My diary game ❤️❤️❤️18-10-2021❤️❤️❤️
১৮-১০-২১
আসসালামু আলাইকুম,বন্ধুরা আশা রাখি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি বেশ ভালো আছি। আমি আমার আজকের ডায়েরি শুরু করছি।
আজকের সকালের শুরুটাই আমার একটা দুর্ঘটনা দিয়ে শুরু হয়েছিল। ঘুম ভাঙার আগে হঠাৎ করে আমার কলিক শাওন ফোন দিয়ে বলল ভাই রাতে আমার ফোন ওমানে ব্যক্তি জানালা দিয়ে চুরি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আগে আমি অফিসে চলে গিয়েছিলাম। তারপর স্যারকে ও কাকাকে বলে আমি বিষয়টা বুঝিয়ে আবার শাওনের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি দোতালায় সেম সাইড দিয়ে উঠে কার্নিশে দাঁড়িয়ে জানালার গ্রিল দিয়ে দুটো লাঠি ব্যবহার করে শাওনের মানিব্যাগও মোবাইলটি বের করে নিয়েছিল। আমি প্রায় ভেঙে পড়েছিলাম তারপর বেশ কয়েক জায়গায় ফোন দিয়েছিলাম যাদেরকে বলার তাদেরকে মোটামুটি বলে দিয়েছি ইনশাল্লাহ উদ্ধার হয়ে যাবে আর কি। তারপর আমরা তিনজন মিলে সেখানে নাস্তা করে নিয়েছিলাম।
কোনভাবেই আমিও সাউন্ড আজকে অফিসে যেতে পারলাম না তারপর আমার বন্ধু স্বপনকে ফোন দিয়ে ইয়াংস্টার এর সভাপতি আমজাদ মামার কাছে গিয়ে অভিযোগ টা দিয়ে দেই তারপর আমজাদ মামা অনেক ভালো সহকারে আর কে অভিযোগটি নিয়েছিল তার কারণ আমাকে অনেক ভালোবাসে তিনিসহ আমরা দুপুর বেলায় এসে গুল পাড়ার সকল ছেলে পেলে কে জানিয়ে দিয়েছিল এ বিষয়টি। পরে মামা আমাকে বলল যে ভাগিনা কোন টেনশন করিও না ফোন বের হয়ে যাবে আমরা আশায় রইলাম তারপর আমি বাসায় ফিরে এসে গোসল করে নিয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া করার একটু পরেই শুভ আমাকে ফোন দিয়েছিল বলেছিল যে আজ আমি চলে যাচ্ছি আমি আবার রেডি হয়ে বাইক টা বের করে স্টেশনে গিয়ে শুভর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলাম।
আমরা সবাই একটা মানসিক টেনশন এ ছিলাম পুরো সন্ধ্যা বেলাটা আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এ কাটিয়ে দিয়েছিলা। কিভাবে কি করলে মানিব্যাগ ওর মোবাইলটা পাওয়া যাবে তার কারণ মানিব্যাগে তার আইডি কার্ড ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড এবং কিছু প্রয়োজনীয় চাকরির কাগজ পাতি ছিল অবশ্যই সেটার প্রয়োজন ছিল। শাওনকে দেখে আমার একদম ভালো লাগতেছিল না সে অনেক আপসেট হয়ে পড়েছিল তারপর অনেক বুঝে চলে একটু তাকে আনন্দ রেখেছিলাম।
সেই ভোরবেলা মানি ব্যাগটি হারিয়ে গিয়েছিল চোর চুরি করে সিম কার্ড গুলো সব মানিব্যাগে রেখে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল এক আন্টি সকাল বেলা হাটার সময় দেখেছিল প্রথমে নেয়নি দ্বিতীয়বার আসার সময় নিয়ে রেখে দিয়েছিল পরে জানাজানি হওয়ার পর রাত ১১ টার সময় এই মানিব্যাগটি আমাদের হাতে চলে এসেছিল। যাই হোক সারাদিন দৌড়াদৌড়ি পর অবশেষে কার্ডগুলো ও মানিব্যাগটি পাওয়া গিয়েছে তাতে অনেকটা ভাল লেগেছিল এদিকে আবারো আমজাদ মামা আশ্বাস দিয়ে বলল ফোন এখনো বেহাত হয়নি ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে আমরা সেভাবেই আর কি আশায় থেকে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফিরে এসেছিলাম তারপর ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে আমি বিছানায় এসে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
এইছিল আমার সারাদিনের ডায়েরি
ধন্যবাদ সবাইকে।