Steem Bangladesh Contest || Technology || Wifi || @sohag27 || 30 % to @hive-138339
সকলেই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সকলেই ভালো আছেন।@steem-bangladesh কর্তৃক আয়োজিত "Technology" কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আমি যে টেকনোলজি সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি তা হলো ওয়াইফাই (Wi-fi) ।তো চলুন শুরু করা যাক...
বর্তমান সময়ে বেশি আলোচিত টেকনোলজি গুলোর মধ্যে একটি হলো ওয়াইফাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই টেকনোলজিটি বেশ জনপ্রিয়। তেমনিভাবে আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।এবং ধীরে ধীরে এই প্রযুক্তিটি তথ্য ও প্রযুক্তির জগতে অনেকটা স্থান দখল করতেছে।
ওয়াই-ফাই :
ওয়াইফাই হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা তারবিহীনভাবে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিভাইসগুলিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন ও যোগাযোগ করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
ওয়াই-ফাই হলো একটি বেতার রাউটার থেকে কাছাকাছি ডিভাইসে পাঠানো রেডিও সংকেত, যা আপনি দেখতে এবং ব্যবহার করতে পারেন এমন ডেটা সিগন্যালকে অনুবাদ করে৷ ডিভাইসটি রাউটারে একটি রেডিও সংকেত প্রেরণ করে, যা তার বা তারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করে।
ওয়াই-ফাই রাউটার :
একটি তারবিহীন রাউটার এমন একটি ডিভাইস যা একটি রাউটারের কার্য সম্পাদন করে থাকে এবং একটি বেতার অ্যাক্সেস পয়েন্টের ফাংশনও অন্তর্ভুক্ত করে। এটি ইন্টারনেট বা একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়।এটি প্রস্তুতকারক এবং মডেলের উপর নির্ভর করে একটি তারযুক্ত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে (LAN) বা একটি মিশ্র তারযুক্ত এবং বেতার নেটওয়ার্কে কাজ করতে পারে।
ওয়াই-ফাই যেভাবে কাজ করে :
ওয়াই-ফাই অন্যসব তারবিহীন ডিভাইসের মতো একই প্রিন্সিপাল থেকে কাজ করে । এটি ডিভাইসের মধ্যে সংকেত পাঠাতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়াকিটকি, গাড়ি রেডিও, সেলফোন এবং আবহাওয়া রেডিও থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনার গাড়ির স্টেরিও কিলোহার্টজ এবং মেগাহার্টজ রেঞ্জে ফ্রিকোয়েন্সি গ্রহণ করে। কিন্তু ওয়াইফাই গিগাহার্টজ রেঞ্জে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করে।
মেগাহার্টজ এবং গিগাহার্জের সাথে সমুদ্রের তরঙ্গের তুলনা করা হয় । এই তরঙ্গগুলি বাতাসে প্রতি সেকেন্ডে 1 মিলিয়ন এবং 1 বিলিয়ন চক্রের গতিতে চলে ! এবং এই তরঙ্গগুলিতে পাওয়া তথ্যগুলি পেতে রেডিও রিসিভারকে একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের তরঙ্গ গ্রহণ করার জন্য সেট করা হয়। ওয়াইফাইয়ের জন্য এই ফ্রিকোয়েন্সি 2.4Ghz এবং 5Ghz হয়।
ওয়াই-ফাই ব্যাবহারের সুবিধাসমূহ :
ওয়াই-ফাইএর মাধ্যমে একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ করতে পারে। কোনো কনফিগারেশন ছাড়াই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, রাউটার বা হটস্পট প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ করা যেতে পারে। এই সহজ ব্যবহার এবং সুবিধা অন্যান্য নেটওয়ার্কগুলিতে নেই৷
ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সকল ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস পাওয়া সম্ভব।এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার এর সামনে বসতে হবে না। ওয়াই-ফাই ব্যাবহার করে আপনার স্মার্ট ফোন দিয়েই করতে পারবেন।
তারযুক্ত নেটওয়ার্ক সংযোগের তুলনায় একটি ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস পয়েন্টের ইনস্টলেশন তুলনামূলকভাবে সহজ। বিভিন্ন স্থানে ক্যাবল চালানো এবং সুইচ চালানোর কোনো জটিলতা নেই।
একটি তারযুক্ত নেটওয়ার্ক সংযোগের তুলনায়, ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনে খরচ এবং শ্রমের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে।
ওয়াই-ফাই ব্যাবহারে যেমন বহু সুযোগ সুবিধা রয়েছে তেমনি এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে।ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার পরও আপনি সাইবার এটাকে পতিত হতে পারেন। এছাড়াও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক এর রেন্জ তুলনামূলক ভাবে কম।তবে এসব ব্যাপার বিবেচনা না করলে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থায় ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।গত কয়েকবছর আগেও আমাদের দেশে ওয়াই-ফাই অতটাও জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু দেশ যত ডিজিটাল হচ্ছে এর চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।ধারনা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের ব্লগ। সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি @forhadmiya ও @iamjohn ভাইকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
ওয়াইফাই নিয়ে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। পোস্ট সাজানো সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই ❣️