Steem Bangladesh Contest: charity || 30% to @hive-138339 || Post by @mmratulahmed.
Assalamu Alaikum
Hello dear steemians.
How are you? Hope everybody is fine.
I am @mmratulahmed from Bangladesh. 🇧🇩
Today I am going to participate Contest charity.
প্রতিবছরই শীতকালে আমাদের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আজ আমি আপনাদের আমাদের গত মাসের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে গল্পটা বলবো।
শীতের শুরুতে আমরা কম্বল বিতরণ করেছিলাম এবং কম্বল কিনতে গিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটি আজকে পোষ্ট আকারে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
প্রতিবছরই আমরা কোন না কোন প্রোগ্রাম করে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয় আলহামদুলিল্লাহ এবার ও আমরা সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে, এবারের শীতের প্রোগ্রাম করতে সক্ষম হয়েছি। প্রোগ্রামটি হয়েছিল আমাদের শীতের শুরুর দিকেই। প্রোগ্রামের বেশ কয়েকটি দায়িত্ব আমার ছিল তার মধ্যে একটি হলো কম্বলকে কিনে নিয়ে আসা। সেই সময় আমার যে অভিজ্ঞতাগুলো হয়েছিল আজ তা আপনাদের কাছে শেয়ার করব আশা করি ভালো লাগবে।
কম্বল বিতরনের জন্য সবার কাছ থেকে চাদা উঠানোর পর আমরা একটি নির্দিষ্ট দিনে ঠিক করলাম বের হব, তখন পৌষ মাসের মাঝামাঝি একটি সময়। ঠিক করা হলো ভোর ছয়টার দিকে আমরা তিনজন বন্ধু বাসা থেকে বের হব। পছন্দ এবং দাম ঠিক করব কয়েক ঘন্টা পর বাইক এবং গাড়িতে করে আমাদের বাকি বন্ধুরা আসবে এবং কম্বল কিনে আমরা বাসার দিকে রওনা হব।
কম্বল কিনতে যাওয়ার দিন:
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম। আজকের সেবার প্রত্যয়ের শীতকালীন কার্যক্রমের কম্বল কিনতে যাওয়ার ডেট ছিলো। সে জন্য তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম । একটি বন্ধুর সাথে দেখা হল একটা বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতেছি। একদম সকাল-সকাল রেডি হয়ে বের হয়ে গিয়েছি। এখন আরেকজনের পালা, ওই বন্ধু আসতে একটু দেরি করছে। আমরা হাঁটতে হাঁটতে বাজার এর দিকে যেতে থাকলাম। কারন ওই বন্ধুর বাসা বাজারের দিকে। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর আমাদের বন্ধু চলে আসলো, শীতের সকাল বেশ ভালই লাগছে।
কিছু সময়ের মধ্যে বাস চলে আসলো, আমরা বাসে চড়ে রওনা দিলাম। জানিনা ছাত্র এবং বাসের হেলপার দের সাথে কি এত শত্রুতা। আমরা যখন বললাম স্টুডেন্ট, হেল্পার আমাদের বলল সকালবেলা কোন ছাত্র নয়, আমরাও জানি ছাত্র সময় সীমা কতটুকু। কিন্তু এই হেল্পারকে দেখলাম বাসের সকল যাত্রীর সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করছে। এমনকি মহিলা মানুষের সাথে ও খুব বাজে ব্যবহার করছে। কারো সাথে যদি মহিলা যাত্রী থাকে সেই পুরুষকে আরো বেশি খারাপ আচরণ করছে, এমনকি ভাড়া নিয়ে বেশ হাতাহাতি ও হয়ে যায় কয়েক জনের সাথে।
ব্যাপার গুলো দেখে আমরা বেশ রাগান্বিত হই এবং আমরা ঠিক করলাম এর সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আমি সাধারনত খুব ঠাণ্ডা মাথার মানুষ, সহজে আমি রাগ করি না। কিন্তু হেল্পার একটি মেয়ের হাত থেকে টাকা টান দিয়ে নিয়ে যায় ব্যাপারটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। আমরা সঠিক ভাড়া দিতাম কারণ তখন সকাল আটটা বাজেনি, অর্থাৎ ছাত্ররা চালু হয়নি। কিন্তু এই রূপ ব্যবহারের কারণে আমরা হেলপারের সাথে ভাড়া নিয়ে বার্গেনিং করলাম। সে যখন আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে এসেছে। তখন ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র এবং আমরা সকলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠি।
