My diary

1 November

An ordinary day

সকাল

সকালে অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। সকাল সাতটার দিকে বাস এ উঠতে হবে। নাহলে সময় মত ইউনিভারসিটি যেতে পারবো না। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাম দেয়া ছিল অ্যালার্ম বেজে উঠার আগেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। এডমিট কার্ড কলম স্কেল ক্যালকুলেটর এইসব ঠিক আছে কিনা একবার চেক করে নিলাম। এরপর শার্ট আর প্যান্ট টা ব্যাগ থেকে বের করে বিছানায় রাখলাম। তারপর ফ্রিজ থেকে কালকের কিনে রাখা ব্রেড টা বের করে নিয়ে আসলাম। চুলায় frying Pan টা আঁচে রেখে 3 টা স্লাইস গরম করে নিলাম। এর পর নাস্তা করলাম শুকনো ব্রেড দিয়ে। তারপর কাপড় পাল্টে দ্রুত নিচে নেমে গেলাম। হেঁটে হেঁটে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত গিয়ে বাসের অপেক্ষা করতে থাকলাম। বাস পাঁচ মিনিট পরেই চলে আসলো। বাসে বসে ঘুম ঘুম চোখে বাহিরে তাকিয়ে রইলাম। আজ ইউনিভার্সিটি যেতে 10 মিনিটও লাগলো না। নেমে ইউনিভার্সিটি তে প্রবেশ করার আগে রাস্তার দোকানে এক চুপ চা খেয়ে নিলাম। আজকের চা টা পছন্দ হলো না। দিনটাও ভালো যাবে না।

দুপুর

পরীক্ষা মোটা মুটি ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ ভগবানকে এইটা ভালো মত দিতে পেরেছি। পরীক্ষা শেষ করে বন্ধুরা বাহিরে কিছু সময় আড্ডা দিলাম। মেঘলা বললো নাসির স্যারের রুমে গিয়ে একবার দেখা করে আসতে কেননা সামনে উনার বিষয়ের পরীক্ষা। আর digital forensic বিষয়ের সিলেবাস অনেক বড় যদি কিছু পড়া কমিয়ে নেওয়া যাই এই আশায় স্যারের কাছে যাওয়া। আমি, মেঘলা, সাজ্জাদ আর আরিফ স্যার এর সাথে দেখা করতে গেলাম, গিয়ে শুনি স্যার দেশের বাহিরে কয়দিন পরে ফিরবেন, তখন মনে হচ্ছিল এই পরীক্ষা ও খারাপ হবে। যাই হোক তারপর বন্ধুরা মিলে ইউনিভার্সিটি সামনের হোটেলে দুপুরের খাবার করতে গেলাম। দুপুরের খাবার শেষ করে সবাই সবার বাসার দিকে রওনা দিলাম। আমি ইউনিভার্সিটি সামনে থেকেই বাসে উঠে পড়লাম।

বিকেল

বাসে দুই ঘণ্টা থেকে বসে আছি। জীবন শেষ এই জ্যাম আর ভালো লাগে না। অবশেসে আড়াই ঘণ্টা পর আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলাম। তারপর বাসায় না গিয়ে ভাবলাম একটু বেঙ্গল বই তে যাই। ওখানকার খাসির কলিজা সিঙ্গারা এবং দুধ চা আমার অনেক পছন্দ। প্রায় দুই বছর পর সেখানে পুনরায় গেলাম। সব কিছু পরিপর্তন হয়ে গিয়েছে সেখানকার। একটা চা আর সিঙ্গারা নিয়ে বসলাম। একটা বইও পছন্দ হলো না পড়ার মত আজকে। ওখানে কিছু সময় বসার পড় বাসায় চলে আসলাম।