Sports - Cricket || 06/06/2021
হেলো বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে কথা বলবো ক্রিকেট খেলা নিয়ে। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি।
ক্রিকেট
ক্রিকেট বর্তমান যুগে খুবই পরিচিত একটি নাম। বলা চলে মোটা মুটি সকলেই ক্রিকেট খেলা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানে। জানার ই কথা। ক্রিকেট এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ। বাংলাদেশ এর খেলার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করা। জিতে গেলে চেচিয়ে পারা মাথায় তুলে ফেলা। হেড়ে গেলে মন খাড়াপ করা। সত্যি ক্রিকেট জড়িয়ে আছে আমাদের প্রত্যেকটি বাংগালীর অন্তরে।
ক্রিকেট এর জন্ম
যতদুর জানা যায় ক্রিকেট খেলার জন্ম ইংল্যান্ড এ। ১৬ শতকের দিকে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ খেলা হয় ইংল্যান্ড এ। এটি হচ্ছে ব্যাট-বলের খেলা। ২২ গজ এর পিচের এক প্রান্ত থেকে একজন বলার বল থ্রো করে অপর প্রান্তে একজন ব্যাটস ম্যান সেই বলের উপর ব্যাট চালায়। তারপর রান নেওয়া হয় কিংবা চার ছক্কা হয়ে থাকে। আবার স্ট্যাম্প ভেংগে গেলে, শুন্যে ভেসে থাকা বল কোনো ফিল্ডার ক্যাচ ধরলে আউট হয়। এছাড়াও অনেক নিয়ম কানুন আছে ক্রিকেটে। এসব নিয়েই আলোচনা করবো সামনে। আমাদের বাংলাদেশ এ ও ক্রিকেট খেলা খুব ভালো ভাবে প্রচলিত। আমাদের দেশ নিয়মিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলে থাকে।
ক্রিকেট এর বিভিন্ন সংস্করন
আধুনিক ক্রিকেট এর অনেক সংস্করন রয়েছে। নিচে এগুলো সম্পর্কে ছোট ছোট বিবরন দেওয়া হলো-
টেস্টঃ-টেস্ট ক্রিকেট এ খেলা হয়ে থাকে ৫ দিন। যদি কোনো বাধা-বিপত্তি না থাকে তাহলে প্রতিদিন ৯০ ওভার করে খেলা হয়ে থাকে। প্রতি দল দুই ইনিংস করে ব্যাট করার সুযোগ পায়। প্রথম ইনিংস এ এক দল ব্যাট করে যা রান করে তা ২য় দল অতিক্রম করার চেস্টা করে। অতিক্রম করে অতিরক্ত যা রান হয় তা লিড হিসাবে কাউন্ট হয়। ওইদল আউট হলে বার ডিক্লেয়ার দিলে অন্য দল আবার ব্যাট করে প্রথমে আগের দলের নেওয়া লিড পুরন করে তারপর আবার রান করে অন্য দল কে টার্গেট দেয়। ৪র্থ ইনিংস খেলা হয় টার্গেট পুরন করার জন্য। টার্গেট পুরন করতে পারলে ব্যাটিং করা দল জয়ী। যদি উইকেট সব পরে যায় তবে বোলিং করা টিম জয়ী। আর যদি ৫ দিনের খেলা শেষেও রান অতিক্রম করতে না পারে কিন্তু উইকেট হাতে থাকে তাহলে ড্র ঘোষনা করা হয়।
ওয়ান-ডেঃ- এটিকে একদিন এর ম্যাচ ও বলা হয়। এই সংস্করন খেলা হয়ে থাকে ৫০ ওভার করে। অর্থাৎ পুরো ম্যাচ এ মোট দুইদল ৫০ ওভার করে ১০০ ওভার খেলে থাকে। একদল ৫০ ওভার খেলে টার্গেট দেয়। অন্য দল বাকি ৫০ ওভার এ সেই টার্গেট পুরন করতে নামে।
টি-২০ঃ- এটি ক্রিকেট এর সবচেয়ে ছোট সংস্করন। প্রতি দল ২০ ওভার করে ব্যাটিং করে অর্থাৎ মোট ৪০ ওভার খেলা হয়। সাধারনত ৩ ঘন্টায় একটি টি-২০ ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।
এ ছাড়াও বর্তমানে ক্রিকেট আরো ছোট সংস্করনে হয়ে থাকে । ডমেস্টিক এ এখন টি-১০ লিগ ও হয়ে থাকে। তবে এটি এখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আসেনি। তবে আসা করা যায় খুব শিগ্রই এসে যাবে।
খেলা কিভাবে হয়ে থাকে?