আমরা সকলে অর্ধেক ভাড়া দেই, এবং তার খারাপ ব্যবহার করার কারণে তাকে বেশ কথা শোনানো হয়। আমাদের সাথে বেশ বয়স্ক মানুষরা যোগ দেয়। জানি না ওইদিন ড্রাইভার এবং হেল্পার এর মধ্যে কি হয়েছে। তবে দুজনকে দেখে মনে হচ্ছে খুব রাগান্বিত। কোনরকম আমরা আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌছালাম।
আমরা পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল আটটা , আমাদের তিনজনের ক্ষুধা লেগে যায়, আমরা নাস্তা করলাম। তিনজনে চারটা নান রুটি খেলাম এবং ডাল ভাজি ছিল। তুলনামূলক এখানে খাবার মূল্য বেশি মনে হচ্ছে। যেটা আমাদের এখানে ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে হয়ে যায়। সেখানে তো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রায় তার দ্বিগুণ টাকা নিয়েছে। বাড়তি উপকরণের মধ্যে শুধু সালাত দিয়েছিল।
আমরা মার্কেটের আশেপাশে হাঁটাহাঁটি করতে থাকি, তখন দোকান মাত্র খেলা শুরু হয়েছে। আমরা চারপাশ দেখতে থাকলাম এবং ঠিক করতে থাকলাম কোথা থেকে নিলে ভালো হয়।
সকলের পছন্দমত এবং আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আমাদের এই কমবে গুলো পছন্দ হয়েছে, এগুলো গার্মেন্টসের ব্লেজার কম্বল। এটি তুলনামূলক মোটা এবং বেশি আরামদায়ক। আমরা এটিকে ঠিক করলাম কেনার জন্য এবং দামাদামি করে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কিনে নিলাম।
দোকানদার যখন কম্বল দেয় তখন আমি একবার শুনেছিলাম তারপরও আরেকবার গুণে নেওয়া হলো।
আমরা বিকেলবেলায় বের হয়ে ছিলাম অল্প পরিসরে কিছু নিয়ে, আমরা আশেপাশের কিছু মানুষদের দেয়া শুরু করলাম। প্রথমে আমরা আমাদের আশেপাশের যে অসহায় মানুষগুলো রয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করি। তার পর আমরা একে একে এগুলো বিতরণ শুরু করি। আমরা পর্যায়ক্রমে কয়েকদিন রাতের বেলা বের হয়েছি। আমাদের আশেপাশের রাত্রেবেলা ঘুমন্ত অবস্থায় যে মানুষগুলো কষ্ট করে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আমরা সে সকল মানুষকে কম্বল দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আমরা কখনো বাইকে কখনো রিকশায় করে পুরা এলাকা ঘুরে বেরিয়েছি। তিন চারদিন ধরে আমরা এই কাজগুলো করছিলাম। আমাদের যথাসাধ্য আমরা অসহায় মানুষদের কে খুঁজে বের করেছি, চেষ্টা করেছি আমাদের দুই এলাকার মানুষদের কে সাহায্য করতে। আমাদের এই এলাকায় বেশ অনেক মানুষ রয়েছে। যেহেতু আমাদের কম্বল সংখ্যা সীমিত, তাই আমাদের বেছে বেছে অসহায় মানুষদের কে সাহায্য করতে হয়েছে।
আমরা একজন একজন করে মানুষের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কম্বল প্রদান করেছে। যে মানুষগুলোর সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন আমরা তাদের কাছেই গিয়েছে। বিতরনের সময় ভালো-মন্দ অনেক রকমেরই অভিজ্ঞতা হয়েছে, কারো কম্বল থাকার পরেও কম্বল দাবি করছে, আবার এমন ও মানুষকে দেখেছি যাকে আমরা কম্বল দিতে গিয়েছি তারা বলেছে না আমরা আগে কম্বল পেয়েছি। সব মিলিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। মানুষকে সাহায্য করতে পারলে মনের মধ্যে একটি আত্মতৃপ্তি আসে সেটি আমরা উপভোগ করেছি।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @baybee & @wendyalexa কে ।
@mmratulahmed
@mmratulahmed ভাই, এই সপ্তাহে জব চেঞ্জ করেছি। নতুন অফিসে দায়িত্ব বুঝে নিতে এই সপ্তাহ যাবে। তারপর এই বিষয়ে লিখবো ইনশায়াল্লাহ।
সমস্যা নাই ভাই আপনি আপনার সুবিধামতো লেখেন। 😇
ধন্যবাদ।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Thank you for your support.
অসহায় মানুষদের সাহায্য করা খুবই সোয়াবের কাজ। এভাবেই গরীব মানুষদের সাহায্য করতে থাকুন। দোয়া রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার উৎসাহ এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।