"শুভ জন্মদিন দিদি"
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি, আমার ননদের জন্মদিন। আমার বিয়ের পর প্রতিবারই আমরা এইদিনে দিদি বাড়ি যাই। প্ল্যান করি, সবাই এক জায়গায় হৈ হৈ করি। তবে এইবার সারাদিনে যদিও তেমন কোনো প্ল্যান হয়নি, শেষ মুহূর্তে দাদা (ননদের বর) অফিস থেকে ফেরার পথে কেক নিয়ে এসেছে, অঙ্কন (দিদির বড় ছেলে) বেলুন কিনে এনে মাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে। আসলে দিদি নিজের কাজে বিকালে একটু বাজারে গিয়েছিল, সেই ফাঁকে অঙ্কন সব করেছে,বাড়ি ফিরে এই সব দেখে দিদি একেবারে হতবাক।
আমাকে ও সন্ধ্যাবেলা ফোন করলো, আর কিছুক্ষণ পরেই দাদা এলো আমাকে আর আমার শ্বশুড় মশাইকে নিতে। শাশুড়ি ২ দিন ধরে ওখানেই ছিলো। এমন একটা সারপ্রাইজ এর জন্য আমিও রেডি ছিলাম না।গিয়ে দেখি ঘরে বেলুন ঝোলানো আর টেবিলের ওপর ফুলদানিতে কতগুলো ফুল রাখা, দেখেই বুঝলাম দাদার কাজ।প্রতিবার দাদা দিদিকে তাদের বিবাহবার্ষিকীতে আর দিদির জন্মদিনে আর কিছু দিক বা না দিক ফুল তো দেবেই।
এসে দেখি দিদির রান্নাবান্না সব হয়ে গেছে, ফ্রাইড রাইস আর চিকেন করেছিল। আমি যাওয়ার পর দিদিকে জোর করে শাড়ী পড়ালাম। তারপর আমরা কেক কাটার আয়োজন করলাম।
দাদা টেবিলটাকে ঠিক করলো, আমি মোমবাতি লাগালাম, এরপর সবাই মিলে কেক কাটলাম, সাথে গান ও চলছিল। তুতুন (ননদের ছোটো ছেলে) কেক কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই ওকে সাথে নিয়েই কেক কাটা হলো,সবাই মিলে ফটো তুললাম। বেশ মজা হলো, শেষে খাওয়া, দাওয়া করে আমরা বাড়ি ফিরলাম। দেখতে দেখতে আর ও একটা বছর কেটে গেলো।
যাইহোক, দিদি যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে এই প্রার্থনা করি,আপনারাও সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।শুভরাত্রি।
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER: