My diary game 03-11-2021
০৩-১১-২১
আসসালামু আলাইকুম ইস্টিম বাংলাদেশের সকল বন্ধুরা আশা রাখি আপনারা সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি । আমি আমার আজকের ডায়েরি লেখা শুরু করছি।
আলহামদুলিল্লাহ আমি একটি সুন্দর সকাল পেয়েছি।ঘুম থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে ব্রাশটা হাতে নিয়ে আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে ছিলাম তারপর আমার রুমে এসেছিলাম কিছু সময় পর সকালে নাস্তা করে নিয়েছিলাম তারপর আমি রেডি হয়ে অফিসের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম। আর সকাল সকাল অফিসে টাইম টু টাইম আসার কারণে আমার নিজে থেকে অনেক ভালো লাগতেছিল। তারপর অফিসের সকল কাজ এক এক করে গুছিয়ে নিচ্ছিলাম আর মনোযোগ দিয়ে সব কাজ করতে ছিলাম।
অফিস থেকে সোজাসুজি দুপুরবেলা বাসায় গিয়েছিলাম তারপর কাপড় টা চেঞ্জ করে বাগানবাড়িতে একটু হাঁটাহাঁটি করে এসে আমি গোসল করে নিয়েছিলাম। তারপর আমার ভাতিজি দুইটা তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে ছিলাম তারপর আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম তারপর আমার রুমে এসে আমি কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। বিশ্রাম নেওয়ার শেষে আবার রেডি হয়ে অফিসের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম। অফিসে থাকা অবস্থায় এক দিদি আমাকে ফোন দিয়েছিল তার দুটো মেয়ে বাচ্চা। বাচ্চা গুলোর রক্তশূন্যতা প্রতিমাসে তাদের শরীরে রক্তের প্রয়োজন হয় তাই আমার এবি পজিটিভ রক্ত সেই সূত্রে আমাকে ফোন দিয়েছিল আমিও দিদিকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে আমি রক্ত দেবো।
অফিস থেকে বের হয়ে সোজা দিদিকে ফোন দিয়েছিলাম তারপর আমিও আমার কলিগ শাওন দুজন মিলে বাইকটা নিয়ে ল্যাম্ব হসপিটালে গিয়েছিলাম বাচ্চাগুলোকে রক্ত দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় আমাদের বসে থাকতে হয়েছিল রক্ত সংগ্রহ করবে বলে। তারপর কিছু সময় পর আমার শরীর থেকে ৪০০ গ্রাম রক্ত নিয়ে নিয়েছিল তারপর আমি কিছুটা সময় সেখানে বসে ছিলাম আস্তে আস্তে উঠে আমি দাঁড়ায় ছিলাম। যে বাচ্চা দুটোকে আমি রক্ত দিছিলাম তাদেরকে দেখার জন্য আমার মনটা খুব উতাল পাতাল হয়েছিল তারপর দিদিকে বললাম যে আপনার মেয়ে দুটোকে আমি দেখতে চাই তারপর দিদি আমাদের দুজনকে নিয়ে গিয়ে বাচ্চা দুটোকে দেখিয়ে দিয়েছিল।
মেয়ে বাচ্চা দুটিকে দেখে অনেক মায়া লাগতেছিল একজন মা কত কষ্ট করে রক্ত সংগ্রহ করে তার সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কতইনা চেষ্টা করতে ছিল তাদের শরীরে রক্ত দিতে দিতে পুরো শরীর তাদের কাল হয়ে গিয়েছিল আর মেয়ে দুটো অপরিচিত আমাদের দেখে বেশ একটু ইতস্ত বোধ করছিল আর ইতি মত কান্না করে দিয়েছিল।
রক্ত দেওয়ার পর বাচ্চাগুলো কাছ থেকে আমরা বিদায় নিয়ে নিয়েছিলাম তারপর আমরা বাহিরে এসে একটা জুস ও কিছু খাবার খেয়েছিলাম তারপর সোজা নতুনবাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মোস্তাকিম ভাইয়ের দোকানে এসেছিলাম ভাইয়ের সঙ্গে অনেকটা সময় আমরা গল্প করেছিলাম করার পর ভাইয়া আমাকে একটা রোল খাওয়াইছিল।
তারপর আমরা সেখানে আরও কিছু সময় আড্ডা দিয়ে যে যার মতো বাসায় ফিরে এসেছিলাম।
এই হচ্ছে আমার সারাদিনের ডায়েরি
ধন্যবাদ সবাইকে।
আশা রাখি আপনাদের ও দিন গুলো ভালো কেটেছে।
Wonderful diary. Hope You will continue your act of kindness and help the poor people. May Allah help you.
Tnk u mama❤️❤️❤️❤️