Steem Bangladesh Contest || আমার প্রিয় লেখক: মারজুক রাসেল || By @shemul21 (13/4/21)
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি, সবাই ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। Steem Bangladesh এর ধারাবাহিক কন্টেস্টের আজকের বিষয় প্রিয় লেখক। প্রিয় লেখকের লিস্টের অন্যতম একজন হলেন মারজুক রাসেল। আজ 'মারজুক রাসেল'
সম্পর্কে যতটা জানি লেখার চেষ্টা করব।
Source: মারজুক রাসেলের Instagram ID
মারজুক রাসেল বাংলার একজন লিভিং লিজেন্ড। তিনি একাধারে গীতিকার, কবি, মডেল এবং অভিনেতা। মারজুক রাসেল নামটি যেন এক সৃষ্টিশীল মানুষের নাম। দিনে দিনে তার প্রতিভার উন্মেষ ঘটেই চলেছে।
বাল্যকালঃ
মারজুক রাসেলের জন্ম গোপালগঞ্জে ১৯৭৩ সালের ১৫ আগস্ট। কিন্তু তার ছেলেবেলা কেটেছে দৌলতপুরে। তার বাবা পাটকলে তৃতীয় শ্রেণীর চাকরি করতেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে মাদ্রাসায় ভর্তি হলেউ ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত কৃষ্ণমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। মাদ্রাসায় ভর্তি হবার পর তিনি শ্রেণী বৈষম্যে ভুগেছিলেন।
Source: মারজুক রাসেলের Instagram ID
মারজুক রাসেলের জীবন সংগ্রাম ও সফলতা
মারজুক রাসেল ১৯৮৪ সাল থেকেই লেখা শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে তার প্রথম কবিতা পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৯৯৫ সালে তিলি গান লেখা শুরু করেন। জেমস এর "লেইস ফিতা" অ্যালবামে তার লেখা 'দে দৌড়', 'হাউজি', এবং 'রাখে আল্লাহ মারে কে' গানের মাধ্যমে তার জপ্রিয়তা বারতে থাকে। এরপর মীরাবাঈ, এপিটাফ, পত্র দিও, আমি ভাসবে যে জলে' সহ আরো অনেক গান লেখেন মারজুক রাসেল। শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ তার প্রথম প্রকাশিত কাব্য। তিলে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ২০০৪ সালে।
মারজুক রাসেলের বইসমূহঃ
১। ২০০০ সালে প্রকাশিত শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ
২। ২০০৩ সালে প্রকাশিত চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো
৩। ২০০৪(আনুমানিক) সালে প্রকাশিত বাঈজী বাড়ি রোড
৪। ২০০৫ সালে প্রকাশিত ছোট্ট কোথায় টেনিস বল
৫। ২০২০ সালে প্রকাশিত দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর
মারজুক রাসেলের টেলিভিশন অভিনয়ঃ
মারজুক রাসেল অনেক বিখ্যাত নাটকে কাজ করেছেন। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলঃ কানামাছি, স্বরবর্ণেরর চোখে, আয়না মহল, একান্নবতী, পালাবি কোথায়, ৪২০, কবি, মুরব্বি, অস্থির প্রেমিক, ক্যাপটিন, চড়ুইভাতি, হাউজ ফুল, রিলেশন, বিশ্বাস, খরসু+ময়না, বিসিএস পাগলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, মিঃ টেনশন, ছাতি রইস, ব্যাচেলর পয়েন্ট। এছাডা তার আরো অনেক কীর্তিমান কাজ আছে।
গীতকার মারজুক রাসেলঃ
গীতকার হিসেবে ও মারজুক রাসেল যথেষ্ট সুনাম কুডিয়েছেন। তার সুর করা বিশেষ কিছু গান হচ্ছে "আমিতো প্রেমে পরি নি", "ঈশান কোনের বায়ু", "ভিতর বলে দূরে থাকুক" ইত্যাদি।
মারজুক রাসেলের গান সমূহ
গানের জগতে মারজুক রাসেলের কৃতিত্ব সত্যিই অবিশ্বাস্য। এতো এতো জনপ্রিয় গান গুলার লেখক মারজুক রাসেল, এটা জানার পর থেকে তার প্রতি আরো বেশি কৌতূহল জাগে। তার সব গানের লিস্ট তুলে ধরা সম্ভব নয়। আমি বরং আমার পছেন্দের কিছু গানের কথা উল্লেখ করব। আমার পছেন্দের গান্সমূহঃ মীরাবাঈ(সেরা), নারী, ললনা, তোমার চেখে দেখলে , ফু ইত্যাদি ইত্যাদি। সময়ের কিংবদন্তী গায়ক রাও মারজুক রাসেলের লেখা গান গেয়ে আরো জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, আসিফ আকবর সহ অনেক বিখ্যাত গায়ক রা তার লেখা গান গেয়েছেন।
দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর
Source: The Daily Star
মারজুক রাসেলের প্রকাশিত সর্বশেষ ও আমার পছন্দের বই হলো দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর। এটি একটি কবিতার বই। বইটি ২০২০ সালে বায়ান্ন ('৫২) কর্তৃক প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হবার পরেই পাঠক পাড়ায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ৮০ পাতার এই বইটার মূল্য মাত্র ১৫০ টাকা। রকমারি থেকেই কেনা যাবে বইটি।
বইটি থেকে আমার পছন্দের কয়েকটি বিশেষ লাইন-
✒তোমার এলাকা ছাইড়া যাচ্ছি, তোমারে ছাড়ার ফিলিংস হচ্ছে, হোক। আমি অনেক কিছুই ছাইড়া আসার লোক
✒বৃষ্টি প্রায়ই ডেকে বলে, ভিজাই? ভিজবা নাকি? তোমার জলে ভিজবো বলে শুকনা হয়ে থাকি।
✒চাবি ছাড়াও মায়ের আঁচলে আমিও তো বাঁধা থাকি।
তবে বইটি সম্পর্কে অনেকেই বাজে মন্তব্য করেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা হয়তো মারজুক রাসেল কে না চিনে, না জেনে তার বই পড়েছেন। মারজুকের বই পড়ার আগে দয়া করে তার সম্পর্কে জেনে নেওয়ার অনুরোধ থাকলো।
পরিশেষে,
প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, তাই বলে প্রতিভা কখনো চাপা থাকে! সুযোগ পেলেই সে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। মারজুক রাসেল তারই বাস্তব উদাহরণ। বাংলার বিনোদন জগেত তার অবদান অনেক। মারজুক রাসেল আরো এগিয়ে যাক, বিস্তৃত হোক তার শিল্প জগত। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ভালবাসা থাকবে প্রিয় লেখকের জন্য।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Well done.
ধন্যবাদ
6% plagarism found. Try to post 100% unique post.
how can I check plagiarism??
Thanks for your comment. but kichu bishoy thake j gula j keu lekhlei same hobe.