Steem Bangladesh Contest - Movie review by @sohag27 || 16 June 2021
আসসালামুয়ালাইকুম
"Pairates of the Caribbean:The Curse of the Black Pearl"
Pairates of the Caribbean:The Curse of the Black Pearl
পরিচালক | গোর ভারবিনস্কি |
---|---|
প্রযোজক | জেরি ব্রুখাইমার |
রচয়িতা | টেড এলিয়ট,টেরি রোজিও |
শ্রেষ্ঠাংশে | জনি ডেপ,অরল্যান্ডো ব্লুম,কিরা নাইটলি,জিওফ্রে রাশ,জ্যাক ডেভেনপোর্ট,জোনাথন প্রাইস |
পরিবেশক | ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স,বুয়েনা ভিস্টা পিকচার্স |
মুক্তি | ৯ জুলাই, ২০০৩ |
দৈর্ঘ্য | ১৪৩ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
বাজেট | ১৪ কোটি ডলার |
বক্স অফিস | ৬৫ কোটি ডলার |
কাহিনী সংক্ষেপ :
সিনেমার শুরুতে দেখানো হয় এলিজাবেথ সোয়ান নামক একজন মেয়ে তার বাবার সাথে সমুদ্রযাত্রা করতেছেন।এসময় একটি ছোট ছেলেকে (উইল টার্নার )তারা সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেন,যার কাছে একটি জলদস্যুদের স্বর্ণমুদ্রা ছিল। কিন্তু এলিজাবেথ সোয়ান এটা কাউকেই জানান না এবং স্বণমুদ্রাটি তার কাছে রেখে দেন।
আট বছর পর, এলিজাবেথ সোয়ান এর বিবাহ কমোডোর নরিংটন এর সাথে হওয়ার জন্য কথাবার্তা চলতেছিল।এসময় সেখানে উপস্থিত হয় ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো,যে একসময় ব্লাক পার্ল জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিল।জ্যাককে দেখা মাত্র কমোডোর নরিংটন তাকে জলদস্যু হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাকে আটক করার হুকুম দেয়।
জ্যাক স্প্যারোকে আটক করা হলে সেই রাতেই পোট রয়ালে আক্রমণ করে একদল জলদস্যু।যাদের কাছে ছিলো ব্লাক পার্ল এবং এর ক্যাপ্টেন হলো বারবোসা।
এই ব্লাক পার্ল এমন একটি লুটেরা জাহাজ,যে জাহাজের নাবিকদের রয়েছে এক কঠিন অভিশাপ।অভিশাপটি হলো তারা কখনো মরতে পারবে না। মরতে না পারা তথা যুগের পর যুগ বেঁচে থাকাকে প্রথম বিবেচনায় ভালো কিছু বলে মনে হতে পারে। কিন্তু অন্যান্য বিষয় যুক্ত হলে দেখা যাবে এটি জঘন্য শাস্তি ছাড়া মোটেও ভালো নয়।
যা খাবে সেগুলোর কোনোটিতেই খাবারের স্বাদ পাবে না। যা মুখে দেবে তাতেই চলে আসবে ছাইয়ের স্বাদ। জীবনভর তৃষ্ণার্ত ও পিপাসার্ত থেকে যাবে। রাতের বেলা তাদের স্বাভাবিক দেহও থাকে না। চাঁদের আলোতে নোংরা কংকাল সদৃশ তাদের আসল রূপ বের হয়ে আসে।
এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায় আছে।আর তা হলো জলদস্যু স্বর্ণমুদ্রাগুলো একত্রিত করে ইসলা ডে মুয়েত্রা নামক এক অভিশপ্ত দ্বীপের একটি বিশেষ স্থানে নিয়ে গিয়ে মানুষের রক্ত উৎসর্গ করলে কেটে যাবে অভিশাপ। আবারো তারা ফিরে যেতে পারবে স্বাভাবিক জীবনে।
এই স্বর্ণমুদ্রাগুলোর একটি ছিল এলিজাবেথ সোয়ান এর কাছে।যেটা ছিল আসলে উইল টার্নারের কাছে।আর এই অভিশাপে অভিশপ্ত ছিল ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোও।
পরবর্তিতে জ্যাক স্প্যারো জানতে পারে সেই স্বর্ণমুদ্রার খোজ।জ্যাক স্প্যারোর সাথে দেখা হয়ে যায় উইল টার্নারের।ক্যাপ্টেন বারবোসার প্রয়োজন ছিল সেই স্বর্ণমুদ্রার আর জ্যাক স্প্যারো মুখিয়ে ছিল বারবোসাকে হত্যা করে তার জাহাজ ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিশোধ এর জন্য।
এদিকে উইল টার্নারও তার প্রেমিকা এলিজাবেথ সোয়ান কে কমোডোর নরিংটন এর হাত থেকে বাঁচাতে চায়। কিন্তু এর মধ্যে ক্যাপ্টেন বারবোসা এলিজাবেথ সোয়ানকে তুলে নিয়ে যায়।তাই এলিজাবেথকে বাচানোর জন্য সে জ্যাক স্প্যারোকে জেল থেকে পালাতে সহায়তা করে।
পরবর্তিতে তারা সকলেই একসময় সেই অভিশপ্ত দ্বীপে হাজির হয় এবং অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোর হাতে ক্যাপ্টেন বারবোসার মৃত্যু হয়।এরপর ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোকে আটক করা হয় এবং পোট রয়ালে তার ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু তার ধুরন্ধর বুদ্ধি দিয়ে সে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়।সে আবারো ফিরে পায় তার পছন্দের জাহাজ ব্লাক পার্ল।
নিজস্ব মতামত :
Pairates of the Caribbean চলচ্চিত্র সিরিজের প্রথম সিনেমা এটি।এটি একটি অসাধারণ Adventure সিনেমা। সিনেমাটিতে সকলের অভিনয় ছিল দেখার মত। বিশেষ করে জ্যাক স্প্যারো চরিত্রে জনি ডেপ অসাধারণ অভিনয় করেছেন। সিনেমায় তার চরিত্রটি এমনভাবে পরিবেশন করা হয়েছে যে আপনি তার চরিত্রটির প্রতি প্রেমে পড়তে বাধ্য। সত্যিই "Pairates of the Caribbean:The Curse of the Black Pearl" একটি অসাধারণ সিনেমা।
রেটিংস :
IMDb : 8.0 (vote 1 M)
নিজস্ব : 9.0
সুন্দর হয়েছে পোষ্টটি
ধন্যবাদ ভাই