|| Steem Bangladesh Contest ||:- 🖥️ >>Technology<< 🖥️ by @max-pro || 30% beneficiaries to @hive-138339 ||
'' আসসালামু আলাইকুম ''
আমার প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই ভালো আছেন! সবাইকে জানাই রমজান মোবারক!! আমি @max-pro বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি Steem Bangladesh কমিউনিটি কতৃক আয়োজিত Science, Technology & Computing এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমি আজকে একটি টেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করবো। আমার টপিক হচ্ছে >>Computer Technology<< ধন্যবাদ @hive-138339 এইরকম একটি চমৎকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।
🖥️ কম্পিউটার নিয়ে কিছু কথা....
আজকের দিনে পুরো পৃথিবী ডিজিটালাইজেশনের দিকে ঝুঁকছে, তাই আজকের দিনে একজন সাধারণ ব্যক্তির ও কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা না হলে আপনি সমাজের মূল স্রোত থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন। কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের প্রথমে কম্পিউটারের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে, তবে যদি আমরা কম্পিউটারের আবিষ্কারের কথা বলি,কোনো একক ব্যক্তি কম্পিউটারের আবিষ্কারের দাবি করতে পারেন না, কম্পিউটার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে অজস্র বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার সুফল।
১৮২২ সালে চার্লস ব্যাবেজ(Charles Babbage) তার তৈরী কম্পিউটারে যে নীতি প্রযুক্তি গুলি প্রয়োগ করেছিলেন পরবর্তীকালের বিজ্ঞানীরা সেই নীতি গুলি অনুসরণ করেছিলেন বলেই আমরা এতো উন্নত কম্পিউটার গুলি পেয়েছি। এই কারণে আমরা চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক ফাদার অফ কম্পিউটার বলে থাকে কিন্তু উনি কম্পিউটারের আবিষ্কারক নয় তবে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কম্পিউটারের উদ্ভব কোথায় হয়েছিল এবং প্রথম কম্পিউটারের নাম কি??
🖥️ কম্পিউটার কিভাবে আসে...
বিশ্বের প্রথম কম্পিউটারের নাম (আবাকাস) যেটি প্রথম চীন দেশে পাওয়া গেছিলো আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার আট বছর পূর্বে, তবে এটা নিয়ে অনেক বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক বিতর্কও রয়েছে, তবে এই আবিষ্কারকের নাম এখনো প্রায় অজানা। তবে চীনারা এটির ব্যবহার প্রথমে শুরু করেছিল, এই যন্ত্রটি সাধারণত কাঠ বা ধাতুর ফ্রেমের ভিতরে তারের মধ্যে পুথি থাকতো, হাতের সাহায্যে ওই পুথিগুলি সরিয়ে সংখ্যা গুনা যেতো, এই পুথিগুলি সরিয়ে সাধারণত যোগ বিয়োগ করা যেত, তবে জাপানিরা ওইরকম টাইপের একটা যন্ত্র ব্যবহার করতো, যেটার নাম তারা দিয়েছিল সরোবন, তবে এটি এতোটা পপুলার নয়, অ্যাবাকাস টিই খুবই জনপ্রিয়, পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার।
এবং এর ঠিক পরে ১৬১৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাত কম্পিউটার দুনিয়ায় আরেকটি আবিষ্কার মাথা চাড়া দিয়েছিলো, যেটি আবিষ্কার করেছিলেন জন নেপিয়ার নামক একজন বিজ্ঞানী। এবং এটির নাম ছিল নেপিয়ারস বোন, অর্থাৎ বিজ্ঞানীর নাম অনুসারে এটির নাম রাখা হয়, অ্যাবাকাসের মতোই ছিল হস্তচালিত হাতির দাঁতের তৈরি যন্ত্রটিতে, দশটি
রেখাংগিত দন্ড আছে, এর সাহায্যে দুটি বড় সংখ্যা গুন করা সম্ভব হতো। তবে পরবর্তী কালে ১৬২০ খ্রিস্টাব্দে আবার টেকনোলজি জগতের খুব একটা বড় পরিবর্তন এসেছিল, যেটার নাম ছিল স্লাইড রুল এবং এটির আবিষ্কার করেছিলেন উইলিয়াম ওট্রেড তবে এটি নেপিয়ারের নীতির উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছিল এবং এর সাহায্যে গুন, ভাগ, বর্গমূল ইত্যাদি করা যেতো,পরবর্তীকালে এই আবিষ্কারের ঠিক ২২ বছর পর আবার একটি কম্পিউটার টেকনোলজি জগতে খুব মাথা চারা দিয়ে ওঠেছিলো এবং যেটির নাম ছিল পাসকালের ক্যালকুলেটর। যেটি আবিষ্কার হয়েছিল ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে এবং এটি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানী পাসকাল। এটি হলো বিশ্বের ১ম ক্যালকুলেটর, এতে যোগ,বিয়োগ,গুন ও ভাগ করা যেতো।
পরবর্তী কালে ১৬৭১ খ্রিস্টাব্দে আরেকটি কম্পিউটারের আবিস্কার হয় যেটির নাম ছিলো স্টেপড রেকনার, এবং এটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী গডফ্রে লিবনিজ। তবে এটিই ছিলো প্রথম মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর, যার মাধ্যমে যোগ,বিয়োগ,গুন ও বর্গমূল করা যেতো।এবং তারপরে কম্পিউটার জগৎ আরেকটি নতুন ধারণা নিয়ে এসেছিল জ্যাকওয়ার্ড লুম, যেটি আবিষ্কার হয়েছিল ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে এবং আবিষ্কার করেছিলেন জোসেফ জ্যাকওয়ার্ড, এটিতে পাঞ্চড্ কার্ড ব্যবহার করে ১ম তাত যন্ত্রকে স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে 1822 খ্রিস্টাব্দে আসে কম্পিউটারে জগতের সব থেকে বড় এবং অভিনব পরিবর্তন ঘটে,যা আজকের যুগের আধুনিক বিজ্ঞানীরাও ফলো করে আসছেন, আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কার কথা বলছি। ঐ সময় থেকেই এক নতুন বিজ্ঞানীর আবির্ভাব ঘটে। যিনি কম্পিউটারের যুগে টেকনোলজি যুগে এক নতুন পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন, যার নাম চার্লস ব্যাবেজ অর্থাৎ কম্পিউটারের জনক। ওনি ১মে একটি কম্পিউটার বানিয়ে ছিলেন যার নাম ছিলো ডিফারেন্স ইঞ্জিন। এটাই ১ম কম্পিউটার যেখানে ১ম তথ্য সঞ্চয় এর ধারণা পাই, এবং এই কম্পিউটারটি অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে পারতো, সমস্ত রকম গানিতিক সমস্যা এবং বর্গ ও বর্গমূল খুব সহজেই ও দ্রুত ভাবে করা যেতো।
