Eid Work 10 Steem Contest - "@toufiq777
প্রবাসের ঈদ গুলো কেমন হয় সেই এক্সপেরিয়েন্স আজকে এই কন্টেস্টের সাথে আমি শেয়ার করব।
আশা করি আপনাদের অনেকের ই হয়তো এই সম্পর্কে জানা নাই, বা কেউ হয়তো শুনেছেন দেখা হয়নি কখনো।
আমি ওমান এ থাকি এখানে একটি কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করি। যদিও যদিও আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ তবে আমি ওমান এ 5 বছর যাবত বসবাস করি।
ঈদের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই জামাতে যাওয়ার জন্য ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। তারপর ঈদ জামাতের জন্য আমরা প্রত্যেক বছর যেখানে যেতাম সেখানে যাওয়া হয় নাই কারণ করোনার ভাইরাসের কারণে সেখানে ঈদ জামাত স্থগিত ছিলো, যার কারণে আমরা কোম্পানির এখানে একটা মসজিদ ছিল ওই মসজিদে আমরা ঈদের নামাজ পড়ে ছি সামাজিক দূরত্ব মেনে।
ঈদ জামাত শেষে ক্যান্টিনে আসলাম ক্যান্টিনে এসে প্রথমে একটু নাস্তা করলাম সকালের নাস্তা ছিল রুটি ও সেমাই।আমি ক্যান্টিন থেকে সেমাই নিলাম খাবার জন্য।
এই বছর কোম্পানির তরফ থেকে কোর বান দেয়ার জন্য একটা ছাগল দেয়া হয়েছিল তো সেই ছাগল টিকে যেখানে জবাই করতে ছিল তখন সেখানে গেলাম।
এখানে দেখতে পেলাম তিন জনে ধরে ছাগল টি জবাই করতেছিলো একজন পাকিস্তানী আর দুজনের একজন ইন্ডিয়ান এ একজন বাংলাদেশী ছিল।সেখানে আমার কাজ ছিল না তাই আমি বাইরে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।
ছাগলকে জবাই করা হয়েছিল আমাদের ওয়াশরুম এরিয়াতে যার কারণে জবাই করার পর পুরা জাগায় ক্লিন করা সম্ভব হয়েছে সহজে।
তারপর দুইজন লোক ছাগল টি ধরে নিয়ে আসলো একটা নিম গাছের তলে আমাদের ওয়াসরুম এরিয়ায়।
এইখানে অনেক সুন্দর একটা নিম গাছ আছে ওই গাছটার নিচে ছাগল টিকে নিয়ে এসে চামড়া ছাড়াতে লাগল দুজনে মিলে।
কিন্তু একটি মাত্র ছাগল কুরবানী দেয়া হয়েছিল যার কারণে বেশি লোকের কাজ করার এখানে কোন প্রয়োজন ছিল না দুজনেই পর্যাপ্ত ছিল।
তারপরও যারা জবাই করেছে শুধু জবাই করে তারা চলে গেছে বাকি দুইজন ধরে সে গুলা চামড়া ছাড়ানোর কাজ শুরু করলো, তারপরে তারা ও চলে গেছে।
এরপরে আমরা এগুলিকে কেটে ছোট ছোট টুকরো করে ক্যান্টিন এ জমা দিলাম পাক করার জন্য।
যদিও একটা মাত্র ছাগল কিন্তু তিনটা গ্রুপে কাজটা হয়েছে মজা নেওয়ার জন্য। আসলে প্রবাশে এমন ই হয়ে থাকে আর সবাই মজা করতে কাজ গুলো শেষ করলো।
সবাই মিলে একটু একটু করে কাজে হাত বাড়িয়েছে। কথায় আছে না, দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ, তেমন টা হয়েছিলো।
বুঝতেই পারছেন প্রবাসের ঈদ গুলো সাধারণত অন্যরকম হয়ে থাকে আমাদের দেশের থেকে একদম ভিন্ন।
এই ছাগলটিতে মাংস হয়েছিল প্রায় ২৫ কেজি এবং ছাগলটির দাম ছিল ওমানি ৩৮ রিয়াল।
তারপর ক্যান্টিনের দায়িত্বে যারা ছিল তারা মাংস রান্না করলো এবং তারা প্রতিটি মানুষের জন্য পার্সেল তৈরি করে ফেলল।
যখন দুপুরে খাবার সময় হয় তখন সবাইকে তাদের খাবার সাথে সাথে একটা করে পারছেল দিয়ে দিল।
যখন সন্ধ্যা হয় তখন আমরা একটা ছোট খাটো পার্টির আয়োজন করি। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আগের দিন রাত্রে কিছু মাংস শিক কাবাব বানানোর জন্য রুমে এনে ফ্রিজে রেখেছিলাম।
যখন সন্ধ্যা হয় তখন আমরা কয়লা রেডি করে শিক কাবাব বানানোর প্রস্তুতি নিলাম। এবং কয়লা রেড়ি হওয়ার পর শিক কাবাব রেড়ি করলাম কয়লাতে পোড়ানোর জন্য।
সব কিছু প্রস্তুত করার পর,আবেশেষে এক ঘন্টার উপরে সময় লেগেছিল কাবাব প্রস্তুত হতে। যখন কাবাব প্রস্তুত হয় তখন আমরা ও সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করি।
এটাই ছিল প্রবাসের সিম্পল ঈদ এবং ঈদের কাজ। যদিও পুরো দিনে তেমন একটা বেশি কাজ করতে হয়নি তবে সন্ধ্যায় যে পার্টি টি আমরা করেছি সেখানে একটু বেশি ই পরিশ্রম করতে হয়েছিল।
কারণ সেখানে কয়লা বানাতে হয়েছে তারপর এগুলোকে রেডি করে সুসম্পন্ন করতে অনেক পরিশ্রম হয়েছিলো।
আপনি সবসময়ই ভালো পোস্ট লিখেন৷ ধন্যবাদ ভাই।
ঈদ মোবারক ভাই
@toufiq777 স্বাগতম আপনাকে।
আপনি ও সব সময় ভিন্ন ধরণের প্রতিযগীতা রাখেন
যা আমার ভালো লাগে।
ডিসকোর্ড এ একটা মেসেজ দিছিলাম আপনাকে পাইছেন ভাই?
Eid Mubarak.
Semai is interesting food I like to eat a lot. You had a great day. Nice post.
Thank you .
thanks
You are welcome