Steem bangladesh contest // book review 📚 //"বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্ম”কাজী আহমেদ কামাল//by @rashesd05//31May2021

HELLO

MY DEAR FRIENDS

This is @rashesd05 from 🇧🇩bangladesh

আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমিsteem bangladesh আয়োজিত📚 book review 📖 করতে যাচ্ছি তা হল বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনী গ্রন্থ,“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম।

বিষয়	বিবরন
বইয়ের নাম	বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনী গ্রন্থ।
লেখক	কাজী আহমেদ কামাল।
ভাষান্তর	হাসান খুরশীদ রুমী।
প্রকাশক	পাঞ্জেরী লিঃ।
প্রকাশকাল	1970সাল জুন মাস
মূল্য	৩৮০টাকা মাত্র।

ব্যারিস্টার কাজী আহমেদ কামাল লিখিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭০ সালের জুন মাসে যখন বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের এক যুগ সন্ধিক্ষণে। বাঙালি তখন স্বপ্ন দেখছে মুক্তির স্বাধীনতার। বইটি প্রকাশিত হলে সেসময় পাঠকের কৌতূহল ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতাে। বইটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বই।

বইটিতে লেখক শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরতে গিয়ে বলেন- শেখ মুজিব একজন বাস্তব উপলব্ধি ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির মানুষ। তার মধ্যে আছে, অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ এবং সূক্ষ্ণ মহত্ত্ববোধ। তিনি সত্যিকার অর্থে ছিলেন দুই প্রজন্মের মাঝখানের সেতুবন্ধ। নিঃসন্দেহে মুজিব ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতীক ও মূল ভিত্তি এবং একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ। শেখ মুজিবের মধ্যে দেশ, দেশের মানুষ ও দলীয় কর্মীদের জন্য এতো প্রগাঢ় ভালোবাসা এসেছে একজন মহান নেতার সংস্পর্শে থেকে, যার নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। মুজিবের এ দেশপ্রেমে মওলানা ভাসানীরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে। বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে শেখ মুজিবের বেশ কিছু অসাধারণ উক্তি। তার মধ্যে একটি- '
#মানুষ মাত্রই মরণশীল। আমি যেহেতু মারাই যাব, তবে কেন সেটা মানুষের কল্যাণে নয়।'

বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীগ্রন্থ 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম' বইটির লেখক ব্যারিস্টার কাজী আহমেদ কামালের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা গত শতাব্দীর সেই চল্লিশের দশকের শুরুতে, যখন তারা দুজনেই কলকাতার বেকার হোস্টেলে থাকতেন। পরবর্তীকালে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-সংগ্রামের বহু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি তার কাছের ভাই-বন্ধু, সহচর হিসেবে পাশে থেকেছেন। কাজী আহমেদ কামাল ছিলেন পূর্ব জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত।

বইটিতে বারবার ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর শক্তি, সাহস ও বীরত্বের কথা। বঙ্গবন্ধু ছাত্র রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠে, ক্রমান্বয়ে পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন। পরিশ্রম ও দেশের জন্য আত্মত্যাগ ছিল তার নিত্যসঙ্গী। বিরামহীন যুদ্ধ ও সংগ্রামের জীবন ছিল বঙ্গবন্ধুর। তিনি ছিলেন এ দেশের একমাত্র নেতা, যিনি আইয়ুব খান তথা পশ্চিম পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। তিনি আইয়ুবের সামরিক আইন কখনো মেনে নেননি।

শেখ মুজিবের প্রতি আইয়ুব খানের প্রচণ্ড ঘৃণা গভর্নর মোনেম খানের মাধ্যমে আসত এবং এই ঘৃণা ছিল নিরেট ও পরিপূর্ণ। শেখ মুজিব ছিলেন আইয়ুবের ক্ষমতার সহজ রাস্তায় একটি কাঁটা। আইয়ুব তাই শেখ মুজিবকে রাজনীতিগতভাবে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে উদ্যত হন। এভাবেই একদিন আইয়ুব মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামের একটা হাস্যকর মামলা দায়ের করেন। স্বৈরাচার আইয়ুব খানের গুপ্তচর গভর্নর মোনেম খান শেখ মুজিব-সংক্রান্ত সব প্রতিহিংসা বহন করতেন। আইয়ুবের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের রাজনীতি অপরিবর্তিত রেখে মুজিবকে চিরতরে মুছে ফেলা। এ জন্য মুজিবকে অসংখ্যবার জেলে যেতে হয়েছে। অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঘটে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

শেখ মুজিবুর রহমান তার ৫৫ বছরের জীবনে ১২ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। জীবনের অর্ধেক কেটে গেছে তার রাষ্ট্রীয় নির্যাতন-নিপীড়নে। আইয়ুবীয় চক্রান্তে। মুজিবের পুরো জীবন কেটে গেছে দেশের স্বাধীনতা বিনির্মাণে।

নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, আবদুল মাজেদ, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম মহিউদ্দিনরা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকাশ্য খুনি। নেপথ্য খুনিদের কাহিনী এ বইটিতে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বারবার বলা হয়েছে আইয়ুবের স্বৈরশাসনের কথা। যিনি উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তা থেকে জোর করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন। আমাদের এ সোনার বাংলাকে ধ্বংস করার নীলনকশার তিনি অগ্রনায়ক। যদিও ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। মুক্ত হয়েছি পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র থেকে। তৎকালীন গভর্নর মোনেম খানের একটি প্রকাশ্য উক্তি- 'আমি যা যা করতে চেয়েছিলাম, তার সবই করেছি। কিন্তু একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মুজিবকে শেষ করতে পারিনি।

এই বইটি পড়ে আমি যা জেনেছি তা হল বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে। তার কর্ম জীবনী এবং কারাগারে জীবনী সম্পর্কে জেনেছি। আবার কিভাবে তার মৃত্যু হয় সপরিবারে তাও জেনেছি। ৭ এই মার্চ ভাষণ সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি“বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনী গ্ৰন্থ” বইটি পড়লে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবেন।বই টি পড়ে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পাড়ি।

আসা করি -রিভিউটি আপনাদের ভাল লাগবে। ভুল সব মানুষেরই হয়। কোন কিছু ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

Thαɳƙʂ ϝσɾ αιι ʂƚҽҽɱ ϝɾιҽɳԃs

---

Cc :
@steem-bangladesh

Best regards
@rashesd