🤝আসসালামু আলাইকুম
💌সকলকে💌

This is @nakib07 from Bangladesh

Steem-bangladesh কৃতক আজকের টপিক Sports.নিচে আমি swimming sports সম্পর্কে আমার কিছু মন্তব্য তুলে ধরলাম। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

🏊‍♀️🏊‍♂️সাঁতার🏊‍♂️🏊‍♀️

source

ইতিহাস :

📌 বর্তমানে যে ধরনের সাঁতার আমরা দেখতে পাই সে সাঁতার প্রথমে ইংরেজরা শুরু করে।

📌 ১৮৩৭ সালে লন্ডনে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়।

📌 অলিম্পিকে ১৮৯৬ সাল থেকে পুরুষদের ও ১৯১২ সাল থেকে মহিলাদের সাঁতার অন্তর্ভুক্ত হয়।

📌 ১৯০৮ সালে সাঁতারের আন্তর্জাতিক সংস্থা FINA (Fedration International de Nation Amateur) গঠিত হয়।

📌 ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে সুইমিং ফেডারেশন তৈরি হয়।

source

🏊‍♂️সাঁতার শেখার সহায়ক জিনিসপত্র🏊‍♂️

সাঁতার শেখার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত জিনিসগুলো সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় ;
🔑 জীবনে রক্ষার জন্য বয়া।
🔑 মোটর গাড়ির চাকার টিউব।
🔑 কলাগাছ।
🔑 শুকনো নারিকেল।
🔑 ভাসমান কাঠ বা বাঁশ।

সতর্কতাঃ

📌 আবর্জনা ও বিপদজনক দ্রব্য মুক্ত করে সাঁতারের জায়গা নিরাপদ করা।
📌 অল্প পানি বা অগভীর জায়গায় বেছে নেওয়া।
📌 কেউ ডুবে গেলে তুলে আনতে হবে এমন অভিজ্ঞ একজন সাঁতারুকে কাছে রাখা।
📌 ভাসমান বস্তুর কাছে রাখা।
📌 আহার করার দেড় ঘণ্টার মধ্যে বা খালি পেটে সাঁতার অনুসরণ না করা।
📌 সম্ভব হলে লাইভ বোর্ড বা লাইফ জ্যাকেট কাছে রাখা।
📌 লম্বা মোটা ও শক্ত দড়ি বা বাঁশ কাছে রাখা।
📌 পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ বাথরুম ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে নেওয়া।

🏊‍♂️সাঁতারের প্রকারভেদ🏊‍♂️

প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার চার প্রকার যথা :

📌 মুক্ত সাঁতার
📌 চিৎ সাঁতার
📌 বুক সাঁতার
📌 প্রজাপতি সাঁতার

🏊‍♂️মুক্ত সাঁতার🏊‍♂️ :

এ সাঁতারকে ফ্রন্ট কল বা মুক্ত সাঁতার বলে। এই স্টাইলে খুব দ্রুত সাঁতার কাটা যায়।
source

দেহের অবস্থান :

দেহটাকে উপুড় করে পানির সমান্তরালে রাখতে হবে। পানির মধ্যে মাথা মাঝে মাঝে পরিবর্তন করতে হবে কখনো পানির উপর তুলে আবার কখনো ঘারকে কে কাত করে। সাধারণত যারা কম দূরত্বের সাঁতার কাটে তাদের মাথাটা একটু উপর দিকে থাকে। আবার যারা মাঝামাঝি লম্ব দূরত্বের সাঁতার কাটে তাদের মাথাটা নিচের দিকে থাকে।

হাতের কাজ :

📍খাড়াভাবে হাতকে সোজা সামনে নিয়ে যেতে হবে।
📍হাতকে সোজা শরীরের পাশ দিয়ে ঘুরিয়ে পানির সমান্তরালে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
📍 যখন হাত মাথার সামনে পানি স্পর্শ করবে ঠিক তখনই পানির ভিতর হাতের কাজ শুরু হবে।
📍 হাত পানির ভিতরে নিয়ে প্রথম পানি টানতে হবে পরে পিছনের দিকে ঠেলা দিতে হবে এভাবে এক হাতের উপর অন্য হাত অর্থাৎ ডান হাতের পর বাম হাতে পানি কেটে চলতে থাকবে।
source

পায়ের কাজ :

📍পায়ের কাজ কোমর থেকে শুরু হয়। একের পর এক ডান পা ও বাম পা উঠানামা করে সামনে এগোবে।
📍হাঁটুর কাছ থেকে পা ভাজ করতে হবে এবং পায়ের পাতা সোজা থাকবে।
📍 পায়ের গোড়ালি পানির উপরে আসবে না। পায়ের পাতা দিয়ে যখন পানিতে চাপ দেবে তখন সেটা ১৮ ইঞ্চি পরিমাণ পানির নিচে যাবে।
📍মনে রাখতে হবে দুই হাতে একবার ঘুরে আসার মধ্যে ৬ থেকে বারো ১২ বার পায়ের পরিচালনা করতে হবে।

