Steem Bangladesh Contest || Book Review :- "নাট বল্টু" ||2% Beneficiaries to @bd-charity
Hello, guys.Assalamualaikum all steemians.
আজ স্টিম বাংলাদেশে কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করছি আমার করা একটি বুক রিভিউ আপনাদের সামনে উপস্থাপন এর মাধ্যমে কারণ,আজ কনটেস্টের টপিক হলো, " Book review "।
বইয়ের নামঃ 📚 নাট বল্টু
- লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
- ১ম প্রকাশঃফেব্রুয়ারি ২০০৮
- প্রকাশকঃ শরীফ হাসান তরফদার
- প্রকাশনীঃ জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
- প্রকাশনীর ঠিকানাঃ ৩৮/২-ক, বাংলাবাজার,ঢাকা-১১০০
- ধরণঃ উপন্যাস
- পাতাঃ ১০৮ টি
- প্রন্থস্বত্বঃ লেখক
- প্রচ্ছদঃধ্রুব এষ
- অলংকরণঃ আবুল বারাক্ আলভী
- কম্পোজঃ বাংলাবাজার কম্পিউটার
- কম্পোজের ঠিকানাঃ ৩৪, নর্থব্রুক হল রেড ৩য় তলা,ঢাকা-১১০০
- মুদ্রণঃ নোভা প্রেস এন্ড পাব্লিকেশন্স
- মূল্যঃ ১৪০ টাকা
- ISBN: 984-8485-37-6
- রেটিংঃ ৫/৫
উৎসর্গ
তার জন্যে ১ চিমটি আদর, ১ মুঠি স্নেহ
আর গ্যালন গ্যালন গ্যালন ভালোবাসা
" নাট বল্টু " র শিরোনাম সমূহ
- ১.বল্টু নামের বৈজ্ঞানিক
- ২.দার্শনিকের নাম নান্টু
- ৩.মশা কেন ভুত হবেনা
- ৪.বেচারা আইন্সটাইন
- ৫.কতো লম্বা টুথপেস্ট
- ৬.সায়েন্টিস্ট যখন ভুয়া
- ৭.এস্ট্রোনেট হওয়ার ১ম ধাপ
- ৮.আবিষ্কারের ধাক্কা
- ৯.বানরের জন্য ভালোবাসা
- ১০.চা বাগানে এডভেঞ্চার
- ১১.শেষ কথা
সম্পূর্ণ বইয়ের মূলভাব
বল্টু হলো একজন জ্ঞানপিপাসু ছোট বাচ্চা ছেলে।তাকে তার বাবা-মা ছোট বেলা থেকেই অন্য দশটা বাচ্চাকে তাদেএ বাবামা যেভাবে গল্প শুনায় সেভাবেই গল্প শুনাতো।কিন্তু তার বাবামা অন্য বাবামার চেয়ে একদিকে ব্যাতিক্রম ছিলো।তা হলো, বল্টু বাবামা তার সব কথার উত্তর দিতো অর্থাৎ অন্যান্য বাবামা রা কিছু কথার উত্তর দিয়ে আর বেশি প্রশ্ন করলে ধমকিয়ে চুপ করিয়ে দিতো।কিন্তু মা রিতু আর বাবা রিজুর ছেলের প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্লান্তি ছিলোনা।রিতু তাকে গল্প শুনাতে শুনাতে শেষ পর্যন্ত বই থেকে গল্প শুনানো শুরু করলো।কিন্তু তাই হলো সর্বনাশ!একদিন দেখে বল্টু অক্ষর চিনে না কিন্তু পুরো বই পড়তে পারে!!
