Bangladesh best captain 🏆(মাশরাফি বিন মুর্তজা 🏆)
Hello friends
I am @selimreza1
মাশরাফি বিন মুর্তজা
মাশরাফি বিন মুর্তজা
🏆আমি আজকে আলোচনা করবো বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কে নিয়ে। তিনি একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক টেস্ট, ওয়ানডেতে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন এবং বর্তমানে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ১০০টি উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে তিনি ৫ম বোলার।🏅
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা নড়াইল-এ মাশরাফীর জন্ম ৫ অক্টোবর ১৯৮৩ । ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঁধাধরা পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন, আর মাঝে মধ্যে চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটতেন।
বাংলাদেশের সফলতম পেস বোলারদের একজন।🏆 আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিং দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন, যিনি কিনা তখন দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফীকে বাংলাদেশ এ-দলে নেয়া হয়।🏏
বাংলাদেশ এ-দলের হয়ে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেই মাশরাফী জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ৮ নভেম্বর, ২০০১ এ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচে তিনি 106 রানে 4 উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার এর উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এটি ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্ট খেলার সময় তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এর ফলে তিনি প্রায় দু'বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ইংল্যন্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলায় তিনি সফলতা পান। আবার তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এযাত্রায় তিনি প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য হন।
২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়কে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে আউট করে তিনি স্বরুপে ফেরার ঘোষণা দেন। সেই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেন এবং তেন্ডুলকর ও গাঙ্গুলীকে আউট করার সুযোগ তৈরি করেন। তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তিনি উইকেট পাননি। এই সিরিজের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি।
২০০৬ ক্রিকেট পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফী ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারী। তিনি এসময় ৪৯টি উইকেট নিয়েছেন।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তিনি ৩৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
মাশরাফী একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান। ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তিনি পরপর চার বলে ছক্কা পেটান। সেই ওভার থেকে তিনি ২৬ রান সংগ্রহ করেন যা কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের জন্য এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ১১ বার চোটের কারণে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফীকে। চোটই তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ২০১১ সালের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। ২১৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী হিসাবে তুলে ধরেন নিজেকে।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের সাথে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের পর ওডিআই দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে যান। তিনি শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় নিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়লেও খেলা চালিয়ে যাবেন। এমনটা তিনি নিশ্চিত করেন ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে। তিনি ৮৮টি ওয়ানডে খেলায় নেতৃত্ব দিয়ে ৫০টিতে জয় লাভ করে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাশরাফির অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আর এর জন্য বাংলাদেশের মানুষ মাশরাফিকে অনেক বেশি ভালোবাসে।
মাশরাফী ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন
Career statistics
Competition | Test | ODIs | T20I |
---|---|---|---|
matches | 36 | 209 | 54 |
runs | 696 | 1,752 | 36 |
Batting average | 12.75 | 14.01 | 13.48 |
100/50 | 0/3 | 0/1 | 0/0 |
Highest run | 69 | 51 * | 44 |
Wickets | 78 | 265 | 42 |
A great description of Mashrafe's career. Nicely written.
ধন্যবাদ ভাই
খুবই সুন্দর ডিটেইলস শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই