HELLO

MY DEAR FRIENDS

This is @rubayat02 from 🇧🇩bangladesh

"Assalamualaikum"

হেল্লো বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন,
আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালে আছি।
আজ আমি এমন একটি মুভি রিভিউ নিয়ে এসেছি,
যে সিনেমাটি মুত্তি পাওয়ার পর,
সারা বিশ্বে তোলপার উঠে গিয়ে ছিলো,
হ্যা বন্ধুরা বলছি Ratsasan সিনেমার কথা।
এই সিনেমা দেখেনি, এমন সিনেমা প্রেমি থাকতে পারে বলে আমার বিশ্বাস হয় না,
তারপরেও যদি কেউ না দেখে থাকেন তাহলে এখানে সিনেমার .Linkদেওয়া থাকলো,
সিনেমাটি দেখে আসতে পারেন।

Ratsasan

Source

Movie Name	Ratsasan
Directed by	Ram Kumar
Produced by	G. Dilli Babu,R. Sridhar.
Edited by	San Lokesh.
Written by	Ram Kumar.
Music by	Ghibran
Starring	Vishnu Vishal, Amala Paul.
Country	India.
Language	Tamil
Release Date	5 October 2018
Running Time	170 Minute
Movie trailer	Here
Movie Link	Here
Imdb Rating	8.5/10
Budget	8 crore.
Box office	32 crore.

মুভির গল্প

আসলে এই মুভিটির গল্প হলো,
কি ভাবে মানুষ রুপের এক রাক্ষসের হাত থেকে নিশ্বপাপ মেয়েদের জীবন বাছাবে।
আর এই ডায়রক্টার মুভিটি এমন ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন।
যে কোন মানুষ পুরো মুভিটি না দেখলে কিছুতেই বুঝতে পারবেনা, যে মুভির আসল কাহিনী কি এবং শেষে কি ঘটতে চলেছে।

সংক্ষিপ্ত কাহিনী

Source

মুভির শুরুতে আমরা দেখতে পাই জগিনে বের হওয়া এক বৃদ্ধ একটি ১৫ বয়সী মেয়ের লাশ দেখতে পান। যেটি কিনা নিশ্বংস ভাবে খুন করার পর পলিথিনে মোড়িয়ে রাখা।

সিনেমার পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই ওরুন কুমার কে, যে কিনা সাইকো কিলারদের ইস্ক্রিক লেখে পরিচালকের কাছে নিয়ে জান সিনেমা নির্মাণের জন্য,
কিন্তু ভাগ্য দেবী সহয় না হওয়ায় তার আর সিনেমা বানানো হয় না, সিনেমা নির্মাণ না করায় ওরুন কুমারের মা ও ভগ্নি পতির অনুরোধ রাখতে পুলিশে জয়েন করেন।

Source

সহজ এবং সাভাবীক গল্পে যখন প্রথম ধাক্কা আসে আমুদা নামে একটি মেয়েকে ইস্কুল থেকে ফেরার পথে কিডন্যাপ করে তার বাসায় একটি গিফট বক্স পাঠানো হয়। সেই গিফট বক্সে পাওয়া যায় শুধু একটি খেলনা পুতুলের মাথা, সেই পুতুলের কিছু অংশ নির্মম ভাবে কেটে রাখা। এই কিডন্যাপের কেসের দায়িত্ব যখন ওরুনের উপর আসে, সে ইন্ভেকেশন করে জানতে পান, পুতুলের যে ভাবে চোখ, কান, মুখ, চুল কাটা ছিল, ঠিক সে ভাবেই সিনেমার শুরুতে আমরা যে লাশ দেখতে পাই এবং পরবর্তীতে আমুদার লাশ পাওয়ার পর সেখানেও একি ভাবে বিক্ষাত করা চোখ, কান, নাক এবং পুরো মাথার চুল কাটা ছিল।

পুরো কেসের দায়িত্ব ওরুন পাওয়ার পর সে তার ডিপার্টমেন্ট কে বলে এই কেস যেনো কোন ভাবেই মিডিয়ার কাছে না যায়, এতে কিলার সতর্ক হয়ে আরো ভয়ংকর হতে পারে। ওরুন প্ল্যান করে কিছু না জানতে পেয়ে কিলার কিছু না কিছু ভুল করবেই।

Source

এদিকে সিনেমায় আর এক লেড্রয়ে থাকা বিজির থাকার কারণে ওরুন জানতে পারে তার ভাগ্নির বান্ধবী মিরা নিখোঁজ, বিজি এও জানায় যে মিরা কে শেষ এক রেটস্টার সিয়েন্জিতে উঠতে দেখা গিয়েছিল।
তদন্ত শুরুর আগে মিরার লাশ যেখান থেকে পাওয়া যায়, ওরুন সেখানে ওই রেটস্টার সিয়েন্জি দেখতে পায়, সিয়েন্জি ড্রাইভার কে জিজ্ঞেসা করে জানা যায় মিরা যেই ইস্কুলে পরে সেই ইস্কুলের ইব্রাজ নামের এক টিস্যারের হয়ে কাজ করেন, যে কিনা ছাত্রীদের সেক্সুয়াল হেজার করে (রেফ করে)

