Movie Review|| Death Note 🎬 || Movie 2017 || 10 May 2021
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from Bangladesh
আজ ১০ ই মে, রবিবার।
হ্যালো বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি মুভি রিভিউ করব। ব্যক্তিগতভাবে ভৌতিক বা ভুতুড়ে মুভিগুলো আমার অন্য রকম ভালো লাগে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে মুভিটি রিভিউ করব।
সেই মুভিটির নাম: Death Note.
Death Note 🎬
Death Note এটি মূলত আমেরিকান মুভি । 2017 সালের আগস্ট মাসের 24 তারিখে আমেরিকাতেই মুভি রিলিজ করা হয়। এই মুভিটির গল্প সংগ্রহ করা হয় জাপানি একটি গল্প থেকে, গল্পের নাম এবং মুভিটির নাম একই ছিল।
মুভির তথ্য
Movie Name | Death Note |
---|---|
Directed by | Adam Wingard |
Produced by | Roy Lee,Dan Lin,Masi Oka,Jason Hoffs,Ted Sarandos |
Screenplay by | Charles Parlapanides,Vlas Parlapanides,Jeremy Slater |
Music by | Atticus Ross , Leopold Ross |
Edited by | Louis Cioffi |
Release date | August 24, 2017 |
Country | United States |
Budget | $40 million[1] |
Distributed by | Netflix |
মুভির ঘটনা
গল্পের শুরুতেই দেখা যায়, মুভির নায়ক এর নাম (লাইক), (লাইক) স্কুলের খেলার মাঠের বাগানের পাশে, একটি বেঞ্চে বসে আছে। কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনছিলো এবং হোমওয়ার্ক করছিল।
হঠাৎ বৃষ্টি পড়া শুরু হয়। সবাই দৌড়াদৌড়ি করে। ( লাইক) তার বই খাতাগুলো ব্যাগের মধ্যে ঢুকায়। ঠিক এই সময় আকাশ থেকে একটি পুরনো বই ( লাইক) এর সামনে পড়ে।
বৃষ্টির মাঝে ( লাইক) যখন এই স্কুলের মাঝের দৌড়ে যেতে থাকে তখন একটি ছেলের সাথে ধাক্কা লাগে। ওই ছেলে এবং তার বন্ধুরা ( লাইক) কে খুব মারধর করে।
মারামারির সময় (লাইক) অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। স্কুলের ম্যাডাম যখন ঘটনাস্থলে আসেন। তখন দেখতে পান ( লাইক ) মাটিতে পড়ে আছে অজ্ঞান অবস্থায়, তার ব্যাগে স্কুলের শিক্ষার্থীদের হোম ওয়ার্ক এর খাতা ছিল। ম্যাডামের বুঝতে বাকি রইল না, ক্লাসের সকল ছাত্র-ছাত্রীর হোমওয়ার্ক এই ছাত্রটি করে দেয়। তাই ( লাইক ) এর শাস্তি স্বরূপ , তাকে একটি ফাঁকা ক্লাস রুমে বসিয়ে রাখে।
ক্লাসরুমে বসে থাকার সময় ( লাইক ) এর মনে পরে। কিছু সময় আগে সে একটি হাজার বছর পুরনো বই পেয়েছে । সে বইটি পড়া শুরু করে। অনেক বছর পুরনো বইয়ের এর মধ্যে বিভিন্ন মানুষের নাম লেখা রয়েছে, এবং লেখা রয়েছে তাদের মৃত্যুর কারণ।
ঠিক সেই সময়ই, ক্লাসে অদ্ভুত কোন কিছু অনুভব করে। ( লাইক ) লাইক অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। কিছু সময় পর সে একটি অদ্ভুত প্রাণী দেখতে পায়। সেই প্রাণীটি নিজেকে মৃত্যুর ফেরেশতা বলে দাবি করেন এবং তাকে বলে সেই পুরনো ডাইরির মাঝে যে ব্যক্তির নাম লিখবে এবং তার মৃত্যুর কারণ যেটি চিহ্নিত করবে, ঠিক ওই সময় ওই ভাবেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হবে।