পরে চার্লস ব্যাবেজ এটিকে আপডেট করে আরেকটা কম্পিউটার বাজারে নিয়ে আসে যেটার নাম ছিলো এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন।
যেটি বাজারে এসেছিলো ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে, এই কম্পিউটারের সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ বর্গমূল খুব দ্রুত করা যেতো, এবং এতেও এক প্রকার পাঞ্চড্ কার্ড ব্যাবহার করে তথ্য সঞ্চয় করা হতো, যার সাহায্যে তথ্য সঞ্চয় করা যেত এবং এটা হচ্ছে বিশ্বের আরেকটি অভিনব কম্পিউটার যাতে ইনপুট প্রসেস আউটপুটের ধারণাটি প্রথম জানা যায়, তবে যন্ত্রপাতিরও অভাবজনিত কারণে চার্লস ব্যাবেজ এর পক্ষে এই যন্ত্রটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি, তারপরেই ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে আরেকটি কম্পিউটার আবিষ্কার হয়, যেটির নাম ছিলো হলারিথস ট্যাবুলেটর বা সেনসাস ডিভাইস...
এটি আবিষ্কার করেন হার্মান হলারিথ। এই যন্ত্রে ছিদ্রযুক্ত এক প্রকার পাঞ্চকার্ড ব্যবহার করে আমেরিকার জনগননা করা হয়েছিল। পাঞ্চ কার্ড এর সাহায্যেই তথ্যাদিসরবরাহ ও সংরক্ষণ করা হতো। এই যন্ত্রটি ছিলো সম্পন্ন স্বয়ংক্রিয়। যেটা নিজে থেকেই সমস্ত কাজ করতে পারতো।
আবার সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট হল কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। কারণ কম্পিউটারের এই অংশটি যেকোন সমস্যা নিয়ে কাজ করে। এবং ইনপুটের কাজ হল তথ্য অনুযায়ী নির্দেশনা নেওয়া। ইনপুট ডিভাইস যেমন কীবোর্ড মাউস ডিস্ক অ্যান্টেনা কার্ড রিডার ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি। .আউটপুট, অন্যদিকে, ইনপুটে প্রাপ্ত একটি সূচক ফলাফল হিসাবে প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার, প্রজেক্টর, হেডফোন, এগুলো হল কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস।
এবং পরবর্তী কালে এক বিশাল বড় মাপের কম্পিউটার আবিষ্কার হয়, যার নাম মার্ক-1...
যেটি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কার করা হয়, এবং আবিষ্কার করেছিলেন হাওয়ার্ড এইকেন, এবং এই কম্পিউটারটি বানানো হয়েছিল বাইনারী সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে। চার্লস ব্যাবেজের অসমাপ্ত কাজের বাস্তবায়ন এতে দেখা যায়। এটাই হলো ১ম ইলেকট্রনিকস মেকানিক্যাল কম্পিউটার। যা কম্পিউটারের জগতে টেকনোলজির জগতে এক তুমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। এসময় এটি খুবি জনপ্রিয় কম্পিউটার ছিলো, এবং পরবর্তী কালে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে জন মকলে ও প্রেসপার একার্ট একটি কম্পিউটার আবিষ্কার করেন, যেটির নাম ছিলো ইউনিভ্যাক। এবং এটি ছিলো পৃথিবীর ১ম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার। এবং তার পরেই বাজারে আসে একের পর এক কম্পিউটার। যা কম্পিউটারের জগতে তুমুল পরিবর্তন এনেছিলো। এবং যার নাম এখন বলে শেষ করা যাবে না। অর্থাৎ কম্পিউটারকে বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন চিকিৎসা ক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, শিল্পে নানা রকম ভাবে, নানা ভাবে কম্পিউটারকে আবিষ্কার করা হয়, এবং ব্যবহার করা হয়, যার সুফল আজকে আমরা ভুগ করছি।আমাদের জীবনে প্রতিদিন কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে আসছে,এটি খুব দরকার আমাদের সবার জন্য, প্রতিটা কাজে আমাদের দরকার পরে এই কম্পিউটার, এটাই ছিলো কম্পিউটারের সম্পূর্ণ ইতিহাস, যা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
আমি আমার দুই বন্ধুকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানালাম @waterjoe @emerson22
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Thank you so much
অনেক সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন।সত্যিই কম্পিউটার আমাদের জীবনের খুব জটিল সমস্যা গুলো খুব সহজেই সমাধান করে দিচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য 🥰
কম্পিউটার বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। কম্পিউটার এর ইতিহাস অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকেও এতো সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য 🥰
ওয়াও অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন কম্পিউটার নিয়ে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানা সম্ভব।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য 🥰