THE DIARY GAME : 15/09/2020
আসছালামুআলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় আমি ভালো আছি। আজকে সমাজে এমন কিছু হয়। তার কিছু জিনিস দেখলাম তা হলো আজকে আমি সকালে নাস্তা করে আমার জমি দেখার জন্য আমি বাসা থেকে বের হই। বাসা থেকে কিছুদূর যেতেই দেখি। একটা পাঁচ-ছয় বছরের বাচ্চা খোলা গায়ে ঢুলে ঢুলে হেটে আসতেছে। আমি বাচ্চাটাকে দাড় করিয়ে বললাম। তোমার নাম কি? ছেলেটি বললো আমার নাম আশিক। আমি বললাম বাহ নামটি তো সুন্দর। আমি বললাম তুমি পড়াশুনা করো না? বাচ্চাটি বললো আমি পড়তে পারি না। আর আম্মাও আমাকে পড়াতে পারে না। আমি আবারও বললাম তোমার বাবা কি করে? বাচ্চাটি বললো আমি জানিনা। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন জানো না? তোমার বাবা কোথায় থাকে? বাচ্চাটি বলে আম্মার কাছে শুনছি বাবায় ঢাকায় থাকে। এতো কিছু বাচ্চাটির মুখে শুনে আমি বাচ্চাটিকে বললাম তোমার বাড়ি কোনটা? ও বললো ঐটা আমার বাড়ি। আমি বাচ্চাটিকে বললাম তোমার আম্মা কি বাড়িতে আছে? ও বলে হ্যাঁ! আমি বাচ্চাটিকে নিয়ে ওর আম্মার কাছে গেলাম। এবং ওর মাকে ডাকলাম। ওর মা আসলো আমি উনাকে দেখে চিনতে পারলাম। কারণ ঐ মহিলা উনার বিয়ের আগে আমাদের বাসায় আসতো। আর আমার মায়ের কাজে সাহায্য করতো। ঐ মহিলা আমাকেও চিনতে পেরেছে। আমাকে বললো ভাইজান কেমন আছেন? আমি বললাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ আমি উনাকে বললাম, তোমার এই অবস্থা কেন? উনি বললো ভাইজান আমার কপালটাই খারাপ। আমার বিয়ের পাঁচ বছরে দুইটা ছেলে হয়। আমার স্বামী আমাদের রেখে ঢাকায় চলে যায়। আজ চার বছর হয়ে গেছে। তিনি বাড়ি আসে নাই। আমি বললাম তোমাকে টাকা পাঠায় না? উনি বলল মাঝে মাঝে দেয়। আবার মাঝে মাঝে দেয় না। আমি বললাম তোমার সংসার চলে কেমন করে? উনও বলল, আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি। কথা গুলো শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। মানুষ বাচ্চাদের রেখে কেমন করে এতোদিন থাকতে পারে।
সেই ছোট্ট ছেলেটি
পুকুর
বাচ্চাটার মাকে আমি বলে আসলাম বাচ্চা দুইটাকে স্কুলে ভর্তি করে দিতে। এখন সরকার বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ দিচ্ছে। তোমাকে কিছুই করতে হবে না। তুমি শুধু স্কুলে তোমার সন্তানদের পাঠাইও। এই কথা বলে আমি চলে গেলাম জমি দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে জমি দেখলাম।
ছাগলেরা মাঠে ঘাস খাচ্ছে
বৃষ্টিতে রাস্তায় কাঁদা জমেছে
আমার জমি বর্গা চাষাবাদ করি৷ সেই লোকের বাড়িতে গেলাম। কারণ ধান কাটা, মারার অনেক দিন হয়ে গেছে। কিন্তু আমাকে এখনও ধান দেয় নাই। আমি ওদের বড়িতে ঢুকতেই ওই লোক অনেক লজ্জা পেয়ে আমার সামনে এলো। আমি বললাম কি ব্যপার আমার ধান দেও নাই কেন এখনো? উনি বললো ভাই, আমার একটু সমস্যা ছিলো। তাই ধানটা দিতে পারি নাই। লোকটি আবার অনেক গরীব। আমি আবার বললাম কি সমস্যা। উনার স্ত্রী ভিতর থেকে বাইরে এসে বললো ভাইজান হঠাৎ করে মেয়ের বিয়েটা দিলাম তো তাই। আমি আবার বললাম মেয়ের বিয়ে দিছো সেটাতো খুব ভালো কথা। আমাকে বললেই তো হইতো। আমি বললাম আচ্ছা চিন্তা করার দরকার নাই। পরে ধীরে ধীরে পরিষদ করিও। আমি একথা বলে ওখান থেকে চলে এলাম। বাসায় এসে গোসল করে যোহরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাই।
ধান মাপা হচ্ছে
আমার টগর ফুলের গাছে অসংখ্য ফুল ফুটেছে
ধন্যবাদ
@mazedulislammasu
You wrote so beautifully. Everything from taking your pictures and writing your posts has been perfect. I hope you will share better and better posts with us every day. Best of luck to you.
#onepercent
#bangladesh
শেষের ছবিতে ফুল গাছটা অনেক সুন্দর এবং অনেকগুলো ফুল ফুটে আছে গাছটাতে। আসলেই ফুল গাছ থেকেই ভালো লাগে এবং গাছে ফুল শোভা পায়। খুবই ভালো লিখেছেন আপনি। তবে আপনি যদি প্রতিটা ছবিতে ক্যাপশন ব্যবহার করতেন তাহলে ভাল হত এবং পোস্টে আরো সুন্দর লাগতো। তাই অনুরোধ করছি পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে প্রতিটা ছবিতে ক্যাপশন ব্যবহার করবেন।
#diarydoctor #bangladesh
আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন মামা। ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
#onepercent
#bangladesh
https://twitter.com/Mazedulisl/status/1306099011619676162?s=20
You are writing very beautifully In fact, this is the condition of the world now. People are leaving their children behind. We have so many women here. Those whose husbands have also left them. Today's people are getting worse day by day to keep pace with the age. #onepercent #bangladesh
Beautifulpost