(লাইক) কিছুক্ষণ আগে মারামারি হওয়া, সেই ছেলেটির নাম লিখল, সাথে সাথে ঐ ছেলেটির মৃত্যুবরণ করল। এরপর ( লাইক ) সত্যিই বিশ্বাস করলো যে এই প্রাণীটি সত্যিই একজন মৃত্যুর ফেরেশতা।
এরপর ( লাইক ) স্কুলে যখন একা বসে থাকে তখন তার একটি মেয়ে বন্ধুর সাথে কথা হয়। সে তার বন্ধুটিকে তার ডায়রির ব্যাপারে খুলে বলে । মেয়েটি প্রথমে বিশ্বাস করতে চায় না। তৎক্ষণাৎ একটি ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে সে প্রমাণ করে দেয়।
ডাইরির ব্যাপারটি মেয়েটির কাছে, খুব আনন্দদায়ক বলে মনে হয়, মেয়েটির নাম ছিলো মিয়া। মিয়া তখন ছেলেটির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। ছেলেটি তখন মেয়েটিকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। তখন তারা দুজন মিলে চিন্তা করে, পৃথিবীর সকল খারাপ মানুষ কে তারা মেরে ফেলবে। এভাবে তারা একে একে কয়েকশো মানুষ মেরে ফেলা। এবং সে ব্যক্তি কে মৃত্যুর আগে বলা হয় একটি নির্দিষ্ট নাম লিখে যেতে। সে নামটি হল ( কিরা ) পৃথিবীর সবাই ভাবতে শুরু করে ( কিরা ) নামক একজন ব্যক্তি পৃথিবীর সব খারাপ মানুষদের মেরে ফেলছে।
এতগুলো ক্রিমিনাল এর মৃত্যুর পর, দেশের অনেক মানুষ কিরাকে হিরো , অন্যদিকে দেশের সরকার কিরাকে একজন সিরিয়াল কিলার হিসেবে তাকে ক্রিমিনাল লিস্ট এড করে দেয়। পুলিশ এখন তাকে খুঁজছে।
ঠিক এই সময় আমেরিকার একজন কুখ্যাত গোয়েন্দার হাতে কেসটি দেয়া হয়। এই গোয়েন্দার ছদ্মনাম ছিল লি। তার আসল নাম এবং তার চেহারা কেউ দেখেনি।
গোয়েন্দা লি টিভিতে লাইভ এসে বলে, কিরা পারলে তুমি আমাকে মেরে দেখাও| মূলত লি কিরাকে একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। কিন্তু কিরা কিছুই করতে পারে না কারণ, গোয়েন্দার আসল নাম কেউ জানে না এবং চেহারা কেউই দেখেনি।
গোয়েন্দা লি ছিল খুবই চালাক, সে বুঝে ফেলে কিরা ঠিক তখনই মানুষকে হত্যা করতে পারে, যখন সে ঐ ব্যক্তির আসল নাম এবং চেহারা দেখতে পারেন।
মৃত্যুর দেবতা এবং ডাইরির মালিকানা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম ছিল।
প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একজন মানুষের নাম লিখতে হবে।
মৃত্যুর কারণ গুলো স্বাভাবিক হবে, আধ্যাত্মিক কিছু দেয়া যাবে না।
ডাইরিতে লেখা কোন মানুষের নাম যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে সে মানুষটি বেঁচে যাবে।
ডাইরিতে লেখা নাম গুলোর মাঝে সর্বোচ্চ একজন মানুষকে জীবিত করা যাবে।
সাত দিনের মধ্যে যদি কারো নাম লেখা না হয়, অটোমেটিক ডায়েরি এবং মৃত্যুর দেবতা নতুন মালিকের সন্ধানে বের হবে।
এরমাঝে গোয়েন্দা তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শহরের কিছু মানুষকে সন্দেহ করে। যার মাঝে মুভির হিরো নামটি প্রথম। তাই লাইক এখন মানুষ হত্যা থেকে কিছুদিন বিরত থাকে। কিন্তু তার প্রেমিকা ডাইরিটি চুরি করে নিয়ে তার নিজের ইচ্ছামত বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করেন।