খুব সহজেই ক্রিকেট খেলা যায়। সাধারনত ২২ গজের হালকা ঘাস যুক্ত পিচ এ ক্রিকেট খেলা হয়। যেখানে মাঠে ১১ জন ফিল্ডার থাকে আর দুইজন ব্যাটস ম্যান থাকে। ফিন্ডার থেকে একজন বোলার পিচ এর এক প্রান্ত থেকে হাত ঘুড়িয়ে বল করে আর অপর প্রান্ত থেকে ব্যাটস ম্যান সেই বল মোকাবেলা করে। ব্যাট এর আঘাতে বল মাঠের মধ্যে দিয়ে এদিক সেদিক চলে যায়। তখন দুই ব্যাটস ম্যান তাদের প্রান্ত অদল বদল করে রান নিয়ে থাকে। একবার যায়গা পাল্টাইলে ১ রান। আর যদি বল গরিয়ে সিমানা অতিক্রম করে তাহলে চার হয়। রানের খাতায় ৪ রান যুক্ত হয়। আবার যদি বল ব্যাট এ লাগার পর উড়ে বাউন্ডারি সিমানা অতিক্রম করে তাহলে ৬ রান হয়। আরো কিছু বিবরন-
বোলারঃ- যে বল করে ব্যাটস ম্যান কে সেই বলার। কিছু বোলার এর ধরন হলো পেস বোলার, অফ স্পিন বোলার, লেগ স্পিন বোলার, মিডিয়াম পেস বোলার।
ব্যাটস ম্যানঃ- বোলার এর বল যিনি মোকাবেলা করার জন্য পিচ এর দুই প্রান্তে দাড়িয়ে থাকে। বোলার এর বল তারাই মোকাবেলা করে। তারা রান নিতে থাকে যা বিপক্ষ দলের দেওয়া টার্গেট বা তাদের তৈরী করা টার্গেট। এক জন আউট হলে অন্য ব্যাটস ম্যান ক্রিজে আসে। শেষ উইকেট পরার পর এক জন অপরাজিত থাকে কিন্তু খেলতে পারে না।
কিপারঃ- উনি বাংলাতে উইকেট রক্ষক নামেও পরিচিত। উনি স্ট্যাম্প এর পিছনে গ্লাভস পরে দাড়িয়ে থাকে। সাধারনত এদের দৃষ্টি অনেক তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। কারন বোলার এর ছুরে দেওয়া বল তাকে গ্লাভস বন্দি করতে হয়।
ফিল্ডারঃ- ফিল্ডার রা সাধারনত ফিল্ডিং করে থাকে। ক্রিকেট খেলায় ফিল্ডিং এর গুরুত্ব অনেক। রান আটকাতে ফিল্ডাররা গুরুত্ব পুর্ন ভূমিকা পালন করে।
আম্পায়ারঃ- একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ এ ২ জন আম্পায়ার থাকেন। তারা সম্পুর্ন খেলা নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। খেলার সকল আইন মেনে হচ্ছে কিনা তা দেখে থাকেন তারা।
জয়ী দল নির্বাচিত হয় কিভাবে?
খেলার শুরুতে প্রথমে টস করা হয়। যে দল টস এ বিজয়ী হয় সে দল ব্যাট করবে না বল করবে সেটা বাছাই করতে পার। প্রথএ যে দল ব্যাট করে সে দল যত রান করে তা হয় বিপক্ষ দল এর জন্য টার্গেট। বিপক্ষ দল ব্যাট করে উক্ত রান অতিক্রম করতে পারেই জিতে যায়। আবার যদি সে রান অতিক্রম এর আগে সব গুলো উইকেট পড়ে যায় তাহলে যে দল টার্গেট দিয়েছে সে দল জিতে যায়। যদি দুই দল এর রান সমান হয় তাহলে ম্যাচ সুপার ওভার এ যায়। যেখানে প্রতি দল ১ ওভার করে ব্যাটিং করে আবারো টার্গেট দেওয়া হয় এমন করে। এই নিয়ম কার্যকর হয় শুধু মাত্র ওয়ান-ডে এবং টি-২০ ক্রিকেট এর ক্ষেত্রে।
ক্রিকেটে বাংলাদেশ
আগেই বলেছি আমাদের বাংগালী প্রতিজন মানুষের আবেগে জড়িয়ে আছে ক্রিকেট। বাংলাদেশ আইসিসির পুর্ন সদস্য। খেলার ৩ ফরমেট এই বাংলাদেশ খেলে থাকে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এর সব চেয়ে ভালো অবস্থান হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলা। আশা করি বাংলাদেশ একদিন ফাইনাল ও খেলবে। একদিন বিশ্বকাপ আমাদের ঘরে আসবে। সামনেই টি-২০ বিশ্বকাপ আশা করি আমাদের খেলোয়ার রা খুব ভালো একটি অবস্থানে শেষ করবে।
তো এই ছিলো আজকের এই পোস্ট এ । আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভূলবেন না।
সুন্দর হয়েছে,সুন্দর একটা খেলা নিয়ে পোস্ট করছেন,ভালো হয়েছে আপনার পোস্ট
thank you so much...
🙂ক্রিকেট নিয়ে এতো কিছু জানেন মিয়া 😑😑
অনেক জোস ভাবে সাজায় লেখছেন😁
ক্লাস ৮-৯ এ থাকতে প্রচুর পরিমানে খেলতাম আমরা।
ক্রিকেট সম্পর্কে বেশ ভালো একটি আর্টিকেল লিখেছেন। Keep it up
thanks bro...
আলহামদুলিল্লাহ। সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
Sundor hoyeche vai
Thanks vai...
Your post is good one 👍
Keep it up 🥀
Lots of information about cricket...
Good 💗
Thank.you