Steem bangladesh contest \ book review /📚(চাঁদের পাহাড়)
আসসালামুআলাইকুম
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি (চাঁদের পাহাড় )📗বইটির রিভিউ শেয়ার করব।
(চাঁদের পাহাড়)
🌇প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা উপন্যাস।[ ১৯৩৭ সালে এই বইটি প্রকাশিত হয়। ভারতবর্ষের সাধারণ এক তরুণের আফ্রিকা মহাদেশ জয় করার কাহিনী নিয়ে উপন্যাসটি। 📗বাংলা ভাষার অনেক জনপ্রিয় রোমাঞ্চকর উপন্যাসে টি। এই উপন্যাসটি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। এই উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা তৈরি করা হয়।🌜
লেখক | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
---|---|
অঙ্কনশিল্পী | শ্যামালিকা বসু |
প্রচ্ছদ শিল্পী | সত্যজিৎ রায় |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | রোমাঞ্চকর উপন্যাস |
প্রকাশক | এম. সি. সিরকার এন্ড সনস লিমিটেড (আসল বাংলা),কথা বুকস (ইংরেজি অনুবাদ) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৩৭ |
ইংরেজিতে প্রকাশিত | ১ জুলাই ২০০২ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৭৫ পৃ (ইংরেজি অনুবাদে) |
চরিত্রসমূহ:
শঙ্কর রায় চৌধুরী:
উপন্যাসের নায়ক, বাংলার এক সাধারণ গ্রাম থেকে উঠে আসা তরুণ। সে বুদ্ধিমান, আত্মপ্রত্যয়ী এবং রোমাঞ্চইচ্ছুক।
ডিয়েগো আলভারেজ:
পর্তুগিজ অভিযাত্রীক ও স্বর্ণসন্ধানী। সে শঙ্করের বন্ধু ও পরামর্শদাতা ছাড়াও হিরের অনুসন্ধানে তার সাথে যায়।
জিম কার্টার:
ব্রিটিশ অভিযাত্রীক। প্রথমবারে সেই আলভারেজের সাথে হিরের খনীর সন্ধানে বেরিয়েছিল। কার্টার চাঁদের পাহাড় খুঁজতে গিয়ে বুনিপের হাতে মারা যায়।
কাহিনী :
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শঙ্কর রায় চৌধুরী। তিনি তিনি গ্রামের একজন সহজ সরল তরুণ। তিনি লেখাপড়া অনেক ভালো ছিলেন। গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর তিনি একটি পাটকলে চাকরি নেন। কিছুদিন পর চাকরি তার ভালো লাগে না, তিনি সবসময় রোমাঞ্চ খুজতেন। শঙ্করের মাঝে সব সময় কিছু জয় করার তাড়না খুঁজে বেড়াতো। তার গ্রামের এক অধিবাসীর সহায়তায় তিনি আফ্রিকায় পাড়ি জমান।
আফ্রিকান যাওয়ার পর তিনি উগান্ডার রেলওয়েতে চাকরি নেন। কিন্তু সেখানে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। আফ্রিকার মানুষ খেকো সিংহম ব্ল্যাক মাম্বা সাপ ইত্যাদির ভয় তো আছেই। সিংহের সাথে তার একবার লড়াই হয়। এত সমস্যার পরও শঙ্করের মনে কখনো ভয় কাজ করত না।
পর্তুগিজ অভিযাত্রীক ও স্বর্ণসন্ধানী ডিয়েগো আলভারেজ- এর সাথে শঙ্করের পরিচয় হয়। আলভারেজ তাকে তার তার সাথে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা শংকরের সাথে শেয়ার করেন।
ডিয়েগো আলভারেজ ও সঙ্গী জিম কার্টার হিরো খনির সন্ধানে বের হয়। তারপর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন তারা।এক পর্যায়ে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরক খনির সন্ধান পেয়ে যায়। কিন্তু ভয়ংকর জন্তু বুনিপ জিমকে মেরে ফেলে।ডিয়েগো আলভারেজ সেখান থেকে প্রাণ নিয়ে কোনরকমে ফিরে আসেন।
এসব ঘটনা শুনে শংকর চাকরি ছেড়ে দেন। শংকর আলভারেজ এর সাথে খনি অনুসন্ধানের জন্য বের হয়ে যায়। তারা পথের অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি তাদের অভিযানের পথে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও তারা অনেক সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে।এক পর্যায়ে আলভারেজকেও সেই ভয়ংকর জন্তু বুনিপ মেরে ফেলে। এদিকে শংকর একা হয়ে পড়ে। তারপরও ভীত নয় হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
সেই গুহা খুঁজে পায় এবং নিজের অজান্তেই হীরক খনি খুঁজে পায়। সেই গুহায় সে রাস্তা হারিয়ে ফেলে। অনেক চেষ্টার পর সে কিছু পাথরের সহায়তায় গুহা থেকে বের হতে পারে। সেখান থেকে আসার সময় সে সাথে করে কিছু পাথর নিয়ে আসে। সেইসাথে করে যেগুলো নিয়ে এসেছে সেগুলো পাথর নয় কাঁচা হীরা। আর সে যেখানে পৌঁছে ছিল সেটা হচ্ছে হীরার খনি। আর এই খনির সন্ধান এর জন্য জিম এবং আলভারেজ জীবন হারিয়েছে। শংকর এক পর্যায়ে কালাহারি মরুভূমিতে পথ হারিয়ে ফেলে।
এখন তার নিজের বেঁচে থাকাই অনেক কঠিন হয়ে গেছে। পথে সিংহের সাথে একবার তার লড়াই হয়। এই যাত্রায় সে প্রাণে রক্ষা পায়। পানির অভাবে শংকর অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
শংকর অবস্থা এতটাই শোচনীয় ছিল যে তার মাথার উপর দিয়ে শকুন ঘোরাঘুরি করতো। অবশেষে এক সার্ভে টিম শংকর কে খুঁজে পায়। তাদের সহায়তায় শঙ্করের জীবন বেঁচে যায়। বইয়ের শেষে শংকর বলে সে বড় দল নিয়ে আবার খুনি সন্ধানে বের হবে। যার জন্য জিম এবং আলভারেজ জীবন দিয়েছে।
মন্তব্য :
📚📖বই পড়লে অনেক জ্ঞান বারে। এ বইটিতে একটি অভিযানের কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বই পড়লে অনেক ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। চাঁদের পাহাড় উপন্যাসটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের ও খুব ভালো লাগবে।🌌
চাঁদের পাহাড় নিয়ে উপন্যাস আছে জানা ছিলনা। মুভিটা দেখেছিলাম, ভাল মুভি। সুন্দর পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
Participate in the contest and get the chance to win steem. Contest link-
https://steemit.com/hive-151614/@rupok/sunset-photography-contest
ভালো হয়েছে আপনার পোস্ট,সুন্দর হহয়েছে অনেক
ধন্যবাদ
সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