শ্বাস-প্রশ্বাস :

সাঁতার কাটার সময় মাথাটাকে ঘুরিয়ে পানির উপর মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া ও ছাড়া হয়।

মুক্ত সাঁতারের নিয়মাবলী :

📌 মুক্ত সাঁতার আরম্ভ ব্লকে উঠে শুরু করতে হয়।
📌 মুক্ত সাঁতারের উপুড় হয়ে সাঁতার কাটতে হয়।
📌 পা পানির নিচে সাধারণত ১২-১৮ ইঞ্চি পরিমাণে যায়।
📌 পানির নিচ দিয়ে সাঁতার কাটা যাবে না।
📌 হাতের কাজ পানির নিচে S- এর মত হবে।

🏊‍♂️চিৎ সাঁতার🏊‍♂️

দেহের অবস্থান :

পানিতে শরীর চিৎ করে রাখতে হবে। সাধারণত মাথাটাকে পানির ভিতর রাখতে হয় যাতে সম্পূর্ণ শরীরটা পানির উপর সমান্তরাল থাকে, যেন মাথাটা বালিশে রাখা আছে। দৃষ্টি পায়ের গোড়ালির দিকে রাখতে হবে।
source

হাতের কাজ :

হাতদুটো সোজাসুজি মাথার কাছাকাছি পানির ভিতর নিয়ে যেতে হবে। চিৎ সাতার তাদের হাতের অবস্থান হবে এক এক করে। এক হাত পানিতে পড়বে ও অপর হাত উপরে উঠবে এবং অন্য হাত পানিতে পড়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

পায়ের কাজ :

মুক্ত সাঁতারের মতোই অনেকটাই পায়ের কাজ হয়। সাধারণত চিৎ হয়ে ফুটবল কিক মারার মতোই পায়ের কাজ।

source

শ্বাস-প্রশ্বাস :

শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে নিতে হবে।

চিৎ সাঁতারের নিয়মাবলী :

📌চিৎ সাঁতার পানিতে নেমে হাতল ধরে আরম্ভ করতে হয়।
📌 চিৎ সাঁতার চিৎ হয়ে কাটতে হয়।
📌 পা পানির নিচে সাধারণত ১৮-২৪ ইঞ্চি যায়।
📌 সাঁতারের সময় অন্যের লাইনে যাওয়া যাবেনা।
📌 চিৎ সাঁতারে পায়ের কিক হবে কোমর থেকে।
📌 এই সাঁতারের শরীরের যে কোন অংশ স্পর্শ করে সাতার সমাপ্ত করা যাবে তবে চিৎ অবস্থায়।

source

🏊‍♂️বুক সাঁতার 🏊‍♂️

দেহের অবস্থান :

বুক সাঁতার কাটার সময় দেহটাকে প্রায় পানির সমান্তরালে রাখতে হয়। পিছনের অংশ পানির সমান্তরাল থেকে ১০ ডিগ্রি মতো পানির নিচের দিকে থাকে।

হাতের কাজ :

দুই হাত পানির মধ্যে একসঙ্গে নিতে হবে। হাতের তালু একটু নিচে ও বাইরের দিকে রাখতে হয়। কনুই ভেঙ্গে দুই হাত দিয়ে নিচের দিকে চাপ দিতে হয় এবং হাত দুটো বুকের মাঝখানে আসার সাথে সাথে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হয়।
source
হাত চালানো অনেকটা হৃদপিন্ডের আকারের মত হয়। সাঁতার শেষ করার সময় দুই হাত দিয়ে একই সাথে দেয়াল স্পর্শ করতে হবে।

পায়ের কাজ :

দু'পা দিয়ে হাটু ভেঙ্গে পানিতে ব্যাঙের মত পিছনের দিকে লাথি মারতে হয়। পায়ের পাতা বাইরের দিকে রাখতে হয়।

source

শ্বাস-প্রশ্বাস :

মাথা সামনে তুলে শ্বাস নিতে হয় এবং পানির ভিতর শ্বাস ছাড়তে হয়।

বুক সাঁতারের নিয়মাবলী :

📌ডাইভ দিয়ে সাঁতার আরম্ভ করতে হবে।
📌 ট্রেডিং ও ফিনিশিংয়ের সময় একসাথে দুই হাত দিয়ে সমাপ্তি ওয়াল স্পর্শ করতে হবে।
📌 সাঁতারের পূর্ণ সময় বুকের উপর শরীরের ভার থাকবে।
📌 পানির নিচ দিয়ে সাঁতার কাঁটা যাবেনা।
📌 পা উপরে তুলে সাঁতরানো যাবে না।
📌 উভয় হাত ও পা একই সময় এবং একই কায়দায় সঞ্চালন করতে হবে।

