Michael Clarke - One of the most successful batsmen in Australia 🏏🏏
Michael John Clarke
Michael John Clarke
আজকে আমি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক একজন ক্রিকেটার সম্পর্কে আলোচনা করব। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার একজন সফলতম ব্যাটসমান ও বলা যায় তাকে। মাইকেল ক্লার্ক ১৯৮১ সালের ২রা এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম মাইকেল জন ক্লার্ক। তবে তার বেশ কয়েকটি ডাক নাম ছিল প্যাপ, ক্লার্কি, মাইক।মজার বিষয় মাইকেল ক্লার্কের ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের ধরন টা ছিল ভিন্ন ধরনের। তিনি মূলত বামহাতি হওয়া সত্ত্বেও ব্যাটিং ডান হাতে করতেন এবং বোলিং বাম হাতে করতেন। তার বাবাও খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তিনি একটি ইন্ডোর সেন্টারের মালিক ছিলেন। মাইকেল ক্লার্ক বিভিন্ন সময় অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০০৫ সালে তার একবার ত্বকের ক্যান্সার হয়েছিল। তাছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি ইনজুরির সাথে লড়াই করেও অন্যতম সফল একজন খেলোয়ার হয়ে ওঠেছিলেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন ক্রিকেটারের খেলা শুরুর মাধ্যম। এবং কারো ক্রিকেট এর মাধ্যমেই জাতীয় দলে উঠে আসা। মাইকেল ক্লার্ক আইপিএল খেলেছেন এবং দেশের কয়েকটি ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বছর | ক্লাবদল |
---|---|
২০১২ | পুনে ওয়ারিয়র্স ভারত |
২০০০-২০১৫ | নিউ সাউথ ওয়েলস |
২০০৪ | হ্যাম্পশায়ার |
ওডিআই ক্যারিয়ার
ওডিআই ক্যারিয়ার
মাইকেল ক্লার্ক এর ইন্টারন্যাশনাল ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৩ সালের জানুয়ারি ১৯ তারিখ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মাইকেল ক্লার্ক মুলত ওডিআই ফরমেটে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে নামতেন। দলের ইংলিশদের বিপক্ষে জয় দিয়েই মাইকেল ক্লার্ক এর ওডিআই অভিষেক শুভ হয়। সেই ম্যাচে মাইকেল ক্লার্ক ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। লো স্কোরিং ম্যাচে তার এই রানে দলের জয়ের জন্য ভালো স্কোর ছিল।
সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায়। মাইকেল ক্লার্ক সর্বমোট ২৪৫ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। ওডিআই ক্রিকেটে সর্বমোট ৭৯৮১ রান করেছেন এবং তার ব্যাটিং এভারেজ ছিল ৪৪.৫৮ । তবে ক্যারিয়ারে শতকের থেকে তার অর্ধশতক ছিল চোখে পড়ার মতো। ওডিআই মোট ৮ সেঞ্চুরি করলে তিনি সর্বমোট ৫৮ টি অর্ধশতক স্কোর করেছেন ।
ওডিআই ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর করেছিলেন ১৩০। ইন্ডিয়ার বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ১৩০ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্ডিয়ার মধ্যকার প্রথম ম্যাচ ছিল। ১৩০ রান করেছিলেন ১৩২ বলে মোকাবেলা করে। তার সম্পূর্ণ ইনিংসে ছিল ১০ টি চার এবং ৩টি ছক্কা। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করে ৩০৭ রান করে ৭ উইকেটে। তবে সেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। ওডিআই ক্যারিয়ার বোলিংয়ে তিনি মোট ৫৭ উইকেট নিয়েছিলেন। তার বেস্ট বোলিং পারফরম্যান্স ছিল ৫-৩৫ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
টোটাল ম্যাচ | ২৪৫ |
---|---|
ইনিংস | ২২৩ |
রান | ৭৯৮১ |
১০০/৫০ | ৮/৫৮ |
সর্বোচ্চ | ১৩০ |
গড় | ৪৪.৫৯ |
উইকেট | ৫৭ |
বেষ্ট উইকেট | ৫-৩৫ |
টেস্ট ক্যারিয়ার
টেস্ট ক্যারিয়ার