সিনেমার এই পরজায় আপনার মনে হবে সত্যি কার শ্রিয়াল কিলার কে মনে হয় ধরে ফেলে ওরুন, কিন্তু না ঘঠনা তো কিবল শুরু

Source

ইব্রাজের খোঁজে যখন ওরুন ইস্কুলে যায় তখন দেখতে পায় ওরুনের নিজের ভাগিনি পরিক্ষায় ফেল করার কারণে ইব্রাজ তাকে রেফ করার জন্য জেত করতেছে,
হাতে নাতে ধরার পর ইব্রাজ জানায় যে, সে ছাত্রীদের রেফ করলেও কাউকে খুন করেন্নি,
জেল থেলে পালানোর চেস্টা করাতে আইন কাউন্টারের শিকার হন ইব্রাজ, আর এতে নিজের পুলিশের চাকরি হারিয়ে ফেলেন ওরুন।

Source

মরার ওপর খারার ঘা এসে পরে যখন ওরুনের ভাগিনির বার্ডেপার্টি থেকে তার ভাগনীকে কিডন্যাপ করা হয়, অনেক খোঁজা খুজি করার পর ওরুন যখন হতাস হয়ে পরে ঠিক ওরুন তখন তার বাবার গারিতপ ভাগনির লাশ পাওয়া যায়।
সিনেমার এই দৃশ্যে আপনি স্তব্ধ হয়ে জেনে বাদ্য

Source

লাশের সাথে পাওয়া ভাগনির হেয়ারিংএইট পাওয়ার পরে ছাস্পেন্ড হওয়া ওরুন নিজেই ইনভেস্টিগেশন করতে বাদ্য হন। হেয়ারিংএইটে থাকা অডিওর মাধ্যমে ওরুন এক এনেবেলা জজ নামের ম্যাজেসিয়ান কে জানতে পারের,
তদন্ত করে ওরুন আরো জানতে পারেন এই ম্যাজেসিয়ান প্রতিটি ইস্কুলে গিয়ে ম্যাজিগ দেখিয়ে মেয়ে দের কিডন্যাপ করেন।
এবং সর্বশেষ ম্যাজিগশোতে সানজেনা নামে এক মেয়েকে কিডন্যাপ করতে চাইলে ওরুন সেটা বুঝতে পারে, এবং ওরুন সানজেনার মোবাইলে ওরুন তার নাম্বার দেন, এবং সানজেনাকে ফলো করেন।
ফলো করতে করতে যখন ওরুন সানজেনার বাসায় পৌন্চায় তখন জানতে পারে তারা ভুল টার্গেট কে ফলো করেছে, কারণ সানজেনারা দুই বোন এবং তারা জমজ, যে সানজেনা কিডন্যাপ হওয়ায় কথা ছিলো সে ক্লাস শেষে মিউজিক ক্লাসে গেছে।
ওরুন তার টিমকে খুব দ্রুত সানজেনার মোবাইলের লোকেশন ট্রাক করতে বলে কিন্তু ততখনে অনেক ডেরি হয়ে গেছে।

Source

এনাবেলা (ম্যাজেসিয়ান) সানজেনাকে অন্য কোথাও নিয়ে যায়, সানজেনা পরিস্থিতি বুজে ওয়াস রুমে যাওয়ার কথা বলে ওরুনকে ফোন করে, ওরুন সানজেনার ফোন পেমে লোকেশনে পৌন্ছে যান, কিন্তু ততখনে সানজেনা কে রেখে এনাবেলা পালিয়ে যায়। এনাবেলা পালিয়ে গেলেও ওরুন ওখান থেকে এনাবেলার অনেক তত্ত্ব পায়, এবং এমন একটি ছবি পায় যেটা ওরুন আগেও দেখেছে। একটি মাডার কেসের পত্রিকায়, একে একে দুই মিলে ওরুন পৌন্ছে যান সেই মাডার কেসের দায়িত্বে থাকা সেই পুলিশ অফিসারের কাছে, সেখানে ওরুন আরো অনেক কিছু জানতে পারেন।

Source

Source

ওরুন জানতে পারে যে এনাবেলার আসল নাম, মেরিফান্নান্দিল তার একটি ছেলে ছিলো যার নাম কিস্টাফার, কিস্টাফার প্রজেরিয়া নামে একটি রোগে আক্রান্ত ছিলো, এই রোগীর আক্রান্ত হওয়া চেহারা অনেটাই খারাপ ছিল।
তাই তার ক্লাস ফ্রেন্ডরা তার সাথে মিস্ত না, কিন্তু ছফি নামে একটা মেয়ের সাথে কিস্টাফারের ভালো বন্ধুত্ত ছিলে, সেখান থেকে কিস্টফারের মনে ভালোবাসা জন্মায়, কিস্টাফার ছফিকে প্রপোজ করলে, ছফি সেটি মেনে নেয় না। এদিগে ক্লাসের সবাই কিস্টাফার কে উত্তপ্ত করে, এসব যেনে তার মা তাকে কিছু ম্যাজিগ শিখায়,

