Reviewing Beautiful Place - Nikli Haor
নিকলী হাওর
আবহমান বাংলার অন্যান্য গ্রামের মতোই সুন্দর কিশোরগঞ্জ। চারদিক গাছগাছালিতে ভরা। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নিকলী উপজেলায়। উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর-মাছে ভরা – এটাই কিশোরগঞ্জ জেলার পরিচয় বহন করে। হাওরাঞ্চল হওয়ায় মাছ চাষই এখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা। তারা সমন্বিত পদ্ধতিতে জলাশয়ে মাছের সঙ্গে হাঁস-মুরগি লালন-পালন করে। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে এসব এলাকা চোখে পড়ে।
গতমাসে বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম সেখানে মোটরসাইকেলে করে, আমরা প্রায় ১৪ জন গিয়েছিলাম একত্রে। অনেক ইনজয় করেছি আমরা সারাদিন। মন ভালো করার মত একটা স্থান। চারপাশে থেকে এতো সুন্দর বাতাস মন ঠান্ডা করার মতো। যেকেউ চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আশাকরি ভালো লাগবে এবং উপভোগ করতে পারবেন সময়টা ইনশাআল্লাহ।
খাবার ব্যবস্থা
দুপুরে হাওরের মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে থাকেন অনেকে তবে আমরা কিশোরগঞ্জ সদর থেকে সবার জন্য খাবার কিনে রওনা হয়েছিলাম। তবে সেখানকার খাবারের দাম তুলনামূলক সস্তা। খাবারের হোটেলগুলো মাঝারি মানের। ১০০-১৫০ টাকায় খাওয়া যায় পুরো প্লেট।
যাতায়াতের তথ্য
বাসে যেতে হলে ময়মনসিংহের পাট গুদাম এলাকা থেকে উঠতে হবে। ভাড়া নেবে জনপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা। কটিয়াদি বা কিশোরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজি অটোরিকশা বা রিকশায় নিকলী হাওর যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠ থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে বাস ছাড়ে। এক্ষেত্রেও কটিয়াদি নেমে যেতে হবে।
বাস ছাড়াও কিশোরগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ অত্যন্ত ভালো। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৮টায় ছাড়ে আন্তঃনগরট্রেন এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস। বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ। ট্রেনে গেলে কিশোরগঞ্জের আগে গচিহাটায় নেমে যেতে হবে।
নদী পথ
নিকলীর বেড়িবাঁধে পর্যটকদের কেন্দ্র করে সেখানে ছোট-বড় দোকানপাট গড়ে উঠেছে। ছোট ছোট নৌকার পাশাপাশি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আছে। এগুলো ভাড়া নিয়ে হাওরে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো যায়। ছোট নৌকা ঘণ্টাপ্রতি ভাড়া ৩০০-৪০০ টাকা। বড় নৌকার ক্ষেত্রে গুনতে হবে ৭০০-৮০০ টাকা। নৌকা ভাড়া নিয়ে দূরের উপজেলা বিশেষ করে অষ্টগ্রাম বা মিঠামইন যাওয়া যায়। আমরা সবাই মিলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করি। যাইহোক, নিকলী বেড়িবাঁধে রয়েছে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা। এসব বাহন ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া করে আশেপাশে ঘোরা যায়।
দ্বীপের মতো ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের নাচন, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মতো ছোট জলাবন ও হাওরের নানান স্বাদের মাছ। এসব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় নিকলীর অপরূপ হাওর ভ্রমণে। বিকেলটা বেশ সুন্দর সূর্যাস্ত দেখা যায় সেখান থেকে।
আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনি যে এই জায়গাটি রিভিউ দিয়েছেন এটি সত্যি খুব দুর্দান্ত স্বপ্নের মত জায়গা।
আপনাকে স্বাগতম ভাই। সুন্দর কনটেস্ট আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Thank you so much for the support.
Looks like a very nice place to visit.
thanks for sharing such a beautiful post with this community.
#steem-bangladesh