মাইকেল ক্লার্কের আজকের টেস্ট অভিষেক হয় ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ২০০৪ সালে ৬ অক্টোবর। ওডিআই ক্রিকেটে তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটে মাইকেল ক্লার্ক আরো বেশি সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন। ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচেই ম্যান অফ দা ম্যাচ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন অসাধারণ একটি খেলা উপহার দেন । বেঙ্গালুরুতে ২০০৪ সালে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৫১ রান করেন। ম্যাচটিতে অষ্ট্রেলিয়া যথাক্রমে ৪৭৪ এবং ২২৮ রান করে।
জবাবে ইন্ডিয়া ২৪৬ এবং ২৩৯ রান করে। ফলাফলে অস্ট্রেলিয়া ২১৭ রানে জয়লাভ করে। মাইকেল ক্লার্ক ম্যাচটিতে যথাক্রমে ১৫১ এবং ১৭ রান করে। মাইকেল ক্লার্ক ১১৫ টেষ্ট ম্যাচ খেলেন এবং ৮৬৪৩ রান করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে অর্ধ শতকে তুলনায় তারা শতকের সংখ্যাই ছিল বেশি। সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারে মাইকেল ক্লার্ক মোট ২৮ টি সেঞ্চুরি করেন এবং ২৭ অর্ধশতক পূর্ণ করেন। তবে শুধু সেঞ্চুরি করেছেন তা নয়। টেষ্টে তিনি ট্রিপল সেঞ্চুরিও করেছেন।
ট্রিপল সেঞ্চুরি খুব অল্পসংখ্যক ব্যাটম্যান করতে পেরেছেন । সিডনিতে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ ছিল এটি। ইন্ডিয়া যথাক্রমে ১৯১ এবং ৪০০ রান করে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসেই ৬৫৯/৪ ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয়। মাইকেল ক্লার্ক তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৩২৯ রান করেন প্রথম ইনিংসে। এছাড়া মাইকেল ক্লার্ক চারটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তার টেস্ট ব্যাটিং গড় ছিল ৪৯.১১। টেস্টও তিনি দলের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে বোলিং করতেন। সর্বমোট ৩১ উইকেট সহ তার বেস্ট বোলিং ৬/৯ রান। ২০১৫ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন।
টোটাল ম্যাচ | ১১৫ |
---|---|
রান | ৮৬৪৩ |
১০০/৫০ | ২৮/২৭ |
সর্বোচ্চ | ৩২৯ |
গড় | ৪৯.১১ |
উইকেট | ৩১ |
বেষ্ট উইকেট | ৬-৯ |
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার
টি-টোয়েন্টি খেলার শুরু থেকে মাইকেল ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে ছিলেন। যদিও তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার খুব বেশী ভালো ছিল বলা যাবে না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের অভিষেক হয় ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এবং সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১০ সালে। অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে তিনি সর্বমোট ৩৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে। ২১ গড়ে ৪৮৮ রান করেন।টি-টোয়েন্টিতে তার একটি হাফ-সেঞ্চুরী রয়েছে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৬৭ রান করেন। তবে টি-টোয়েন্টি অনেক ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব পালন করেন।
টোটাল ম্যাচ | ৩৪ |
---|---|
রান | ৪৮৮ |
১০০/৫০ | ০/১ |
সর্বোচ্চ | ৩২৯ |
গড় | ২১.২২ |
উইকেট | ৬ |
বেষ্ট উইকেট | ১-২ |
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার প্রিয় একটু খেলোয়াড়ের সম্পর্কে বলার জন্য।❤️❤️❤️💛💛
Thanks bro
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্লার্ক আমার প্রিয় একজন খেলোয়াড়। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন তার ক্যারিয়ার সম্পর্কে
ধন্যবাদ
Dear friend @selimreza1 you are sport specialist 👍
Keep it up Dear friend ❤️
Wish you best of luck 💕
Thank u bondu
ভালো লিখেছেন।
thanks
অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
অসাধারণ ❤️
ধন্যবাদ