Diary game - 15 October 2021 - বিজয় দশমী
Date : 15 October 2021
Diary game
সকাল
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম 8 টায়। মা ডেকে তুলে দিয়ে ছিল আমাকে। মা বললো খাসির মাংস কিনে আনতে। আমি বাজার থেকে দুই কেজি মাংস কিনে নিয়ে আসলাম। সকালে মার অনেক কাজের চাপ ছিল। মা এবং কাকি সকাল থেকে নারিকেল করতেছিল নাড়ু বানানোর জন্য। আমরা সকাল থেকেই নাড়ু বানানোর কাজে লেগে পরেছে। মা অনেকসময় ধরে গুর জাল দিচ্ছিলেন। গুর জল দিয়ে মা কুড়ানো নারিকেল
কড়াইয়ে ঢেলে দিলেন। রান্না শেষ করে কাকী এবং মা নাড়ু গোল করতে বসলেন। আমিও কয়েকটা নাড়ু বাঁধতে একটু সাহায্য করলাম।
দুপুর
দুপুরে মা খাসির মাংস রান্না করেছিল। আমি প্রায় দুইটার দিকে দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম। এরপর বাবা আমাকে মুক্তিযুদ্ধ হোটেল থেকে দুধের মিষ্টি এক কেজি কিনে আনতে বললো। আমি মুক্তিযোদ্ধা হোটেল থেকে 1 কেজি দুধের মিষ্টি কিনে নিয়ে আসলাম। এরপর বাবা আমি মিষ্টি আর কিছু নাড়ু নিয়ে আমাদের বাসায় গেলাম। তাদের বাসা হচ্ছে পুরাতন বাজারে তাই একটা ফ্যান ঠিক করলাম। দাদির বাসায় আমরা কিছুক্ষণ ছিলাম। যদি আমাদেরকে লেবুর শরবত এবং আপেল পরিবেশন করে ছিল। দাদা এখনও অসুস্থ। হাটা চলা করতে পরে না ঠিক মত। ওখানে কিছুক্ষন থাকার পর আমরা বাসায় চলে আসলাম। বাসা থেকে আমি রণীত গৌরব খোলাহাটি রোডের বারোয়ারী মন্দিরের গেলাম। সেখানে প্রতিমা মন্দিরের উপর থেকে নামিয়ে ভ্যান এ তুলতে সাহায্য করলাম। আমরা কিছুক্ষন নাচা নাচি করলাম। এর পর রাজিব আর বিপ্লব এসে আমাকে ওদের বাসার সামনের মন্দিরে নিয়ে আসলো। এখানে এখনও আমরা দাড়িয়ে আছি। 5 টায় অনিক আমারে কল করে নদীর তীরে আসতে বললো। আমি একটি ভান ঠিক করে নদীর পথে রওনা দিলাম। আজকে অনেক ব্যাস্ততার মাঝে লিখতে হচ্ছে। সারা দিনের ক্লান্তির মাঝে অল্প সময় বের করে লেখতে বসেছি। এখন সকলের লেখা শেষ করার পর মনে পড়তেছে অনেক কাজই লেখতে ভূলে গেছি। যাই হোক আজকে গত কালের মত অতটা গরম নেই। কিছুক্ষনের মধ্যেই অনিকের সাথে দেখা হবে। কেমন একটা অনুভুতি কাজ করছে লিখে বোঝাতে পারবো না। একটু আনন্দ একটু কষ্ট সব মিলিয়ে একটা খিচুড়ি মত অবস্থা। সূর্য ডুবে আসছে। নীল আকাশ ক্রমে বাদামি থেকে ধুসরে ঢলে পড়ছে।