তার সবসময়কার সঙ্গী ৬ বছরের নান্টু তার উদ্ভট সব কাজে কখনো বিরক্ত হয়না।নান্টু একজন পুরোপুরি দার্শনিক।বল্টু ভাবে ছোট বাচ্চাদের দাড়ি গজালে নান্টুর হয়তো রবীন্দ্রনাথ এর মতো লম্বা দাড়ি হতো।কারণ সে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে। ৮ বছর বয়সী বল্টুর উদ্ভট কাজের তালিকা অনেক বড়।সামান্য কিছু লিখি,
- ১.মশার কোনো স্বাদ নেই
- ২.দুধ খাওয়ার সময় জোড়ে জোড়ে হাসলে দুধ নাক দিয়ে বের করা যায়।
- ৩.মাছি খুব ধুরন্ধর স্বভাবের।
- ৪.ছোট মাছকে ৩ দিন বোতলে ভরে রাখলে পচাঁ গন্ধ বের হয়।
- ৫.ডিম খাড়া ভাবে ফেললেও ফেটে যায়।
- ৬.বেলুন পানি ভরা সহজ কিন্তু তা দিয়ে বড় মানুষদের সাথে খেলা ঠিক নয়।
- ৭.মাকড়সার পিছন থেকে টেনে টেনে প্রচুর সুতা বের করা যায়।
- ৮.ম্যাগনিফাইং গ্লাস জানালায় রেখে দিলে পর্দায় আগুন লাগানো সম্ভব।
- ৯.ইঁদুরের বাচ্চাকে ফ্রিজে রেখে কাবু করা যায়।
- ১০.ব্যাঙ পকেটে নিয়ে ঘুমানো।
- ১১.উলটো হয়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা।
- ১২.অল্প বয়সেই থিউরি অফ ল পড়ে ফেলা
- ১৩.টুথপেস্টেএ প্যাকেট থেকে সব পেস্ট বের করে তা আবার ঢুকানো যায় কিনা তার চেষ্টা করা।
- ১৪.ডিমকে সারারাত ভিনেগারে চুবিয়ে রাখলে তা রাবারের মতো হয়েযায়।
- ১৫.মশা থেকে ভুত হয় কিনা তার পরীক্ষা করা।
- ১৬.কাগজ বাচানোর জন্য ২ কালি দিয়ে একই পেজে লিখে তা ২ রকম সিডি দিয়ে দেখলে তাতে আলাদা ভাবে ২ কালিই স্পষ্ট দেখা যাবে।
- ১৭.পিপড়ার হাটার পথে পারফিউম পেরে দিলে তাদের আর লাইন করে হাটতে পারেনা।এই পরীক্ষার জন্য বল্টু তার মা কয়েক হাজার টাকার পারফিউম নষ্ট করে ফেলেছে।
- ১৮.শাড়িতে অনেক কাপড় নষ্ট হয়।অনেক লম্বা।তাই সে অনেকগুলো শাড়ি কেটে ফেলেছে।
- ১৯.টিকটিকির লেজ কেটে ফেললে গজায় কিন্তু মাথা গজায়না।
আরো অনেক অনেক অনেক,,,
এরপরে নান্টুএ বাসায় তার মামা আসে।ওই মামা পড়াশোনা নিয়ে খুবই ঝামেলা করে আর নিজেকে বিজ্ঞানী দাবি করে।এরপর বল্টু অনেক কারসাজি করে তার মামাকে বিজ্ঞানের পরীক্ষায় হারিয়ে দেয় ফলে সেই মামাও চলে যায়।তা এক অসম্ভব মজার কাহিনী।হাসতে হাসতে অবস্থা কাহিল হওয়ার মতন।
এরপর নান্টুর পরিবারের সাথে বল্টু একদিন ঘুরতে যায়। সেখানে তারা এডভেঞ্চার করতে গিয়ে সন্ধান পায় বানর ব্যবসায়ীদের।এই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো অনেক কারসাজি করে বানর গুলোকে উদ্ধার করে।সেই উদ্ধার অভিযানে যেমন লোমহর্ষক বর্ণনা আছে তেমন আছে মজার কাহিনী।
এরপর যখন বানরগুলো ছাড়া পায় তখন এক ছোট বানর এসে নাটবল্টু র একটু কাছে এসে কি যেনো বলতে থাকে। এরপর চলে যায় যা দেখে নাটবল্টুর চোখে পানি এসে যায়।কারণ বানর হয়তো তাদের ধন্যবাদ দিতেই এসেছিলো।
এই বল্টু বিজ্ঞানী ও নান্টু দার্শনিক নিয়েই পুরো বইটি।যা খুব খুব খুব বেশি মজার।
"" নাট বল্টু ""বই নিয়ে আমার রিভিউ
সংক্ষেপে বললে, নান্টু হলো বল্টুর সব কর্মের এসিস্ট্যান্ট।তারা ২জন ২স্বভাবের।কিন্তু খুব ভালো বন্ধু।এদের ২জনের মজার মজার সব কাহিনী নিয়ে নাটবল্টু নামক সম্পূর্ণ বইটি।
সত্যি বলতে অনেক বই পড়েছি।পড়ি আবার ভুলে যাই।কিন্তু এই বইটি কেনো জানিনা স্বযত্নে মস্তিষ্কে রেখে দিয়েছি।
আপনারা এ বইটি না পড়লে আগেই জানিয়ে দেই কিছু কথা।এই বইয়ে আপনারা পেয়ে যাবেন নানান মজার বৈজ্ঞানিক জ্ঞান।যা অবশ্য সত্যিকার জীবনে কাজে লাগাতে গেলে হয়তো ঝামেলায় পড়তে পারেন।কিন্তু বেশ মজার।
এরপর মহাজ্ঞানী বল্টুকে তার মা রিতু যে যে কারণে সারাদিন বকে সেসব কারণ পড়লে তো আপনি হাসতে হাসতে পাগলই হয়ে যাবেন হয়তো।এতোটা মজার উদ্ভট কান্ড সে আসলেই করতে পারে!
তাহলে না পড়লে পরে ফেলুন ঝটপট।
ধন্যবাদান্তে @sahadathossen
ভাইয়া অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন
ধন্যবাদ ♥
খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই ♥♥