The diary game - 08 November 2021
০৮-১১-২১
আসসালামু আলাইকুম ইস্টিম বাংলাদেশের সকল বন্ধুরা আশা রাখি আপনারা সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আমি আমার ডায়েরি লেখা শুরু করছি।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলা আমাকে আরো একটি সুন্দর সকাল দিয়েছে। আজ ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে এলার্ম দিয়েছিলাম কখন যে বন্ধ করে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে গেছি যানি না। আম্মুর ডাকে উঠে দেখি অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে অফিসে চলে আসলাম। অফিসে গিয়ে দেখি কালকের সন্ধ্যায় যে কাজ বাকি রেখে বাসায় চলে আসছি সেই কাজ আমার সেকশনের সিনিয়ার ভাই ও মিস্ত্রি কাজ করছে আমি ও গিয়ে কাজ করা শুরু করে দিলাম। কাজ শেষ করে আমরা সবাই মিলে নাস্তা করতে চলে গেলাম আলী কাকার দোকানে। নাস্তা শেষ করে আবার ও অফিসে চলে আসি। তারপর হালকা কাজ ছিলো সেগুলো সম্পূর্ণ করি।
অফিসের কাজ শেষে বাসায় ফিরে ড্রেস চেঞ্জ করে একটু রেস্ট করি। তারপর রেডি হয়ে বাজারে চলে গেলাম সেলুনে। মাথার চুল গুলো অনেক বড় হয়ে গেছে সময় পাচ্ছি না কাটার জন্য। আজ সময় বের করে চুল কাটটে চলে গেলাম চুল কাটা শেষ করে বাসায় চলে আসবো তখন রাজিব ভাই ও সোহান ভাইয়ের সাথে বাজারে দেখা। তাদের সাথে আমি ও যোগ দিলাম। রাজিব ও সোহান ভাইয়ের পরিচিত এক ভাইয়ের বউ ভাতের অনুষ্ঠান আজ তাই তাদের জন্য কিছু উপহার কিনবে তাই তাদের সাথে আমি ও চলে গেলাম তালুকদারের দোকানে। দোকানে যাওয়ার পর বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখা আমরা কিছু উপহার কিনলাম।
অনেক গুলো উপহার কিনে আমরা মোস্তাকিম ভাইয়ের দোকানে চলে আসলাম। উপহার গুলো মোস্তাকিম ভাইয়ের দোকানে রাখা হবে দাওয়াতে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে। তারপর আমাকে ও সোহান ভাইকে বাইকে করে রাজিব ভাই আমাদের বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে গেলো। বাসায় এসে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিলাম।
বিকেলবেলা অফিস যায় নি আজ কে কারন আমার সেকশনের মিস্তি কে বলেছিলাম আজকে বিকালে আমি সৈয়দপুরে যাবো একটু কাজ আছে। রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের খবর নিয়ে স্টেশনে চলে গেলাম তাও ট্রেন লেট। স্টেশনে মুড়ি মাখা খেলাম ও একটি ডিউ খেলাম।
ঠান্ডা টা খেতে খেতে ট্রেন চলে আসল। ট্রেনে উঠে দেখি সৈয়দপুরের এক কলিগ ঐ বগিতে বসে আসে তারসাথে বসে আমি ও সৈয়দপুরে চলে গেলাম।দুজনের মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত হলো। তারপর আমরা সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। আগে থেকে আমার কিছু কলিগ কে ফোন দিয়ে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম আমার কিছু কাজ ছিলো তারজন্য।
আমার কাজ সম্পূর্ণ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। তারপর আমরা ওয়াল্টন শো-রুমে গেলাম।আমার কলিগের কিছু কাগজপত্র ছিলো সেগুলো নিয়ে আসার জন্য। কিছু দিন আগে একটি ফ্রিজ কিনেছে।
শো-রুম এর কাজ শেষ করে আমরা চলে গেলাম জি আর পি ক্যান্টিনে চা খেতে। চা খাওয়া শেষ করে আমরা আসলাম নাটোরের দই ঘরে বাসার জন্য দই নিয়ে আসব তারজন্য।
দই কিনে আমরা একটি ভ্যান নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসলাম। স্টেশনে বসে অনেক সময় আড্ডা দিলাম। আড্ডা দিতে দিতে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলে আসলো আর আমি এসি বগিতে উঠে পার্বতীপুরে চলে আসলাম সবাই বিদায় দিয়ে। আমি সব সময় এসি বগিতে যাতায়াত করি কারন হলো এসি বগি সব সময় ফাকা থাকে তারজন্য।
পার্বতীপুরে আসতে আসতে অনেক টাই লেট হলো। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে অনেক সময় রেস্ট করালাম। তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আশা করি আপনাদের ও দিন গুলো ভালো কেটেছে।
অনেক সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন ভাই। মিষ্টির ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই ❤️❤️
well diary bro..
Thanks bro.