Book Review||মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত ছোটগল্প||31 May,2021
Hello Steemians!✌️😁
আমি @sonetsarkar from Bangladesh 🇧🇩
Steem Bangladesh এর কন্টেস্ট এর আজকের টপিক হলো বুক রিভিউ। আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আমার পছন্দের লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বই নিয়ে। বইটিতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি ছোটগল্প একত্র করে সংকলিত করা হয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক।তার সাহিত্যকর্ম এক অনন্য আলোড়নের সৃষ্টি করেছে বাংলা সাহিত্যে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালের ১৯শে মে ভারতের সাওতাল পরগনার দুমকা শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার জীবদ্দশায় তিনি মোট ৫৭ টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।তার লেখা প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস হলো জননী। প্রত্যেকটি ছোটগল্পই আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।আমি সাহিত্যের চরম রস খুঁজে পেয়েছি বলে মনে হয়েছে। আজকে আমি বইটির অন্যতম দুইটি ছোটগল্পের কাহিনী তুলে ধরবো।ছোটগল্প দুটি হলোঃ সাহিত্যের অন্যান্য শাখার তুলনায় আমি বেশি রস খুঁজে পেয়েছি ছোট গল্পে।যদিও সাহিত্যের একটি শাখার সাথে অন্য শাখার তুলনা করা যায় না। কেউ যদি অল্প সময়ে সাহিত্যের রস বুঝতে চান তাকে আমি ছোটগল্প পড়ার জন্য অনুরোধ করবো। বইটি পড়ে আমি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের অসংখ্য ছোটবড় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।মিলন রায় মূলত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের উপর আলোকপাত করে বইয়ের প্রথমাংশ লিখেছেন। আমার পার্সোনাল রেটিং
কেমন আছেন আপনারা সবাই???
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে খুব ভালো আছি।
বইটির টাইটেল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত ছোটগল্প।বইটির ভূমিকা লিখেছেন মিলন রায়।
ডাকনাম মানিক হলেও বাবা নাম দিয়েছিলেন প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কমলা দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৩৮ সালে।
তার মৃত্যুর মাত্র এক মাস আগে তার জীবদ্দশার শেষ উপন্যাস মাশুল প্রকাশিত হয়।
তিনি ১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর মৃত্যু বরন করেন।
বইয়ের নাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত ছোটগল্প লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকা মিলন রায়,গবেষক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গল্পসংখ্যা এগারোটি প্রকাশকাল জুলাই,২০১৬ প্রকাশক জয় প্রকাশন অক্ষরবিন্যাস আনন্দ কম্পিউটার্স মুদ্রণ ঢাকা প্রিন্টার্স প্রচ্ছদ মশিউর রহমান মূল্য ২০০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৭৫
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার প্রিয় লেখক।তাঁর লেখনী আমাকে সবসময়ই আকৃষ্ট করে।
এই বইয়ের ছোট গল্পগুলো ছাড়াও আমি আরো ছোটগল্প পড়েছি।সবগুলোর ক্ষেত্রেই দারুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।বাংলা সাহিত্যে ছোট গল্পের ধারনা সাহিত্যের অন্যান্য অংশগুলোর তুলনায় নতুন।
অতসীমামী
অতসীমামী অপরূপ সুন্দরী।ময়াময় তার মুখখানি।অন্যদিকে যতীনমামা একজন রুগ্ন,রগওঠা,চিকন, রুক্ষ লোক।এ ব্যপারটা তার কেমন জানি বোধ হয়।কিন্তু মামী যতীনমামাতে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছে।
একসময় ট্রাঙ্ক থেকে মামা বাঁশি বের করেন বিক্রি করে দেয়ার উদ্দেশ্যে। মামার স্মৃতিকে দুরে চলে দিতে দিলো না সুরেশ।নিজেই কিনে নিলো একটো টাকার বিনিময়ে।এরপর থেকে মামা আর বাঁশি বাজান নি।
প্রাগৈতিহাসিক
সাথীরা সবাই সেবার ধরা পরেছে। কয়েকজন মারা পরেছে।সে প্রানে বেচে ফিরেছে।প্রেহ্লাদ বাগ্দী নামের এক বন্ধু তাকে জঙ্গলে নিয়ে আশ্রয় দেয়।সে নিয়মিত তাকে খাবার দেয়।
একসময় ভিক্ষা করে সে একটা একচালা ভাড়া নিয়ে থাকে।সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে ঐ বেড়াহীন চালার নিচে ঘুমায়।নদীর পাড়ের হিমেল হাওয়া তার ভালো লাগে।
ছোটগল্প সহযেই বোধগম্য হয়।ছোটগল্প সাধারনত ১৩/১৫ পৃষ্ঠার হওয়ায় পড়তে সময় কম প্রয়োজন হয়।
ছোটগল্পের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো " শেষ হয়েও হইলোনা শেষ"।
অর্থাৎ, পরিশেষে কি হয় জানার চরম আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়।আর এখানেই ছোটগল্পের স্বার্থকতা।
অল্প লেখনীর মাঝে অধিক রস লুকায়িত থাকে ছোট গল্পে।
এক কথায় ছোট গল্প অসাধারণ এক সাহিত্যকর্ম।
৯/১০
অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কোনো বই পড়িনি আমি। এটা পড়ার ইচ্ছা আছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই💚
বইটি পড়লে আশাকরি ভালো লাগবে আপনার।
খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাই
অনেক ধন্যবাদ ভাই💚