Travel review challenge || by @shuvoprosad || 29-April-21

in Steem Bangladesh3 years ago (edited)

আসলামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।

Daily-sun-2019-11-26-311.jpg

Image source

আজকে আমি আমাদের দিনাজপুরের গর্ব , রংপুর বিভাগের সবথেকে বড় এবং পুরনো মানুষ দ্বারা খননকৃত দীঘির ভ্রমণ নিয়ে কথা বলবো। দীঘির নাম হলো রাম সাগর বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত।

বর্ণনা

রামসাগর দিনাজপুর জেলার তাজপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের মধ্যে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় দিঘি। তটভূমিসহ রামসাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দীঘিটির পশ্চিম পাড়ের মধ্যখানে একটি ঘাট ছিল যার কিছু অবশিষ্ট এখনও রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির বেলেপাথর স্ল্যাব দ্বারা নির্মিত ঘাটটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৪৫.৮ মিটার এবং ১৮.৩ মিটার। দীঘিটির পাড়গুলো প্রতিটি ১০.৭৫ মিটার উঁচু।
Source

অবস্থান

দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার (৮,০০০ মি) দক্ষিণে তাজপুর গ্রামে দীঘিটি অবস্থিত।
Geo location

যাতায়াত

রেল পথে এবং বাস এর মাধ্যমে সহজেই দিনাজপুর শহরে পৌঁছানো যায়। পার্বতীপুর থেকে ট্রেনে দেড় ঘণ্টা এবং বাসে এক ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরে পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে সবথেকে সহজ ও সস্তা বাহন হলো অটো রিকশা। অটো তে করে যেতে প্রায় 20 মিনিট লাগে।

আকর্ষণীয় বিষয়

এখানে প্রধান দেখার মত স্থান হল সুদীর্ঘ সুন্দর শাপলা ছন্ন নীল পানির দীঘি। তাছাড়া এখানে বনভোজন করার জন্য সাতটি আলাদা আলাদা স্থান রয়েছে। আরো আছে একটি ছোট চিড়িয়াখানা যেখানে হরিণ বানর এবং অজগর সহ বিভিন্ন প্রজাতির কিছু পশু পাখি রয়েছে। ছোট্ট শিশুদের জন্য এখানে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়। শিশু পার্কটিতে স্লাইড দোলনা সহ কিছু সিমেন্টের তৈরি কৃত্রিম পশুর ভাস্কর্য রয়েছে। দীঘি ঘুরে দেখার জন্য এখানে পেট্রোল চালিত নৌকা এবং হাতে বাওয়া নৌকা রয়েছে। শীতকালে আসলে এখানে অতিথি পাখিদের সমাহার দেখা যায়। তাছাড়া এখানে সবসময়ই হাঁসের ঝাঁক ভেসে থাকতে দেখা যায়। দিঘির চারপাশে রয়েছে সুপ্রশস্ত রাস্তা যা পায়ে হেঁটে গল্পঃ করতে করতে অতিক্রম করার আনন্দই আলাদা। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন রঙের ফুলগাছ ও প্রজাপতির দেখা পাওয়া যায়।


IMG_0369.jpg

IMG_0370.jpg

IMG_0448.jpg

IMG_0469.jpg


খাওয়ার ব্যবস্থা

এখানে ভাত ডাল মাংস কিছুই পাবেন না। পাবেন হলো ফুচকা চটপটি আলুর চিপস মুড়ি মাখা এবং ঠান্ডা পানীয়।

আমার যাত্রা

আমরা প্রায় নয়জন কাজিনরা মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম 2018 সালে। আমরা বাসে করে দিনাজপুর যাই সেখান থেকে অটো নিয়ে আমরা রাম সাগরে পৌঁছে যাই। সেখানে আমরা অসুস্থ পথ ধরে কিছুদূর হাটি, তারপর নৌকা ভাড়া করে ঘুরে বেড়াই। নৌকা থেকে নেমে পাশের হোটেলে ফুচকা এবং চটপটি খেয়েছিলাম সেটা অবশ্য দারুন ছিল দাম ও তুলনা মূলক কম ছিল। আমরা দুপুরের খাবারের জন্যে রামসাগর থেকে বেরিয়ে আবার দিনাজপুর শহরের গুলশানে চলে আসি। সেখানে মার্টিন হোটেল আমরা দুপুরের খাবার সেরে ফেলি। সেখানকার ফ্রাইড রাইস ও চিকেন সিজলার অনেক সুস্বাদু ছিল।


IMG_0184.jpg

IMG_20180429_150103.jpg

IMG_0380.jpg

IMG_0441.jpg


Rating 9/10

পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। 6 জন আনসার এবং 2 জন বন বিভাগের নিরাপত্তা কর্মী সার্বক্ষণিক সেখানে তৎপর থাকেন। শিশুদের নিয়ে গেলে তারা ভীষণ খুশি হবে আশা করি ।

Sort:  
 3 years ago 

Nice review. Thank you for sharing your amazing travel experience with us.

 3 years ago 

Thanks for this challenge

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57431.51
ETH 3085.99
USDT 1.00
SBD 2.35