|| Steem bangladesh contest || The Diary Game || by @max-pro || Traveling to dhaka (12 April 2022) || 30% to @hive-138339 ||
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন, সবাইকে জানাই রমজান মোবারক, রমজান মাসে আমরা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করবো, আমি @max-pro বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি @steem-Bangladesh কতৃক আয়োজিত কনটেস্টে যোগদান করতে যাচ্ছি। ধন্যবাদ @hive-138339 এইরকম একটি কনটেস্ট এর আয়োজন করার জন্য।
আজকে আমি শেষ রাতে সেহরি খেলাম, তরপর ঘুমিয়ে পরলাম, সকালে আমি ঘুম থেকে উঠলাম তারপর ভালোভাবে ফ্রেশ হলাম। আজকে আমি ঢাকা যাবো তাই রেডি হলাম ঢাকা যাওয়ার জন্য। আমি আমার এক মামার সাথে দেখা করতে ঢাকা যাবো। তার বাসা ঢাকা, সে ঢাকাতেই থাকে। বয়সে সে আমার থেকে ছোট কিন্তু সে খুব ভালো। আমি বাসা থেকে বের হলাম তারপর অটোতে উঠলাম মেইন রোডে যাওয়ার জন্য। তারপর অটো থেকে নেমে সিএনজি তে উঠলাম, তারপর মেইন রোডে গেলাম সিএনজি তে চরে। এরপর অনেকখন বসে থাকলাম বাসে উঠার জন্য, বাস পেতে আমার অনেক দেরি হয়েছিল কিন্তু আমি ততক্ষণ বসে ছিলাম, বাস পাওয়ার পর আমি বাসে উঠে পরলাম তারপর বাসে উঠে সিটে বসে পরলাম।
এরপর আমি যেতে থাকলাম ঢাকার দিকে, আমি অনেকক্ষণ যাবত বসে থাকলাম বাসে তারপর আমি যেতে থাকলাম ঢাকা-মিরপুরের দিকে। আমি বাসে যেতে যেতে অনেকক্ষণ মোবাইলে অনেক কিছু পরলাম, তারপর ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বললাম। তারপর আমি বাস থেকে নেমে পরলাম, এরপর আমি মিরপুর যেতে থাকলাম আরেক বাসে চরে, আমার মামা বাসা মিরপুর ২ নাম্বার সেক্টরে থাকে, আমি মিরপুর গিয়ে তাকে ফুন দিলাম আসার জন্য। তারপর দুপুরের দিকে আমি সেখানে পৌঁছালাম, তার বাসায় যাওয়ার পর আমি ফ্রেশ হলাম, তারপর কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে একটা শপিংমলে গেলাম ঘুড়তে, সেখানে গিয়ে অনেককিছু দেখলাম তারপর আমি একরি শোরুমে গেলাম কিছু জিনিস কেনার জন্য, তারপর আমি সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম বাহিরে অনেক রোদ ছিলো।
তো আমি তখন ওই মার্কেট থেকে বাসায় চলে এসে পরি, দুপুরের পর আমি মামার বাসায় এসে বিশ্রাম নিয়ে গোসল করলাম, তারপর আমি আমার মামার সাথে তার অফিসে গেলাম, অফিসে গিয়ে আমি আমার আরো পরিচিত মানুষের সাথে দেখা করলাম, সেখানে আমার আরেক মামা ছিলো, সেও ওই ওফিসে কাজ করে, আমি তার সাথে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বললাম, তারপর তার কাজের ব্যাপারে কথা বললাম, তার কাজ কেমন চলছে সে বিষয়ে কথা বললাম, সে আমাকে তার কাজ সম্মন্ধে বুঝালো, সে একজন ওয়েব ডেবোলেপার, তারপর আমি আমার মামাকে নিয়ে একটি এপার্টমেন্টে গেলাম ঘুরতে গেলাম, আমি ঘুরাঘুরি করতে ভালোবাসি, আমি সময় পেলেই ঘুরাঘুরি করি, তো আমি অনেক সময় ওই জায়গায় ঘুরলাম, দেখলাম আশেপাশের পরিবেশ কেমন, দেখলাম পরিবেশ খুব ভালো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আমার খুব ভালো লাগলো সেখানে।
https://w3w.co/headstone.songbird.brick
এরপর আমি আমার মামার সাথে তার বাসায় চলে আসি, কারন বিকেল হয়ে গেছে সন্ধ্যায় ইফতার করতে হবে, তাই আমরা সবাই তারাতাড়ি তার বাসায় চলে গেলাম, বাসায় যাওয়ার পর আমি ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে নিলাম, কারন পরিবেশ বেশি ভালো না। এরপর আমি বাসার ভিতর রেস্ট নিয়ে বিকেলে ইফতারের জন্য তৈরী হলাম। আমরা সবাই একসাথে ইফতারের জন্য তৈরী হলাম। এই রোজা রমজানের দিনে আমরা সবাই ভালো কাজ করবো এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করবো, আমরা সবাই মাগরিবের আজানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। মাগরিবের আজান দিলে আমরা সবাই ইফতার শুরু করি, সবাই একসাথ ইফতার করার মজাই আলাদা, আজকে ইফতারে অনেক কিছু ছিলো,যেমন খেজুর, তরমুজ, বুট,মুরি, শরবত, পিয়ারা, পিয়াজু আরো অনেক কিছু ছিলো, তো আমরা সবাই মিলে ইফতার করতে থাকলাম...
