Book Review||দেবী🌺||15 May 2021
Hello Steemians! ✌️😁
আমি @sonetsarkar from Bangladesh 🇧🇩🇧🇩🇧🇩
কেমন আছেন আপনারা সবাই???
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আজকে ঈদের দ্বিতীয় দিন।সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।
আজকে আমি স্টীম বাংলাদেশ কমিউনিটির বুক রিভিউ কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।একজন বইপ্রেমী হিসেবে আমি অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলাম স্টীম বাংলাদেশ কমিউনিটিতে এমন একটা কন্টেস্ট হোক।
আজকে আমি যে বইটার রিভিউ করবো তার নাম দেবী।
দেবী কালজয়ী সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের রহস্যে ভরপুর একটি উপন্যাস।হুমায়ূন আহমেদ দেবী উপন্যাসের মাধ্যমে তার রহস্যে ঘেরা চরিত্র মিসির আলির পর্দা উন্মোচন করেন।
দেবী হুমায়ূন আহমেদের সেরা লেখনীগুলোর একটি। এই উপন্যাসের রিভিউ করা মানে অনেকটা আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর রাখার মতো ব্যাপার।
আমি শুরুতেই আমার করা ভুলগুলোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
দেবী
উপন্যাস | দেবী |
---|---|
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | রহস্য |
পটভূমি | ঢাকা |
প্রকাশিত | জুন,১৯৮৫ |
প্রকাশনী | অবসর প্রকাশনা |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৮৪ |
চরিত্রাবলি
মিসির আলি- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রির শিক্ষক।
রানু আহমেদ।
নীলু।
আনিস আহমেদ (রানুর স্বামী, দি জেনিথ ইন্টারন্যাশনালের ডিউটি অফিসার)
আহমেদ সাবেত।
বিলু (নীলুর ছোট বোন)।
অনুফা ( রানুর চাচাতো বোন)।
কমলেন্দু (আনিসের সহকর্মী)।
জিতু মিয়া (রানুর বাসার কাজের ছেলে)।
কাহিনী সংক্ষেপ
"মাঝরাতের দিকে রানুর ঘুম ভেঙে গেল।"-এই ম্যাজিক্যাল বাক্য দিয়ে উপন্যাস শুরু হয়।রানু এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।রানু কৈশোর পেরিয়ে সবে মাত্র যৌবনে পদার্পণ করেছে।কিছুদিন মাত্র হলো তার বিয়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুন বয়সী আনিস সাহেবের সাথে।ঢাকার একটা ভাড়া বাসায় তাদের সাজানো ছোট্ট সংসার।সব কিছু ভালোই যাচ্ছিলো কিন্তু ছোট একটা সমস্যাও ছিলো।
রানু মাঝে মাঝেই তার আশে পাশে অশরীরী কোনো কিছুর অস্তিত্ব টের পায়।সে কোনো ঘটনা ঘটার আগে থেকেই অনেক কিছু দেখতে পায়।মাঝে মাঝে কিরকম বিদঘুটে শব্দও শুনতে পায় সে।
তবে লেখক এটাকে শ্রুতি বিভ্রম এবং এক্সট্রা সেন্সরি পারসেপশন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
রানুর এই কর্মকাণ্ড প্রথমদিকে খুব সহজ ভাবেই নিতো আনিস সাহেব। কিন্তু কিছুিদন পর যখন রানু প্রচন্ড ভয় পেতে থাকে তখন আনিস সাহেব খুব চিন্তিত হয়।
আনিস সাহেব রানুর ব্যপারটা নিয়ে তার অফিসের সহকর্মী কমলেন্দু বাবুর সাথে কথা বলেন।কমলেন্দু বাবু আনিস সাহেবকে মিসির আলির পরামর্শ নিতে বলেন।
এভাবেই এই উপন্যাসে মিসির আলিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।মিসির আলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।তিনি একজন প্রচন্ড যুক্তিবাদী লোক।
মিসির আলিকে রানু সব কথা খুলে বলে।তার ভাষ্যমতে সে যখন ছোট ছিল তখন নদীতে একদিন গোসল করতে যায়।
তারপর পানির নিচ থেকে তার পা টেনে ধরে এক লাশ।
কিন্তু রানুর গ্রামে গিয়ে মিসির আলি জানতে পারেন গ্রামের এক দুষ্টু লোক তাকে নিয়ে পুরোনো এক মন্দিয়ে যায় খারাপ মতলব নিয়ে।কিন্তু একটু পর সবাই ঐ লোককে পালিয়ে যেতে দেখে।এরপর থেকে আর ঐ মন্দিরের মূর্তিটিকে পাওয়া যায় নি।
সবার ধারনা মন্দিরের দেবী সত্তা রানুর মাঝে প্রবেশ করেছে।এরপর থেকেই রানু অনেক কিছু দেখতে পায়।
আজগুবি শব্দ শুনতে পায়।
অন্যদিকে, রানু যে বাড়িতে থাকে সে বাড়ির বাড়িওয়ালার দুই মেয়ে নীলু এবং বিলু।দুজনেরই অল্পদিনে ভাব হয়ে যায় রানুর সাথে।
নীলু একদিন এক খারাপ লোকের পাল্লায় পরে। সে তাকে তুলে নিয়ে যায়।রানু সেদিন খুব অসুস্থ হয়ে যায়।সেদিন অসুস্থতার ঘোরে রানু দেখতে পায় নীলুর ঘোর বিপদ।
সে নীলুকে বাঁচানোর জন্য ছটফট করতে থাকে।
এক সময় রানু মারা যায়।অন্যদিকে, নীলুকে যে লোক অপহরন করেছিলো তাকে এক অশরীরী শক্তি হত্যা করে।
এরপর থেকে রানুর সব বৈশিষ্ট্য নীলুর মাঝে পরিলক্ষিত হয়।সবাই মনে করে রানুর সেই দেবী সত্তা প্রবেশ করেছে নীলুর মাঝে।
মিসির আলি যখন নীলুকে প্রশ্ন করে কিভাবে অপহরনকারী মারা গেল তখন নীলু উত্তর দেয় অশরীরী এক শক্তি তাকে হত্যা করে।
মিসির আলি এই ঘটনাকে ব্যাখ্যা দেয় উত্তেজিত মনের স্বাভাবিক কল্পনা বলে।
এভাবেই শেষ হয় এই রহস্যময় উপন্যাস।
দেবী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত-
দেবী উপন্যাস অবলম্বনে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল নাট্যরূপে নাট্যদল বহুবচন ১৯৯৪ হতে 'দেবী' নাটক মঞ্চায়ন করছে।
দেবী উপন্যাস অবলম্বনে ২০১৮ সালে একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন অনম বিশ্বাস।ছবিটিতে মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী এবং রানু চরিত্রে অভিনয় করেন জয়া আহসান।
খুব সুন্দর পোষ্ট আমি মিসির আলি সমগ্র সব বই পড়েছি অসাধারন।
ধন্যবাদ 💚
Onk sundor review korcen
ধন্যবাদ ভাই 💚
Good job brother
অনেক ধন্যবাদ ভাই ❤️
অসাধারন bro
ধন্যবাদ ভাই💚