Travel to Tajhat Jamidar Palace | | 30% beneficiaries goes to @hive-138339
হ্যালো বন্ধুরা!
আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
আজকে আমি Steem Bangladesh কর্তৃক আয়োজিত Travel কন্টেস্টটিতে অংশ নিতে যাচ্ছি।গত সপ্তাহে আমি আমাদের রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এখন সেই কাহিনীই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
তাজহাট জমিদার বাড়ি হলো বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। এখানে যাওয়ার জন্য আপনারা ট্রেনে করে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে নামবেন। তারপর সেখান থেকে একটা অটো নিবেন। স্টেশন থেকে জমিদার বাড়ির গেইটে আপনাকে নামিয়ে দিবে ১০ টাকা ভাড়া মাত্র। এই জমিদার বাড়িতে গত সপ্তাহে আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে ভ্রমনে গিয়েছিলাম। মূলত আগেই আমরা পরিকল্পনা করি যে আমরা তাজহাট জমিদার বাড়িতে বেড়াতে যাবো। তাই একদিন সকালে ১১ টার সময় মেস থেকে বের হলাম। সেদিন রোদও ছিলো না, ঠান্ডা ছিলো প্রচুর। আমি আমার বন্ধু সোহাগ, মনির ও কাওসার এই চারজন মিলে চলে গেলাম তাজহাট জমিদার বাড়িতে। এর আগেও আমি এখানে বেড়াতে এসেছিলাম বসে যায়গাটা আমার পরিচিত ছিলো। ৮০ টাকা দিয়ে ৪ টা টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম সবাই।
তাজহাট জমিদার বাড়িটিতে ঢুকেই অনেকগুলো ফুলের গাছ চোখে পড়লো। জমিদার বাড়ি যাওয়ার পথে হাতের ডানদিকে শুধু ফুল আর ফুল। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ছিলো। যেহেতু এটা একটা দর্শনীয় স্থান সেহেতু অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে এসেছিলো। ফুলগুলোর ছবি তোলার জন্য সোহাগ আগে গেলো। তারপর ওর দেখাদেখি মনির, কাওসার ও আমি চলে গেলাম। সবাই মিলে ফুলের ছবি তুললাম। সেখানে দেখলাম তিনজন বয়স্ক লোক ফুলের সাথে নিজেদের ছবি তুলছে। ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ওদের ছবি তুলতে চেয়েছিলাম কিন্তু যদি কিছু মনে করে এই ভেবে আর তুলিনি। এখানকার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হলো দুই তলায় থাকা যাদুঘর। কিন্তু এটা বর্তমানে বন্ধ থাকে।
ফুলের ছবি তোলার পর আমরা চলে গেলাম আসল যায়গায়। অর্থাৎ জমিদার বাড়িটিতে। এটি একটি দুইতলা ভবন। এই ভবনের সিড়িগুলো অনেক বড়। আমরা গিয়ে দেখলাম সিড়িতে অনেক মানুষ ছবি তুলছে। আমরাও গিয়ে ছবি তোলা শুরু করে দিলাম। সবাই মিলে গেইটের সামনে থেকে সেলফি তুললাম। তারপর কয়েকটা ছবি তুলে ভিতরে চলে গেলাম। ভিতরে গিয়ে তো আমার বুকটা ফেটে গেলো। ভিতরে গিয়ে দেখলাম সব প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের সোনালি সময় কাটাচ্ছে। তাই সেখানে বেশীক্ষন না থেকে বাইরে বের হয়ে আসলাম। বাইরে এসে আবারো সিড়ির উপর চড়লাম। সবাই মিলে ছবি তুললাম আর পুরো জমিদার বাড়িটি ভালোভাবে দেখলাম। সিড়ির উপর থেকে পুরো এরিয়াটি ভালোভাবে লক্ষ করা যাচ্ছিলো।
সিড়ির উপরও কয়েকজন প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরের ছবি তুলে দিচ্ছিলো। যেটা দেখে ভালো লাগছিলো আবার বুকটা ফেটেও যাচ্ছিলো😅 সেখানে কয়েকটা ছবি তুলে চলে আসলাম। আসার পথে রাস্তায়র দুইপাশে নারিকেল গাছ দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিলো নারিকেল গাছের ছবি তুলে নিলাম। তবে জমিদার বাড়ির আশে পাশে তেমন ভালো হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই। যদি আপনি ভালোভাবে খেতে চান তাহলে আপনাকে শাপলা বা লালবাগে যেতে হবে। তাই আমরা দুপুরের খাবারের জন্য লালবাগে চলে গেলাম। সেখানে একটি বিরিয়ানি হাইজে বিরিয়ানি খেলাম। তারপর যে যার মেসে ফিরে আসলাম আর এভাবেই আমার ভ্রমনের সমাপ্তি ঘটে।
Device | Samsung Galaxy M20 |
---|---|
Location | Tajhat Jamindar Palace |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোষ্ট। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমি এই কন্টেস্টটিতে অংশ নেয়ার জন্য @mn14 ও @ssab কে আমন্ত্রণ যানাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে 💙
ধন্যবাদন্তে:)
@saikat000
তাজহাট জমিদার বাড়ি খুব সুন্দর একটি জায়গা। আমারও অভিজ্ঞতা আছে এই জমিদারবাড়ি ভ্রমণের। প্যালেসের সামনের দিকটা খুব সুন্দর। সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাই 💙
অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন। জমিদার বাড়িটি অনেক সুন্দর।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER: