Steem Bangladesh Contest || Book Review :- "পথের পাঁচালী " ||2% Beneficiaries to @bd-charity
" পথের পাঁচালী " বইটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকোষ
পথের পাঁচালী বইয়ের -
১.লেখকঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
২.দেশ ও ভাষাঃ ভারত ও বাংলা ভাষা
৩.প্রকাশকঃ রঞ্জন প্রকাশলয়
৪.প্রকাশনার তারিখঃ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ (1929 খিষ্টাব্দ)
৫.ধরণঃ পারিবারিক কাহিনী ও বিয়োগান্তক
৪.পৃষ্ঠার সংখ্যাঃ ১৭০
৭.প্রচ্ছদ ও অলংকরণঃ ধ্রুব এষ
৮.উৎসর্গঃ পিতৃদেবকে
৯.পরিচ্ছদঃ ৩৫ টি
১০.ছোটদের জন্য সংস্করণের নামঃ আম আঁটির ভেঁপু
১১.উপজীব্য বিষয়ঃ গ্রামীন জীবন
"পথের পাঁচালী " বইয়ের পরিচ্ছেদের বিভক্তি
১ম খন্ডঃ বল্লালী বালাই(পরি: ১-৬) - ( ইন্দির ঠাকরূণের বর্ণনা)।
২য় খন্ডঃ আম আঁটির ভেঁপু(পরি: ৭-২৯) - ( দুর্গা-অপুর শৈশব থেকে কৈশর,দুর্গার মৃত্যু,অপুর স্বপরিবারে কাশীযাত্রা)
৩য় খন্ডঃ অক্রুর সংবাদ(পরি: ৩০-৩৫) - (অপুদের কাশী জীবন,বাবার মৃত্যু,মায়ের কাজের জন্য কাশীত্যাগ,শেষে নিশ্চিন্দিপুরে ফেরা)
" পথের পাঁচালী " বইয়ের গল্পের সংক্ষিপ্তসার
হরিহর রায়, বংশ ব্রাহ্মণ, তবে মর্যাদায় খুব বেশি বড় নয়।সে তার পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্দিপুরে থাকে।পরিবার বলতে বউ সর্বজয়া,ইন্দিরা ঠাকুর(দূর সম্পর্কের পিসি), মেয়ে দুর্গা আর ছেলে অপু।
হরিহর রায় পেশায় পুরোহিত।সামান্য লেখাপড়া জানে তার ইচ্ছা যাত্রাপালা লিখে অধিক অর্থ উপার্জন।বাস্তবে তিনি খুবই ভালো ও লাজুক মানুষ তাই সহজেই সবাই তাকে ঠকিয়ে দেয়।
হরিহরের পরিবারে তাই অভাব-অনটন লেগেই থাকে।সর্বজয়া সবসময় ই তাই খিটখিট করতে থাকে কারণ পাড়ায় বের হলেই বা কাপড় কাচঁতে বের হলেই পাওনাদাররা সবসময় কথা শোনায়।তারপর তাদের সাথে থাকে ইন্দির ঠাকুরণ।সর্বজয়া একেবারেই তাকে দেখতে পারেনা।স্বভাবতই যার সংসারে টানাপোড়ন তার কি বাইরের লোক ভালো লাগবে!!তাই সর্বজয়া সবসময় তাকে কথা শোনায় কোনো না কোনো ভাবে। কোনো পর্যায়ে সর্বজয়ার অত্যাচার আর মেনে নিতে না পারলে কিছুদিনের জন্য অন্য এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে থাকে।দুর্গার সাথে ইন্দির ঠাকুরণ এর খুব ভাব।সে এ ঘর ও ঘর থেকে ফলমূল চুরি করে এনে সে ইন্দির ঠাকুরণ এর সাথে ভাগ করে খায়।একদিন তাদের ধনী প্রতিবেশীর বউ এসে দুর্গাকে অভিযুক্ত করে ১টি পুতিঁর মালা চুরির অপরাধে ও বাড়ি বয়ে বলে যায় এসব সবকিছুর জন্য সর্বজয়া দায়ী।
এভাবেই তাদের দিন চলে।অপু একটু বড় হয়, খুব ভাব ভাই-বোন দুটিতে।অপুর মনে হয় দুর্গা দিদিও যেনো মায়ের মতোই ভালোবাসে তাকে।