Source

এদিকে ছফির জন্ম দিনে মেরি ছফি কে একটি পুতুলের মাথা বাক্সে করে গিফট করে,
অফিসার আরো জানান এর কিছু দিন পর,
মেরি এবং কিস্টাফার ছফিকে খুব নিশ্বংস ভাবে হত্যা করার অভিযোগে মেরি কে গ্রাপ্তার করা হয়।
অফিসার এও বলেন যে কাস্টডিতে নেওয়া সময় একটা এক্সিডেন্টে মেরি ও কিস্টাফার পালিয়ে যায়,
এরপর এখন এনাবেলা সেজে স্কুলে ম্যাজিগ দেখিয়ে মেয়েদের কিডন্যাপ করে খুন করতেছে মেরি।

অফিসার আরো কিছু বলতে ওরুন ফোন করেন, ততখনে মেরি অফিসারের বাসায় গিয়ে অফিসারকে খুন করে পালিয়ে য়ায, এদিকে ওরুন সেখানে যাওয়াতে খুনের দায়ে ওরুন কে গ্রাপ্তার করে পুলিশ।

Source

এরপর এক পুলিশ অফিসারের পাসে পাওয়া কিছু ছবি ওরুন কে দেখায়, ওরুন ছবি গুলো দেখে বুজতে পারেন, অফিসার কেনো তাকে ফোন করে ডাকছিলো।
ছবিতে দেখা যায় যে যাকে দর্শক পুরো সিনেমায় মেরি বা এনাবেলা মনে করে ছিল সে আসলে কিস্টাফার, যে মেরির বেশ ধরে এতো দিন নিশ্বাংস নাসগতা চালিয়েছে, একের পর এক ধাক্কা দর্শক কে দিয়েছে, এদিকে ফ্লাসব্যাকে আমরা দেখি ছফিকে খুন করেছেন কিস্টাফার,

Source

এই পুরু ঘটনাটা ওরুন, অফিসারকে বুঝাতে চাইলেও সে বুঝতে চায় না, ঠিক এরি মাঝে বিজি ওরুনকে ফোন করে বলে তার ভাগনী কয়েল কে কিডন্যাপ করা হয়েছে।
ওরুন জেল থেকে পালিয়ে তার ভাগনীকে খুঁজেন, এর মধ্যে কিস্টাফার কে একটি পুলিশ দেখেফেলেন কিন্তু কিস্টাফার সেই পুলিশ কে জাদু করে মেরে ফেলেন, অবশেষে ওরুন কিস্টাফারের কাছে পৌছালেন, তাদের মাঝে ফাইট হতে হতে ওরুন কিস্টাফার কে হত্যা করেন। তার সাথে মুভিও শেষ হয়।

এখানে সিনেমা শেষ হলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়

(ক)কেনো কিস্টফার মেয়ে সেজে ছিল পুরো সিনেমায়..?

(খ)আর কেনোই বা কিস্টফার মেয়েদের কেই টার্গেট করছিল..?

(গ)আর সফি কেন তাকে রিজেক্ট করলো..?

(ক)-ছফির কাছে বারবার রিজেক্ট হওয়ায় মেয়েদের নিয়ে একটা হিংসা সৃষ্টি হয় কিস্টাফারের মনে,
কিস্টাফার চায়, সে এমন আতক্ষ তৈরি করবে যাতে সব মেয়েরাই তাকে ভয় করবে, এই আতক্ষ বজায় রাখতে বারবার মেয়েদের টার্গেট করতো।

(খ)-আর পুরো সিনেমায় কিস্টাফার মেয়ে সেজে ছিল কারণ মেয়ে সেজে আর এক মেয়ের সাথে খুব দ্রুত সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আর এতে টার্গেট করা ইজি হয়।

(গ)-ছফি কিস্টাফার কে রিজেক্ট করার কারণ হলো,
কিস্টফার প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলো , এই রোগে আক্রান্ত ব্যাত্তি সারিসিক ভাবে অনেক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে,
তাই ছফি কিস্টাফার কে রিজেক্ট করে দেয়।

আর সিনেমার নামের দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারি, এই সিনেমার নাম রাখা হয়েছে কিস্টাফারের ক্যারেক্টারের দিকে ভিত্তি করে।

Raatsasan

জার অর্থ: রাক্ষস

এই সিনেমা থেকে আমাদের যা শিক্ষা নেওয়া উচিত

যে যেরকমই হক না কেনো, কাউকে অবহেলা করা ঠিক না।
আজ যদি কিস্টাফারের সাথে ক্লাসের সাবাই খারাপ ব্যাবহার না করে বন্ধুত্বর হাত বারিয়ে দিয়ে তাহলে কিস্টফার এমন পদক্ষেপ নিতো না!

আশা করি আমার মুভি রিভিউ আপনাদের ভালো লেগেছে

Thanks for all guy's

@rubayat02