Hello my dear friends

This is @shahin05 from 🇧🇩Bangladesh

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর মেহেরবানি ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আমি Steem Bangladesh কতৃক আয়োজিত "Book review" কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমি যে বইটি নিয়ে রিভিউ করবো তার নাম হলোঃ-

মৃত্যুক্ষুধা (উপন্যাস)

source
মৃত্যুক্ষুধা কাজী নজরুল ইসলামের রচিত একটি উপন্যাস।এটি ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়।

বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য

বই এর নাম	মৃত্যুক্ষুধা
লেখক	কাজী নজরুল ইসলাম
ধরন	চিরায়ত উপন্যাস
প্রকাশনি	মাওলা ব্রাদার্স
প্রকাশ কাল	১৯৩০
পৃষ্টা	৭৫
রকমারি মুল্য	১১০

source

মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস এর সংক্ষিপ্ত কাহিনি

মৃৎশিল্পের কেন্দ্রভূমি কৃষ্ণনগরের চাঁদসড়ক।এখানের বস্তি এলাকায় বাস করে একটি দরিদ্র মুসলিম পরিবার।রোগ গ্রস্ত বৃদ্ধ মা, তিন জন বিধবা পুত্রবধু, দেবর প্যাঁকালে।পরিবারে প্রায় ডজনখানেক সন্তানের ভরনপোষণের ভার আবার উনিশ বছরের প্যাঁকালের উপার ন্যাস্ত।কুর্শি খ্রিস্টান হলেও প্যাঁকালের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল সে জন্য বিধবা রূপসী ভ্রাতৃজায়া মেজ-বৌ এর বিবাহের প্রস্তাব তার কাছে অতি তুচ্ছ।কুর্শিকে পাওয়ার আশায় প্যাঁকালে ধর্মান্তরিত হয়।

source
উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশ শুরু হয় আনসার রুবি প্রসংগে।সমাজকর্মী, দেশপ্রেমিক, আত্নত্যাগী ও সংসার বিরাগী আানসার এসে আশ্রয় নেয় লতিফার বাসায়।লতিফার স্বামী স্থায়ী কোর্টের নাজির।পরে কৃষ্ণনগরের জেলার ম্যাজিষ্ট্রেটের তরুনী কণ্যা সদ্য-বিধবা রুবির সঙ্গে শৈশবে প্রনয়ের ভালোবাসা আনসারের মনে উদয় হয়।যদিও রুবির সাথে আনসারের পুনরায় সাক্ষাত হয় উপন্যাস এর শেষের দিকে। মাঝখানে কয়েক বছর দুই জনের সাক্ষাত হয়নি।কারন রুবির অমতে তার বিয়ে হয়েছিলো অর্থলোভি এক যুবকের সাথে।তাদের সংসার টিকেছিলো মাত্র এক মাস।আনসার রাজ বন্দিহয়ে রেঙ্গুনে চলে যায় সেখানে ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ায় আনসার ওয়ালটেরায় যায়।রুবি এই সংবাদ শুনা মাত্রই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হয়।আনসারকে রোগমুক্ত করতে গিয়ে রুবি অনেক পরিশ্রম করে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ করতে ব্যার্থ হয় এবং আনসার মারা যায়।এইদিকে আবসারকে সেবা যত্ন করায় রুবিও ওই একই রোগে আক্রান্ত হয় এবং রুবিও মারা যায়।ওদিকে অভাবের তারনায় মেজ-বৌ সন্তান ফেলে খ্রিস্টান হয় এবং বরিশালে নিজের জিবন কাটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।তার ছেলেটি মারা যায়।আবার মেজ-বৌকে ফিরে আসতে হয় বস্তির জীবনে।কিন্তু মেজ-বৌ মেশনারী মেম-সাহেবদের বহু অনুরোধেও আর ফিরে যাননি আবার তৌবা করে মুসলমান ও হননি।প্যাঁকালেকে খান বাহাদুর সাহেব কুড়ি টাকার চাকরি দেওয়ায় প্যাঁকালের কুর্শিকে নিয়ে ইসলম ধর্ম গ্রহন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এখানেই কাহিনির সমাপ্তি ঘটে।

আমার মতামত

লেখক এখানে তুলে ধরেছেন তৎকালীন দারিদ্র, সুবিধা দুর্ভিক্ষের পরিপেক্ষিতে মেজ-বৌ এর মুসলিম থেকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন।অন্যদিকে রুবি আনসারকে ভালোবাসলেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয় মোয়াজ্জেম এর সঙ্গে। মোয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর রুবির জিবনে নেমে আসে সমাজের সকল নিষেধ।নারী জীবনের দুর্বিষহ -অন্ধকার এবং সমাজের বাস্তব চিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
তো বন্ধুরা এটাই ছিলো আমার আজকের "Book review" পোষ্ট।আজকে আমি প্রথম বারের মতো কোনো বই নিয়ে লিখলাম। তাই যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাবে ক্ষমা করবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে,

@shahin05