অভাবের সংসারেও দুর্গা ছোট আমের কুশিটিও অপুকে ছাড়া খায়না।তারা দুজনে মিলে সারাদিন খেলে, ফল-মূল কুড়ায়,মিঠাইওয়ালার পিছু পিছু ছোটে,বায়োস্কোপ ওয়ালার পেছন পেছন ঘুরে, যাত্রাপালা দেখে। তারা দুজন মিলে অনেক দূরে চলে যায় যেখানে রেল লাইন আছে।রেল চলে।আপুর কাছে এসব মনে হয় কল্পনার মতো।আর নিজেকে মনেহয় সেই কল্পনার রাজ্যের কোনো এক রাজকুমার।
- এমনভাবে চলতে থাকে তাদের জনজীবন,সর্বজয়ার অত্যাচারে এক পর্যায়ে ইন্দির ঠাকুরণ গৃহ ত্যাগ করে এরপর তার জীবনে অনেক চড়াই-উৎড়াই আসে।একসময় সে রাস্তার ধারে পড়েই মারা যায়।
এরপর অপু, দুর্গা আরো অনেক কিছুর স্বাক্ষী হয়।জীবনে চলতে থাকে অনেক চড়াই-উৎড়াই।ছোট জীবনে তারা নানা কাহিণীর সম্মুখীন হয়।
এরপর একদিন হরিহর শহরে যায় আর পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে যায় যে অনেক টাকা কামিয়ে আনবে।কিন্তু অনেকদিন হয়ে যায় হরিহর ফেরেনা,তার পরিবার তীব্র অর্থসংকটে পড়ে যায়।
এক বর্ষায় দুর্গা অনেক ভিজে বাড়ি আসে।ওষুধের অভাবে সে একদিন মারা যায়!!
অপু একেবারে একা হয়ে যায় কারণ একমাত্র খেলার সাথী ছিলো সে। অপুর যেনো পৃথিবী পালটে যায় কারণ দিদিকে যে সে বড্ড ভালোবাসতো।কিন্তু তারা তো গরীব।চাইলেও পারেনি দিদিকে ওষুধ এনে খাওয়াতে।একদিন হরিহর বাড়ি ফিরে।ফিরে সর্বজয়াকে শহর থেকে আনা অনেক কিছু দেখাতে থাকে কিন্তু সর্বজয়া হঠাৎ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আর হরিহর বুঝতে পারে যে সে তার একমাত্র কন্যাকে হারিয়েছে।
এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার।যাত্রার তোড়জোড়ে অপু খুজে যায় তার দিদির চুরি করে আনা সেই পুতিঁর মালাটা।সে অগোচরে পুতিঁর মালাটা ফেলে দেয় কারণ সে চায়না তার মৃত দিদিকে কেও খারাপ বলুক।
এরপর তারা কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।সেখানেও তারা তাদের জীবনে খুব একটা উন্নতি আনতে পারেনি।সেখানে চলতে থাকে তাদের জীবন সংগ্রাম।একদিন হরিপর অসুখে পড়ে আর ধীরে ধীরে আরো বেশি অসুস্থ হতে হতে চলে যায় না ফেরার দেশে।
অনেক সময় কেটে যায়,সর্বজয়া যেনো আর পেরে উঠেনা।ওদিকে নিশ্চিন্দিপুরেও কি করে ফিরবে!!সেখানের বউ-ঝি দের তার সুখের দৃশ্য দেখিয়ে এসেছে।কিন্তু সর্বজয়া যে এখন নিঃসম্বল!!একদিন সে এক বাড়িয়ে কাজ নেয়। সেখানে অপুর ভাব হয় এক বড়লোকের মেয়ের সাথে কিন্তু তা যে বড্ড অন্যায়।সে গরীব!! অপু একদিন নিশ্চিন্দিপুরে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় মাকে।তারা তাই নিশ্চিন্দিপুরেই ফিরে যায়।
ফিরে যেতে যেতে অপু ভাবে, ইশ একটুবাদেই লক্ষ্মীপেচাঁর ডাক শুনা যাবে।তারা পৌঁছে যায় নিশ্চিন্দিপুরে।অনির্বাণ তার বীনা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত দিগন্ত...
