STEEM BANGLADESH CONTEST:|| CHARITY || 14.03.2022 MONDAY ||BY@ratul24730||30% BENEFITIESLY @hive-138339.
পৃথিবীতে যার বাবা মা নাই তার থেকে অসহায় আর কেউ নেই। বাবা মা হলো অমূল্য সম্পদ। পৃথিবীর নির্মমতা তখন এ বুঝা যায় যখন মাথার উপর থেকে বাবা মা এর হাত উঠে যায়।
আমরা মা বাবা এর ছায়ায় বড় হচ্ছি ,তাই আমরা রোদ এর তাপ অনুভব করতে পারি না ।কিন্তু বাবা, মা সবার থাকে না।হাজার হাজার শিশু বাচ্চা রয়েছে যারা জন্মের পর বাবা মা কে পাই নাই।হয়তো জন্মের পর বাবা,মা মরে যায় আর নয়তো বাবা-মা ছেড়ে দেয় ওই বাচ্চাকে ।এই পৃথিবীতে তে তারা একা হয়ে যায়।তাদের মাঠের উপর কোনো সাদ থাকে না ।এই পৃথিবী তে সবচেয়ে অসহায় শিশু হয়ে যায় তারা।তখন তাদের জায়গা হয় এতিমখানা তে ।
এই এতিম শিশুরা বাবা মায়ের ভালোবাস পায় না,তাদের ছোট্ট বেলা টা সুন্দর সুন্দর কাপড়,ঘর ভর্তি খেলনা তারা পায় না।তাদের কেউ আদর করে খাওয়ায় না। তাদের শৈশব টা রঙিন হয় না। ঘটা করে অনুষ্ঠান করে তাদের নাম কেউ রাখে না। জন্মের পর থেকেই যুদ্ধ করে বড় হয় তারা।
আমাদের সংগঠন থেকে প্রতিনিয়ত আশের পাশের সকল এতিমখানায় খাদ্য,কাপড়,বই, কুরআন শরীফ দিয়ে থাকি।তাই এইবার চিন্তা করলাম যে আমরা সবাই এতিম শিশু দের সাথে একটা দিন কাটায় আসি।তাদের সাথে সারাদিন থাকবো।আমরা রান্না করে তাদের পেট ভোরে খাবো ।তাদের জন্য কিছু ক্রিয়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করবো।
আমরা সকল এ বেরিয়ে পড়লাম খাবার নিয়ে এতিমখানায়।
-আজকে সারাদিন এতিমখানায় আমরা থাকবো।
- তাদের জন্য ৩ বেলা ভালো খাবার
- আমরা সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করবো
- বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করবো আমরা
- তাদেরকে ইংলিশ এবং গণিতের কিছু প্রাথমিক শিক্ষার বই এবং নতুন কিছু কোরআন শরীফ নিয়ে যাচ্ছি আমরা তাদের জন্য।
-তারা সব সময় আরবি তে পড়াশোনা করে তাই আমাদের বড় ভাইয়েরা তাদের প্রাথমিক কিছুই ইংরেজি শিখায়। তাদের প্রাথমিক ইংরেজি জানা প্রয়োজন এবং আমরা এতিমখানার শিক্ষককে কিছু বই দিয়েছি এবং তাকে বলেছি যে বাচ্চাদের কিছু প্রাথমিক ইংরেজি শেখাতে। - একের পর এক আমাদের বড় ভাইয়েরা তাদের প্রতি কিছু মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়েছে যাতে তাদের চিন্তা চেতনা বৃদ্ধি হয় এবং তারা জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে পারে
সকালে তাদের জন্য খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস দেওয়া হয়েছে।
সকল বেলা তাদের পড়াশুনা শেষে আমরা একসাথে সকালের খাবার খাই। তারপরে আমরা তাদের বিভিন্ন ভাবে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অন্নরকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের বড় ভাইয়েরা তাদের বিভিন্ন খেলাধুলা করিয়েছে এবং তাদের অনেকভাবে বিনোদনের দিয়েছে অনেক ভালোবাসার সাথে।
অপরদিকে আমি সহ কয়েকজন বড় ভাই তাদের জন্য দুপুরের খাবার তৈরি করতে ব্যস্ত ছিলাম। সকালে তাদের সাথে সময় কাটিয়ে আমরা দুপুরে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চলে এসেছি তাদের জন্য খাবার তৈরি করতে
দুপুরে তাদের জন্য খাসির মাংস দিয়ে বিরানি ইলিশ মাছ এবং ডিম রান্না করা হয়েছিল। আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি তিনবেলা তাদের অনেক ভালোভাবে খাওয়ানোর। এতিমখানায় অনেকেই খাবার দেয় তাই আমরা তাদের কাছে শুনেছিলাম তারা কি খেতে চায় তারা ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিল এবং বিরানি খেতে চেয়েছিল।
দুপুরে তাদের সাথে একসঙ্গে নামাজ পড়েছি আমরা। নামাজ শেষে সকলেই বসে পড়েছে খাওয়ার জন্য। আমাদের বড় ভাই এবং সব বাচ্চারা একসাথে বসে আছে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। আমি এবং আমার পাশে এক স্বেচ্ছাসেবী বড় ভাই খাবার পরিবেশন করে ছিলাম।
বাচ্চারা অনেকটা অবাক হয়েছিল কারণ তাদেরকে অনেকেই খাবার দিয়ে যায় কিন্তু তাদের সাথে বসে কেউ খেলাধুলা করে না, তাদের ভালোবেসে কেউ খাবার খাওয়ায় দেয় না, তাদের সাথে সারাদিন কিভাবে সময় কাটানো। তাই তারা একটুও অবাক হয়েছিল যে আমরা কেন এটা করছি তারা এটা বুঝতেছেনা, কিন্তু তারা যথেষ্ট আনন্দ পাচ্ছে আমাদের কার্যক্রমে। আমাদের মূল চেষ্টা ছিল তাদের একদিন হলেও প্রহরের ভালোবাসা দেওয়া।
দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। কারণ তারা ভোরবেলায় উঠে নামাজ শেষে কোরআন তেলাওয়াত করে এবং পুরো সকাল পড়াশোনার মধ্যে কাটিয়ে দেয়। তাদের ঘুমানোর পর আমরা তাদের মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম এবং গল্প গুজব করছিলাম।
আসরের নামাজ এর আগে তারা ঘুম থেকে উঠে এবং তাদের সাথে আমরা নামাজ পড়ি ।তারপর তাদের বিকেলের নাস্তা দেওয়া হয় । সবাইকে নিয়ে মাঠে খেলাধুলা করা হয় এবং তাদের কিছু পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। আমাদের বড় ভাইয়েরা তাদের অনেক রকম পুরস্কার বিতরণ করেছে। তাদের পড়াশোনাতে উৎসাহিত করেছে। পৃথিবীর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছে তাদের কারণ তারা কখনও টেলিভিশন কম্পিউটার মোবাইল এগুলো ব্যবহার করেনি। তাই ধরা আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেনি। তাই আমাদের বড় ভাইয়েরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে তাদের পৃথিবী সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়াতে। এবং অন্যদিকে আমরা তাদের জন্য রাতের খাবার এর আয়োজন করছি। তারা এশার নামাজের পর পরেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। অনেক তাড়াতাড়ি ঘুমাই তারা কারণ তারা অনেক ভোরবেলা উঠে। তাই আমরা অনেক তাড়াহুড়া করে তাদের জন্য রাতের খাবারের আয়োজন শুরু করেছে।
বাচ্চাদের জন্য অনেক রকম ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। বাচ্চারা অনেক বেশি খুশি হয়েছে এবং অনেক উৎসাহিত হয়ে তারা নিজেরাই গাছ লাগাচ্ছে।অনেক টা মিশে গেছে তারা আমাদের সাথে ।
এই গাছের গুলোর ফল যাতে তারা সারা বছর ধরে খাইতে পারে তাই আমরা প্রতি সিজন এর ফল এর গাছ লাগিয়েছি।গাছের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল,যাতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ এর ফল খেতে পারে।
খেলাধুলা ও বৃক্ষরোপণ শেষ এ বাচ্চাদের নাস্তা দাওয়া হলো।তাদের ইচ্ছা মত আমরা অ্যাপল,কমলা, বেগুনি,পিয়াজু,ও পোলাউ এবং ডিম দিয়েছি নাস্তায়।
বাচ্চা রা তাদের চাওয়া খাবার পেয়ে অনেক খুশি। সকল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের পছন্দ মতো খাবার তৈরী করা হয়েছে।আজকে তাদের পড়াশুনা কম হয়েছে কারণ আমরা আজকে পুরো দিন টা তাদের বিনোদন এর জন্য রেখেছি।
সবাই একসাথে নামাজ পড়ার পর।বাচ্চাদের নিয়ে আমরা সবাই খাইতে বসলাম। তারা তারা তারই ঘুমিয়ে পড়বে ।তাই খাওয়া দাওয়া শুরু হয়ে গেলো তারা তারি।
বাচ্চারা খাবার হাতে নিয়ে আমাদের সাথে ছবি তুলতেছে।তারপর বাচ্চা টা খাবার খাইতে বসে গেছে।তাদের আমাদের সাথে অনেক মেশে গেছে।অঙ্ক মজা করতেসে তারা আমাদের সাথে।সবাই অনেক বেশি খুশি।
সবাই মিলে রাতের খাবার খাচ্ছে।বাচ্চা দের সাথে বসেছে আমাদের ৩ জন বড় ভাই।টেবিল কম থাকায় একবারে সবাই খাইতে বসতে পারে নাই। সবাই কে পেট ভোরে খাওয়ায় আমরা বিদায় নিলাম।তাদের সাথে আমরাও অনেক মিশে গেসি ,বিদায় নিতে একটু কষ্টই হলো। তারা সবাই বার বার বলতেসিল যে,"ভাইয়া আপনারা আবার আসবেন ,আপনাদের লাগানো ফলের গাছের ফল খাইতে" ১ টা দিনেই তাদের প্রতি অনেক ভালো বাসা জমে গেসিলো আমাদের সবার।খুবই ভালো লাগলো তাদের সাথে সবাই কাটিয়ে।
আমাদের সংগঠনের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন তাই অনেক ভালো ভাবেই আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি।সারাদিন অনেক মজা হয়েছে।বাচ্চা দের খুশি করতে পারে আমরা সবাই সার্থক।
আমাদেরই বিদায় এ বাচ্চা টা অনেক কষ্ট পেয়েছে ।আমাদের ও অনেক খারাপ লাগছিল।আমরা যাওয়ার সময় বাচ্চা দের বলেছি যে,"আমরা আবার আসবো"
আমি এই পোস্টে এ পাওয়া সাপোর্ট এর ২ গুণ ডোনেট করবো এই এতিমখানায়
আমি আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।@yeri52 ও @hidayat96 আমি আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। ধন্যবাদ।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
খুব সুন্দর কাজ করেছো ভাই দোয়া করি এভাবেই চালিয়ে যাও ধন্যবাদ দিয়ে তোমাকে ছোট করব না।
Thank you so much vaia ,♥️