লাইক এর বাবা একজন গোয়েন্দা ছিলেন। নাইক তার বাবা এবং গোয়েন্দা লি এই দুইজনকে কোন ভাবেই মানতে পারছিলেন না। গোয়েন্দা লি তখন সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হার, এই আসেন হত্যাকারী কে। লাইক এর বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ ছিলনা তাই সে নিজেই লাইক এর সাথে দেখা করে।
লাইক কোনকিছুই স্বীকার করে না। এভাবে গোয়েন্দা এবং লাইকের মাঝে একটি ঝামেলা চলতে থাকে। এরমাঝে নায়িকা মিয়া গোয়েন্দার কাছের কিছু বন্ধুকে মেরে ফেলে। এর কারণে গোয়েন্দা লি মুভির নায়ক লাইট মেরে ফেলার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।
লাইক এবং মিয়া গোয়েন্দা লি এর হাত থেকে বাঁচার জন্য পালাতে থাকে। পালাতে পালাতে তারা একটি রোলার কোস্টারের মাঝে উঠে পড়ে।
রোলার কোস্টারে যখন উপরে চলে যায়। তখন লাইক মিয়াকে বলে তারা এই মানুষের হত্যাকান্ড বন্ধ করে দেবে।
মিয়া তখন তাকে জানায়, ডাইরির কয়েকটি পাতা তার কাছে রয়েছে, সে যদি ডাইরিটি তাকে দিয়ে না দেয় তাহলে মিয়া ডায়েরির পাতায় লাইক এর নাম লিখে দেবে। এই বলে মিয়া লাইক এর হাত থেকে ডাইরিটি ছিনিয়ে নেয়।
অন্যদিকে লাইক ডাইরির পাতায় লিখেছিলাম, মিয়া যদি তার কাছ থেকে ডায়েরি ছিনিয়ে নেয় তাহলে মিয়ার মৃত্যু হবে। যেহেতু মিয়া ডাইরিটি ছিনিয়ে নিয়েছে, এবং লাইকের নাম পূর্বে ছিল। দুজন একত্রে থেকে পড়ে যায় ।
মিয়া নিচে পড়ে মারা যায়, কিন্তু লাইক বেঁচে যায়। কারণ ডাইরির যে পাতায় লাইকের নাম লেখা ছিল ওই পাতাটি আগুনে পুড়ে যায়।
লাইক নিজের সম্পর্কে আরও লিখিয়ে, একজন ডাক্তার তাকে বাঁচাবে এবং হসপিটালে নিয়ে যাবে। হসপিটালে এডমিট করানোর পর ডাক্তারটি আত্মহত্যা করবেন। কারণ ডাক্তারটি একটি মেয়েকে রেপ করেছিল। ঘটনাক্রমে লাইক বেঁচে যায়।
লাইক এর অসুস্থ থাকার সময় ডাইরিটি অন্য এক ব্যক্তির হাতে চলে যায়। সে নিজের ইচ্ছামত মৃত্যুদণ্ড চালাতে থাকে। এর ফলে দেশের লোক এবং প্রশাসন মনে করে হত্যাকারী লাইক নয়।
তারপর সেই লোকটি লাইকার হসপিটালে এসে লাইক এর কাছে ডাইরিটি দিয়ে যান।
এভাবে লাইক এর উপর থেকে মামলা সরে যায়, লাইকের প্রেমিকা মারা যায়, এবং ডাইরিটি ও ফেরত পায়।
- IMDb rateing : 4.5
- My rateing: 8
মুভিটি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন । এখানে
onk sundor review
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
#bd-comment
Khub sundor vabe review korcen bro....
অনেক অনেক ধন্যবাদ
#bd-comment
Beautiful post brother. Nice use of markdown. I never watched this movie. Will give it a try.
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। যদি রহস্যময় ছবি ভালো লাগে তাহলে মুভিটি দেখতে পারেন।
#bd-comment
খুব সুন্দর ভাবে মুভিটার কাহিনী তুলে ধরেছো ভাই।
ভালো লেগেছে💚
Thank so much bro💕💕❤️
valo review hoyeche
Thank u dstw💕💕
welcome