সে পথের বিচিত্র আনন্দ।
" পথের পাঁচালী " বইয়ের স্বার্থকতা
এই বইয়ের পরিচ্ছদ ৮, বাংলাদেশের ৯ম-১০ম শ্রেণির
" মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য" বইয়ে রয়েছে।১৯৬৯ সালে মাদিপাতলা সুরি বইটি তেলেগু ভাষায় অনুবাদ করে।
১৯৬৪ সালে ইন্ডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
বইটির গল্পে তৈরি হয় চলচ্চিত্র যা ১৮টির ও বেশি পুরষ্কার পেয়েছে।
" পথের পাঁচালী " নিয়ে আমার অভিব্যক্তি
আমি বলবো,লেখক দরিদ্র চরিত্রগুলো নিয়ে কোনো দুঃখ গাঁথা বানায়নি।তিনি অবহমানকালের চিরস্থায়ী ও ১টি পরিপূর্ণ সত্তা নিসর্গ প্রকৃতিকে অবলম্বন করেছেন এই উপন্যাসটিতে।
আমাদের চারপাশে আমরা একটু চোখ বুলালেই এমন অনেক অপু,দুর্গা দেখতে পাই।কিন্তু তাদের দেখে আমরা বিরক্ত হই যেমনটা দুর্গাদের প্রতিবেশি বা সুনীলের মা হয়েছে।কিন্তু তাদের এ জীবনকে আমরা কখনো স্পর্ষ করে দেখিনি।এই বইয়ে লেখক মনোযোগ দিয়েছেন- দরিদ্র লাঞ্চিত গ্রামের ছেলে-মেয়েদের মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণে।গৃহস্থালী,পল্লীপথ,মাঠা,আগাছা,পূজো ইত্যাদির ছবি কবি এক বইয়েই তুলে এনেছেন।
- আমার মনে হয়েছে লেখক যেনো আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা লিখেছেন যা কখনো আমরা চোখে দেখতে চাইনি।যা দেখলে ইচ্ছাকৃত চোখ বন্ধ করে নিয়েছি।
- বি:দ্রঃ আমি বইটির অনেককিছুই তুলে ধরিনি।কারণ আমার মনে হয়েছে এমন একটি বই আমার এভাবে তুলে ধরাটা ঠিক হয়।সবার পড়া উচিত বইটি।কারণ, বইপ্রেমী মানুষ খুব কমে গিয়েছে।
- আমি বলবো বইটি অসম্ভব সুন্দর।অসম্ভব সুন্দর রচনাশৈলী,লেখক খুব গভীর কিছু বুঝিয়েছেন বইয়ে যারা বইটির কয়েকপাতা পড়লেই বুঝবেন।
Very beautiful book review. Nice presentation. Also nice photography skill. Keep it up.
ধন্যবাদ ♥♥
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ♥
অনেক শুনেছি এই বই এর নাম। সুযোগ থাকলে পড়ে ফেলবো একদিন
হুম,অনেক সুন্দর, সুযোগ করে পরে নিয়েন
অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ
onek valo review likhchen😇😇
ধন্যবাদ আপু 😍
Sorry for late response 💞
The Review was awesome 🥀
Your Writing skill was unique.
Thank you 💕
ধন্যবাদ
Sundor hoeace post ta
ধন্যবাদ ভাই ♥