্য দিকে মার্ক ওয়াটিনি তার অসুস্থ শরীর নিয়ে তাবুতে ফিরে যায়।আর নিজে শরীরের যত্ন করে।তারপর তার সেখানে বেচে থাকার লড়াই শুরু করে। সে প্রথমে কিভাবে বেচে থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করে তারপর সেখানে থাকা খাবার গুলো দেখে হতাশা হয়।তারপর সে বেঁচে থাকার জন্য মঙ্গল গ্রহে নিজের খাবারের জন্য আলু চাষ করে।
সে যেমন আলু চাষ করছে নিজেকে বাচার জন্য তেমনি ভাবপ সে তাদের ব্যবহৃত রকেটের অংশ গুলে নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করত।অবশেষে নাসার কাছে নিজেকে বেচে থাকার অস্তিত্ব প্রমাণ করে এবং তাদের সাথে কথা বলে।নাসার লোকেরা তার বেচে থাকার কথা শুনে অনেক খুশি হয় এবং তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা শুরু করে।
অন্যদিকে মঙ্গল গ্রহে আরেকটি ঝড়ের কারণে তার চাষ করা আলুগুলো যখন নষ্ট হয় তখন সে নিজেকে অনেক অসহায় মনে করে।সে নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং অনেক কষ্ট পায়।অন্য দিকে তখন নাসার বিজ্ঞানীরা অনেক পরিকল্পনা করে তবুও ব্যর্থ হয়।অবেশষে নাসার বিজ্ঞানীরা অন্য দেশের সাহায্যে তাকে ফিরে আনার পরিকল্পনা করে।
অবশেষে একজন লোকের বুদ্ধিতে তারা তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্য মঙ্গল গ্রহে যাত্রা শুর করে।তারা পৃথিবীর উপর বৃত্তাকার পথে ঘর্ণায়মান স্যাটেলাইটটিকে বিপরীত পথে ফিরিয়ে নিয়ে তার কাছে যায় তাকে উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু সেখানে তাকে নিতে গেলে সে রকেট থেকে ছিটকে পড়ে যায় তখনই সে তার জ্যাকেট এর হাওয়া বের করে দেয় আর উড়ে গিয়ে নাসার পাঠানে রকেটে চলে যায়।
তারপর সে নাসার রকেটে পৌছানোর পর সে আনন্দে আন্তহারা হয়ে যায় সে বিশ্বাস করতে পারে না যে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে এসেছে।রকেটে এসে সবাইকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে।
মুভিটি নিয়ে আমার মতবাদ
মুভিটি আলসে একটি অনুপেরনা মূলক মুভি।মুভিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে প্রতিকুল পরিবেশে লড়াই করার সাহস।অবস্থা যেই হোক না কেন আমাদের সাহসের সাথে লড়াই করতে হবে।তাই আমাদের যে কোন বিপদে মাথা ঠান্ডা করে সাহসের সাথে লড়াই করতে হবে।
valo hoyeche khub
Thanks