লেখক পরিচিতি
হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর। তিনি ছিল জনপ্রিয় নাট্যকার, গল্পকার, চলচ্চিত্রনির্মাতা। তার লেখা ছোটদের গল্প থেকে শুরু করে উপন্যাস, নাটক,চলচ্চিত্র সব কিছুই তিনি ছিলেন অনেক জনপ্রিয়। তিনি গান ও লেখতেন। তার মৃত্যু ২০১২ সাল ১৯ জুলাই।
Source
আজ আমি কথা বলব বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের রাক্ষস খোক্ষস এবং ভোক্কস নিয়ে। এখানে মূল গল্প টা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
তবে শুরু করা যাক,
ভোক্কস বই খাচ্ছে। আর লেখক দেখছে।
এই গল্পের লেখক নিজের দৈনন্দিন জীবনের কথা বলেছে তবে এই গল্পে ভোক্কস নামের এক লোকের সাথে দেখা হয়। যে নিজেকে ভোক্কস বলে দাবি করে ভোক্কস হলো রাক্ষসের মতো তবে তারা মানুষদের সাহায্য করে। তারা মানুষের কোন ক্ষতি করে না। সে ভোক্কস নামের লোকের স্বভাব কিছু টা সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা। সে পত্রিকায় কোন ভুল দেখলে বা কোন লেখা তার পছন্দ না হলে সে সেই কাগজ খেয়ে ফেলেন। সে কথা কম বলে লেখক তাকে পত্রিকার কাগজ খেতে দেখেন প্রথম। লেখক অনেকটা অবাক হয়ে তার সাথে কথা বলতে যান তবে সে তেমন কথা বলে না। লেখক তার কাছে পরের দিন জানতে পারে সে বাংলাবাজার প্রকাশনার একজন প্রুফ রিডার। এটা শুনে আরো অবাক হয়ে যান। লেখক বাংলাবাজারে প্রকাশক সোবহান সাহেব থেকে তার সম্পর্কে আরো কিছু কথা জানতে পারে তার নাকি বাংলা ডিকশনারি মুখস্থ। পরের দিন লেখক বাংলা ডিকশনারি নিয়ে গেলেন পরীক্ষা করতে। কিছু শব্দ জিগেস করতেই সে সাথে সাথে উত্তর দিয়ে দিলো। ভোক্কস বলে তার বয়স নাকি ৬ হাজার বছরের থেকে বেশি এটা শুনে লেখক তাকে বদ্ধ উন্মাদ মনে করতে থাকে। লেখক সেখান থেকে চলে যায়।
একদিন ভোক্কস এক পুলিশের নোট বুক খেয়ে ফেলায় তাকে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।লেখক তখন কাশফুল দেখতে বের হতে চেয়ে ছিলো তখন এই লোক এসে এই কথা গুলো বলে তার কাছে ভোক্কস এর সাহায্য চায়। পরে জানতে পারে ওই লোক সোবহান সাহেব। লেখক চিন্তায় পড়ে যায় তাকে চিন্তিত অবস্থায় দেখে শাওন মানে লেখকের স্ত্রী বলেন যে সে ব্যাপার টা দেখছে। লেখক তার স্ত্রী শাওন আর তার ছেলে নিষাদ গেলেন। তারা ঘুরে বাড়ি ফিরেছে সন্ধ্যায়। বাড়ি ফিরে দেখে ভোক্কস তার বাড়ির সামনে তাকে ভিতরে নিয়ে চা আর চানাচুর খেতে দিলেন কিন্তু ভোক্কস কিছুই খায়নি। সে বসে আছে। তাকে বিদায় দিয়ে লেখক শাওয়ার নিতে চলে গেলেন। শাওয়ার নিয়ে এসে দেখে ভোক্কস এখানেই বসে আছে তবে নিষাদ তার সাথে বসে আছে তাকে চানাচুর থেকে বাদাম খাওয়াচ্ছে একটুপর পানি খাওয়াতে গিয়ে ভোক্কসের উপর ফেলে দিলো পানি।
নিষাদের বয়স ২ বছর ৭ মাস কিন্তু সে এখন সব কথা বলতে পারে। নিষাদের সাথে ভোক্কসের ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। নিষাদ তার কাছে আবদার করে যে বেলুন কিনে দিতে ফ্রুটিকা কিনে দিতে। তখন বাজে ১২ টা ১০ মিনিট তখন ভোক্কস এগুলো নিয়ে এসেছে। এতে লেখক কিছুটা বিরক্ত হয়।
নিষাদ আর ভোক্কস খেলছে।
একদিন লেখক নুহাশ পল্লিতে যাবে ওইদিন ভোক্কস তাদের বাড়ি এসে হাজির আর নিষাদ বলে উঠলো যে ভোক্কস মামা ও আমাদের সাথে যাবে। ভদ্রতার জন্য লেখক তাকে যাওয়ার কথা জিগেস করলে সে বলে যাবে। খুব বিরক্ত নিয়েই তাকে নিয়ে যাচ্ছে নুহাশ পল্লিতে। নিষাদ আর ভোক্কস নামলো সুইমিংপুলে ভোক্কস নামায় শাওন মানে লেখকের স্ত্রী আর নামলো না সে বলল সে এই বাইরের মানুষের সামনে নামবে না। লেখক ও আর নামলো না। এক ঘন্টা নিষাদ ভোক্কসের সাথে খেলা করে উঠে আসলো সুইমিংপুল থেকে। ভোক্কস বলে উঠলো
