#club5050 ||the diary game season-3 || 23-10-2021 [ 100% power up post] 2% @bd-charity 18% @steem-bangladesh beneficiaries
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা।
কেমন আছেন সবাই? আমি আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আরেকটি দিনলিপি শেয়ার করতে পারচ্ছি তাই অনেক ভালো লাগছে। চলুন শুরু করি আজকের দিনলিপি।
শুভ সকাল
প্রতিদিনের মতো আজ সকালে ঘুম থেকে উঠলাম সাতটায়। ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ব্রাশ করলাম। এর পর এক কাপ চা এবং বিস্কুট খেলাম। এরপর পড়ার টেবিলে চলে গেলাম। সামনে আমার পরীক্ষা তাই লেখাপড়া শুরু করলাম।
8:40 সকালের নাস্তা করলাম। আজ শনিবার তাইতো আমার কোচিং ছিল। আমি কোচিং এর জন্য 9 টায় বের হলাম। আমি যথা সময়ে কোচিং পৌঁছে গেলাম। দশটা আমাদের কোচিং ছুটি হল। এরপর সেখান থেকেই আমরা কলেজের উদ্দেশ্যে চলে গেলাম।
কোচিং এর পাশেই কলেজ ছিল তাই আমরা প্রায়ই সেখানে চলে গেলাম । কলেজে গিয়ে দেখি তোমাদের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। এরপর আমরা স্যারের অনুমতি নিয়ে ক্লাস করলাম। 11:30 কলেজ ছুটি হল। এরপর আমরা যে যার মত বাসায় ফিরে এলাম।
বাসায় এসে প্রথমে ফ্রেশ হলাম। আমি একটু ক্লান্ত ছিলাম তাই আমার রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম। দুপুর একটায় আমি গোসল করলাম। গোসল করে বারান্দায় বসে একটু মোবাইল টিপলাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম ফেসবুক ব্যবহার করলাম।
দুপুর
দুপুর 2 টায় আমি দুপুরের খাবার খেলাম। এরপর আমার রুমে গিয়ে বিছানায় একটু বিশ্রাম নিলাম এবং মোবাইলে গান শুনলাম। গান শুনতে শুনতে কখন যেন ঘুমিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। প্রায় এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটালাম।
বিকেল
তিনটায় আমার বন্ধু রশিদ ফোন দিলেন। এবং আমাকে জানালেন মুকুন্দগাতী বাজারে যেতে হবে। আমি আর রশিদ কিছুক্ষণ পরে মুকুন্দগাঁতী বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। রশিদ একটা এনজিও ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে সেজন্যই মুকুন্দগাতী যাচ্ছি। এনজিও টার নাম দৈনিক সমিতি।
আমরা সেখানে যথা সময়ে পৌঁছে গেলাম। কিন্তু ওই এনজিওর অফিসার অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। আমরা তার জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
সন্ধ্যা
তোমাদের সেখানে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। আমি সেই অফিসের বারান্দায় একটা ছোট মাল্টা গাছ দেখতে পেলাম। সেই গাছটিতে কিছু ছোট মালটা ধরেছিল। আমি কৌতুহলবশতঃ সেই কাজটির কাছে চলে গেলাম। এবং গাছটিকে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলাম। গাছটি থেকে আমার খুব ভালো লাগলো।
আমি সেখান থেকে আটটার সময় বের হলাম। রাতে মুকুন্দগাতী বাজারকে দেখতে অদ্ভুত লাগে। ব্যস্ত এই বাজার সব সময় মানুষ ভীড় থেকেই থাকে। সবাই যার যার মতো ব্যস্ত এই নগরীতে। যাইহোক আমরা সেখান থেকে আটটার সময় বাসায় ফিরি।
বাসায় পৌঁছে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। এরপর হালকা নাস্তা খেলাম। এরপর পড়ার টেবিলে চলে গেলাম। আমার পড়াশোনা শেষ করতে প্রায় দু ঘন্টা লেগে গেল। দশটায় রাতের খাবার খেলাম।
এই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত দিনলিপি। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন। ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
সবাই ঘরে থাকুন
সবাই সুস্থ থাকুন
সুন্দর একটি দিন কেটেছে ।
ধন্যবাদ