🏊‍♂️প্রজাপতি সাঁতার🏊‍♂️

দেহের অবস্থান :

এই সাঁতারে শরীর খুব দ্রুত ওঠানামা করে । পা যখন নিচের দিকে লাথি মারা হয় কোমর তখন উপরের দিকে উঠে আসে। পুনরায় পানি টানার জন্য হাতকে যখন প্রস্তুত করা হয় তখন মাথা ও ঘাড় পানির নিচে চলে যায়। আবার যখন হাত দ্বারা পানি টানা হয় তখন ঘাড় ও মাথা পানির উপর দিয়ে জেগে ওঠে। দুই পা জোড়া করে একই সঙ্গে হাতকে প্রসারিত করতে হয়। মাথা উপরে থাকা অবস্থায় শ্বাস নিতে হয়।
source

হাতের কাজ :

প্রজাপতি সাঁতারের হাতের কাজ হবে একসাথে। পানির উপরে হোক আর নিচে হোক হাতকে আগে-পরে করা যাবে না। হাতের কনুই কে বাঁকা এবং উঁচু করে নিচের দিকে এবং বহির্মুখী করে পানিতে চাপ দিতে হবে। হাত মাথা বরাবর সোজা রাখতে হবে। বুকের দুই পাশে থেকে শরীর ঘুরিয়ে বুকের নিচে হাত কে নিয়ে আসতে হবে। পানির নিচে হাতকে কোমর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।

পায়ের কাজ :

প্রজাপতি সাঁতারের পায়ের অবস্থা হবে ডলফিন কিকের মতো। দুই পা কোন অবস্থাতেই পরে আগে হলে চলবে না। পা একসাথেই উঠানামা করতে হবে। শরীর শোয়ানোর অবস্থায় পা দুটো একত্রে সোজা রাখতে হবে। সাঁতারুকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় কাদের উপর ভর করে ঢেউ খেলানো ভঙ্গিতে পানির দিকে নিয়ে যেতে হবে।

source

শ্বাস-প্রশ্বাস :

প্রজাপতি সাঁতারে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ এর কাজে মাথা সামনেও পাশে উভয়দিকে করা গেলেও বিশ্বখ্যাত সাঁতারুরা সামনের দিকে শ্বাস গ্রহণ করে থাকে। উপরে তোলা অবস্থায় মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করতে হয়। আর এটাই সহজতর।শ্বাস গ্রহণের সময় ঘাড় নমনীয় থাকবে।

প্রজাপতি সাঁতারের নিয়মাবলী :

📌
প্রজাপতি সাঁতার আরম্ভ ব্লকে উঠে ঝাপ দিয়ে শুরু করতে হয়।
📌 তার বুকের উপর ভর করে কাটতে হয়।
📌 লেন পরিবর্তন করা যাবে না।
📌 পায়ের পাতার দিকে কিক মারতে হবে।
📌 প্রতি স্টোকে নিঃশ্বাস না নিলেও চলবে।
📌 হাত কোমরের পিছনে যেতে হবে।
📌 সমাপ্তি রেখায় দুই হাত এক সাথে স্পর্শ করতে হবে।

🏊‍♀️মিডলে রিলে🏊‍♀️

মিডিলে সাঁতার দুই প্রকার ঃ
📍ব্যক্তিগত মিডলে
📍 দলগত মিডলে

ব্যক্তিগত মিডিলে সাঁতারে একজন সাঁতারু কে ৪টি স্টাইলে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিচের স্টাইলসমূহ ধারাবাহিক ভাবে অনুসরণ করতে হবেঃ

প্রজাপতি সাঁতার--চিৎ সাঁতার--বুক সাঁতার--মুক্ত সাঁতার

দলগত মিডিলে সাঁতারে ৪ জন সাঁতারুকে ৪টি স্টাইল এর নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। পর্যায়ক্রমিকভাবে স্টাইল এর নাম দেওয়া হলঃ

চিৎ সাঁতার---বুক সাঁতার---প্রজাপতি সাঁতার---মুক্ত সাঁতার

মূল কথা :

🏊‍♂️ সাঁতার আমাদের জীবনে বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
🏊‍♂ সাঁতারের মাধ্যমে আমাদের হাত-পায়ের অনুশীলন হয় এবং শক্তি ও দক্ষতা বাড়ে।
🏊‍♂️ জীবনকে এগিয়ে রাখার জন্য সাঁতার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজ এখানেই শেষ করছি

by @nakib07

♦সবাইকে ধন্যবাদ♦