- আমি যাই তাহলে
- যাই মানে কোথায় যাবেন?(লেখক)
- ঢাকায় যাবো।
- কিভাবে যাবেন?(লেখক)
- হেটেঁ যাবো।
- ৫০ কিলোমিটার আপনি হেটেঁ যাবনে?(লেখক)
- হ্যাঁ।
সে ওই ভিজা জামা কাপড় নিয়ে ই চলে গেলো। ব্যাপার টা ভেবে খারাপ লাগছে লেখকের কারন সে খায়নি কিছু। রাতে ফিরে আসে ভোক্কস সে বলে নিষাদের জন্য নাকি তার মন খারাপ করছিলো তাই।
তার কিছুদিন পর জানা যায় ভোক্কস কে ধরে নিয়ে যায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে তার একবছর জেল হয়। তাকে ওখানে মানুষরা ধরে মারধর করে। তাকে লেখক দেখতে যায় গিয়ে দেখে সারা শরীরে ব্যান্ডেজ ছিল।
জেলে ১ বছর হয় ৮ মাসে।
সে ছাড়া পেয়ে নিষাদের সাথে দেখা করতে আসে। দারওয়ানকে লেখক বলে দেয় ভোক্কস আসলে যেন তাকে বলে যে সে বাসায় নেই। ভোক্কসের সাথে আবার অনেক দিন পর দেখা হয় সেই একি জায়গায় যেখানে তার সাথে ভোক্কসের প্রথম পরিচয় হয়। লেখকে বলে আমি আপনার বাসায় এই কয়দিনে ১৮ বার গিয়েছিলাম আপনার দারোয়ান বলল আপনি বাসায় নাই কিন্তু এখন দেখছি আপনি এখানেই আছেন। লেখক কিছুটা লজ্জায় পেলো কিন্তু পরে সে বুঝিয়ে বলল। নিষাদকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলো কিন্তু তার মা খুব চিন্তায় থাকে তাকে না ভোক্কস নিয়ে যায়। হঠাৎ একদিন নিষাদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। সে সবাই মিলে খুঁজাখুঁজি শুরু হয়েছে।
সবাই অনেক মন খারাপ হয় দিন শেষে দেখা যায় নিষাদকে নিয়ে ফিরে আসে ভোক্কস। তাকে নাকি পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তাকে রিমান্ডে দেয় কিন্তু সে কোন কথায় বলে না। ভোক্কস কে সেখানে দেখতে যায় লেখক তখন লেখকে ভোক্কস বলে যে নিষাদকে এক দুষ্টু মহিলা ধরে নিয়ে গেছিলো এক ভোক্কস তাকে পায় এবং তার কাছে দিয়ে যায় সে নিয়ে আসে বাসায়।
এখানেই শেষ হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ননা করা হয়েছে।
আমার মতামত
আসলে হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়ে বলার কিছুই নেই। তিনি অসাধারণ লিখেন এই বইটি ছোটদের জন্য লেখা। এই বইয়ে এমন ভাবে কিছু তথ্য লিখে দিয়েছেন একটা বাচ্চা যখন পড়বে তারপর কিছু প্রশ্ন ও আছে সে গুলো উত্তর দিবে এমনেই মাথায় ঢুকে যাবে। যেমন, এমপিদের প্রধান কাজ,ইংরেজি লেখকের নাম, বৃত্তের ৩৬০ ভাগের এক ভাগ কে কি বলে ইত্যাদি। তার লেখার ধরনে বাচ্চারা ধরতে পারবে না ভোক্কস আছে কি নাই। বইটির নাম শুনে রূপকথায় গল্প মনে হলেও আসলে এখানে রূপকথার কিছুই নেই। বইটি পড়ে দেখতে পারেন। গল্পে অন্যরকম কিছুর স্বাদ পাবেন। ভোক্কস শব্দটা আমি এই বই থেকে শুনেছি। এখানে সকল ব্যবহারকৃত ছবি পিডিইফ থেকে নেওয়া।
বই নিয়ে কিছু কথা -
বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৫। বই টি আপনি অনলাইন থেকে ক্রয় করতে পারেন আবার কিছু ঘাটাঘাটি করে ফ্রিতে পেয়ে যাবেন আমি যেই লিংক টি দিয়েছি সেই পিডিইফের কয়েকটা পাতার লেখা অস্পষ্ট। বইটি বড় ছোট সবাইকে লেখক পড়তে বলেছেন।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
"আসসালামু আলাইকুম"
Onek sundor post korechen. Book review o valo hoyeche. Keep it up.
ধন্যবাদ😇😇
You are welcome
সুন্দর লিখেছো।
ধন্যবাদ ভাই😇😇
গল্পের নাম শুনেই বাচ্চারা আনন্দ পাবে। ভালো রিভিউ ছিল।
হুম ধন্যবাদ😇😇
সুন্দর লিখেছেন।
Thank you😇😇
Khub sundor hoeace
Thank you vai😇😇
সুন্দর লিখেছেন আপি। ছোটবেলায় রাক্ষস খোক্ষসের গল্পের বই অনেক পড়তাম।
অনেক সুন্দর লাগলো পোস্টটা পড়ে ❤️
ধন্যবাদ ভাইয়া😇😇
Most welcome 🙂