আমরা বাড়িতে থাকতে সবাই একসাথ ইফতার করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই মসজিদে গিয়ে হজুরের সাথে ইফতার করি, আমরা সবাই ইফতার করার পর কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম তারপর একটু বাইরে বের হলাম।বাহিরে বের হয়ে আমি আমার মামার সাথে কিছু কথাবার্তা বলতে বলতে বাহিরে বের হলাম, কিছু দোকানের ভেতরে ঢুকে কিছু জিনিসপত্র দেখলাম ও তার দাম দেখলাম। অনেকদিন পর আমি ঢাকা আসসি তাই আমি একটু বেশিই ঘুরে ঘুরে দেখলাম সবকিছুর দাম কিরকম, আমি এদিক ওদিক ঘুরাফেরা করে মামার সাথে তার বাসায় এসে পরলাম বাহিরে দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে সূর্য অস্ত যাচ্ছে। সূর্য অস্ত দেখতে আমার খুব ভালো লাগে, সূর্য যখন অস্ত যায় ঠিক তখনি আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি।
এজন্য আমি সেই সময় সূর্য অস্তের কিছু ছবি তুললাম, তারপর আমি সেখানে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলাম, তারপর আমি আমার মামার সাথে বাসার ভিতর রুমে চলে গেলাম, এরপর আমরা সবাই অনেক কথাবার্তা বললাম তারপর আমার মামা বললো, সে আমাকে নিয়ে কোনো এক যায়গায় যাবে, আমি সেজন্য রেডি হতে থাকলাম। এরপর আমি ও আমার মামা রাস্তা দিয়ে হাটতে লাগলাম, তারপর কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা একটি রিকশা নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম, তারপর রিকশায় বসে মামা বলতে লাগলো সে আমাকে নিয়ে মটকার চা খেতে নিয়ে যাবে, আমি খুব এক্সাইটেড হলাম এই চা খাওয়ার জন্য। এরপর আমরা অনেক কথাবার্তা বলতে বলতে সেইখানে পৌছালাম, সেখানে যাওয়ার পর আমি দেখলাম অনেক লোকজন সেখানে চা খেতে গেছে, আমরাও গিয়ে সেখানে চায়ের অর্ডার দিলাম, তারপর আমরা কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলতে বলতে চা এসে গেলো, দেখলাম চা টি দেখতে খুব সুন্দর ছিলো এবং খুব গরম ছিলো।
https://maps.app.goo.gl/GRsCwEEBrC2SSV1Z9
আমরা মটকার চা খুব মজা করে খেলাম, অনেক সুস্বাদু ছিলো চা টি, এরপর চা খাওয়া হয়ে গেলে আমরা রিকশা নিয়ে বের হলাম, আমি কয়েকটি শোরুমে গেলাম জুতা কেনার জন্য, কিন্তু আমার কোন জুতা পছন্দ হলো না, তাই আমি মামাকে বললাম এখন আর জুতো কিনবো না একদম ঈদের সময় কিনবো, মামা বললো ওকে ঠিক আছে কয়েকদিন পর তাহলে আবার এসো, তো আমরা কথা বলতে বলতে বাসার দিকে রউনা দিলাম, আবারো একটি রিকশা নিয়ে বাসায় যেতে থাকলাম, তারপর কিছুক্ষণ পর বাসায় এসে পরলাম, রিকশার ভাড়া দিয়ে আমরা বাসায় উঠতে থাকলাম, এরপর বাসায় গিয়ে ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। তারপর রাতের খাবারের জন্য তৈরী হলাম, কিছুক্ষণ পর রাতের খাবার খেয়ে নিলাম তারপর আমি কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম, এরপর আমি ও আমার মামা অনেকসময় কথাবার্তা বললাম তারপর ঘুমাতে চলে গেলাম কারন শেষ রাতে সেহরির সময় উঠতে হবে সেহরি খাওয়ার জন্য।
এবং আমি এই কনটেস্টে যোগদান করার জন্য @MR REAL @carmen delia কে আমন্ত্রণ করলাম 🥰
বাহ আপনারা দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। মটকার চা খেতে সত্যি অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনারা দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য 🥰
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
অনেক ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন আপনি। মটকা চা আমার ও অনেক পছন্দের। নাইস ডাইরি।
ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য 🥰