HELLO

MY DEAR STEEM FRIENDS

This is @rimon03 from
🇧🇩 Bangladesh 🇧🇩

আসসালামু আলাইকুম

সবার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আমি আজকে #steem-bangladesh কর্তৃক আয়োজিত মুভি রিভিউ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিতে যাচ্ছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক,

Source

আজ আমি আপনাদের সামনে এমন একটি কোরিয়ান সিনেমা শেয়ার করতে যাচ্ছি যা শুরু কোরিয়ান না পৃথিবীর ইতিহাসে ওয়ান world of the best সিনেমা হিসাবে পরিচিত। সিনেমাটির নাম "The Handmaiden" ছোট বড় বিভিন্ন এয়াড মিলিয়ে মোট ৬৬টি এয়াড পেয়েছে এই সিনেমাটি। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে এই সিনেমাটি কিরকম মানের, পৃথিবীর বড় বড় সমালোচকদের চোখে পড়ে এই বিশ্ব বিখ্যাত সিনেমাটি।

Source

সাল ১৯৩০ দক্ষিণ কোরিয়া তখন এই সিনেমার স্বাধীনতার সাধ পায়নি। তারপর জাপানরা শাসন চালাচ্ছিল কোরিয়ার উপর। এই সিনেমা গল্প সেই সময় থেকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতিতে আমাদের পরিচিত হয় এক জাপানের মেয়ের সাথে যার নাম মিথিলা। এই মিথিলার কাছে সবকিছু ছিল কোন কিছুর অভাব ছিল না শুধু একটা বিষয় ছাড়া। তাকে প্রাসাদ থেকে বাইর হতে দিত না ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার সমস্ত আনন্দ ঘরের ভেতরেই করতে দিত বাহিরে না। মিথিলার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর তার মামার সাথে সে থাকত।তার মামার নাম ছিল সৃদিত। এবং এই মামায় তো কে ঘরে বন্দি করে রেখেছে। মিথিলাকে ঘরে বন্দি করার প্রথম কারণ ছিল মিথিলা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েই তাকে বিয়ে করে সমস্ত কিছুর মালিক হতে চায়। মিথিলার মামা ছিল একজন স্বর্ণের ব্যবসায়ী। মিথিলার জায়গার এক কোণে এই স্বর্ণের ব্যবসার কাজে লাগায়। কিন্তু মিথিলার মামার স্বর্ণের ব্যবসার পাশাপাশি একটি নিজস্ব লাইব্রেরী ছিল। এই লাইব্রেরীতে আছে সমস্ত নিষিদ্ধ বই এবং পেন্টিন। এবং এই বইগুলো মিথিলার মামা জাপানের বড় বড় অফিসারদের কাছে বিক্রি করতো। এই বইগুলো অফিসারদের কাছে বিক্রি করতে সৃদিত তার বউকে ব্যবহার করত। তার স্ত্রী একজন ভদ্র নারী হওয়ায় এসব করতে চাইত না এর জন্য তাকে টর্চার করা হতো। এ সব কিছু তার স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।

তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মিথিলাকে দিয়ে সৃদিত এইসব কাজ করাতো।সৃদিত এত বেশি ছিল যে তার নিষিদ্ধ বই গুলো মাঝে মাঝে নিলামেও তুলতো এবং তা থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতো। এই অবৈধ কাজে তাকে সাহায্য করত আহসান নামে একটি লোক সে লোকজনকে ভুলভাল বুঝিয়ে টাকা উপার্জন করতো।

আহসান যখন মিথিলাকে প্রথম দেখে তখনই তার প্রেমে পড়ে যায়। এবং তার সাথে মিথ্যে বিয়ের অভিনয় করে এবং বিয়ে করার পর সে প্লান করে তাকে মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করাবে এবং সে মিথিলার সব সম্পদের মালিক হবে।

Source

মিথিলাকে দেখাশোনার জন্য জয়া নামের একটি মেয়েকে রাখা হয়। এবং কিছুদিনের মধ্যে মিথিলা এবং জয়ার মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়।

তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর মিথিলার সাথে আহসানের বিয়ে হয়ে যায়।বিয়ে হওয়ার আগে মিথিলা একটি শর্ত দিয়েছিল যে বিয়ের পর আমার সাথে জয়াও জাপান যাবে। তার পরপরই তারা তিনজন জাপান চলে এলো আহসানের প্রথম প্লান হয়ে গেলেও আসল নাটক কি এখনো শুরু হয়নি। সবকিছুই ঠিক ছিল কিন্তু হঠাৎ এমন হয়ে যায় যে সবাই অবাক হয়ে যায়। যখন মেন্টাল হাসপাতালে নাসরা মিথিলাকে ধরতে আসে তখন মিথিলাকে না ধরে যাকে ধরে আটকে রাখে। জয়া অবাক হয়ে বলে এটা কি হচ্ছে আমার সাথে মিথিলা হয়তো আমার সাথে বেইমানি করতেছে। কিন্তু মিথিলা এটা কেন করলো তা এখন জানা যাবে।

মা বাবা হারানো মিথিলাকে ছোট থেকেই অনেক মানসিক টর্চার সহ্য করতে হয়েছে। এবং তার মামিকে সে নিজেই চোখে মারা যেতে দেখেছি। মামি মারা যাওয়ার পর অবৈধ বইগুলো মিথিলা অফিসারদের সাথে বিক্রি করতো এরকম নোংরা কাজ করতে করতে মিথিলা একসময় আরো অনেক মানসিক সমস্যায় পড়ে যায়।

Source

মিথিলা সবসময় চাইতো এই আবদ্ধ জায়গা থেকে বাহির হতে। তখনই তার সাথে পরিচয় হয় আহসানের। এবং আহসান তাকে বিয়ে করতে রাজি হয় কিন্তু যখন মিথিলা সহজেই আহসানের কথা শুনছিল না তখন কাজের মেয়ে জয়কে দিয়ে এসব করানো হতো। এবং তারপর আহসান ও মিথিলা মিলে প্ল্যান করে জয়াকে জাপানে এনে মিথিলা সাজিয়ে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করাবে। যাতে সবাই বুঝতে পারে মিথিলা মানসিক হাসপাতালে রয়েছে। জয়া আসলে বুঝতে পারে নি তার সাথে কি হচ্ছে।

Source

তারপরই মিথিলা এবং যাওয়ার প্ল্যান সাক্সেস হয়ে যায় আপনারা এখন ভাববেন যে সিনেমা এখানেই শেষ কিন্তু আমি প্রথমেই বলেছি সিনেমার ইতিহাসে এটাই একটি সেরা টু স্টেপ সিনেমা।

জয়াকে মেন্টাল হাসপাতালে দেওয়ার পর আহসান মিথিলার সবকিছু সম্পদ নিজের করে নিতে চায়। কিন্তু সত্যি সত্যি আহসান মিথিলার প্রেমে পড়ে যায়। এবং এক ঘরে বসবাস করে। তখনই মিথিলা বুদ্ধি করে মদের সাথে ঔষধ মিশিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে জোয়ার হাসপাতালে আগুন লেগে যাওয়া জয়া ও সেখান থেকে পালিয়ে আসে। তারপর মিথিলা এবং জয়া একসাথে হওয়ার পর পালিয়ে যায় এক ফাঁকা জায়গায় এবং সেখানে গিয়ে তারা অনেক সুন্দরভাবে জীবন শুরু করে।

Source

আসলে বিশ্বের মধ্যে এটি একটি সেরা সিনেমা। আশাকরি আমার মুভি রিভিউ আপনাদের সকলকে ভাল লাগবে।

Thanks everyone

Please support me