ঘুম ভাঙে সকাল ৭ টার দিকে। উঠে শুনলাম আম্মু আর আব্বু নাকি আজকে করোনার টিকা দিতে যাবে। ২য় টিকা দিতে যাবে। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আব্বুর সাথে কথা বলছিলাম,টিকা দেওয়ার ডেট তো আগেই চলে গেছে এরপর কোন সমস্যা হবে নাকি। আব্বু বলল না এখন টিকা দেওয়ার কর্মসূচি চলছে শুধু নিবন্ধনের কাগজ থাকলেই হবে এক সাথে নাস্তা শেষ করলাম। আম্মু আমার জন্য নুডুলস রান্না করছিলো আর আব্বুর জন্য রুটি বানিয়ে ছিলো খাওয়া দাওয়া শেষ করি। আব্বু আর আম্মু রেডি হয়ে বের হয়ে যাবে হঠাৎ আমি বলে উঠলাম তোমাদের নিবন্ধন কাগজ কই। এরপর এক কান্ড তারা খুঁজাখুঁজি শুরু করছে কোথাও পাচ্ছে না তারপর পাওয়া গেলো এক ফাইলে। আম্মু বলে আমি যাতে সব কিছু গুছিয়ে রাখি। যথারীতি আমি বিছনা গুছিয়ে নিজের ঘরে বসে জাপানিজ কার্টুন

আম্মুরা টিকা দিয়ে বাসায় আসে ১২ টার সময়। ওখানে নাকি অনেক মানুষ। থাকাটাও স্বাভাবিক কারন বাংলাদেশ সরকার নিয়ম করেছে টিকা না দিলে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। আব্বু বলল ওখানে এতো মানুষ হওয়া সত্যিও মোটামুটি সবাই খুব তাড়াতাড়ি টিকা নিতে পারছে। আব্বু আমারে বলল, যদি তোমাদের টিকা নিতে বলে তুমি নিয়ে নিও।

হঠাৎ এক ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বলতেছে যে আমাদের জন্যও নাকি খুব তাড়াতাড়ি সরকার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিবে। কথা শেষ করে ফোন কেটে দিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পরছিলাম সেটাই বুঝতেই পারি নাই। আম্মু ডেকে উঠালো দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। খাওয়া শেষ করে স্টিমিটের কিছু কাজ করলাম।

বিকালে বের হয়েছিলাম একটু বাইরে আসলে সারাদিন ঘরে বসে থাকতে একটা বিরক্ত কাজ করে। যদিও ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঘরে বসে থাকতে হয়।আমার বাসার কাছেই এক বান্ধবীর বাসা সেখানে গেলাম । ওদের সাদে বসে প্রায় ঘন্টা ২ আড্ডা দিলাম গান শুনতেছিলাম। সন্ধ্যার আযান দিলো আমি নিজের বাসায় এসে পড়লাম। আশার সময় আব্বুর জন্য কিছু কিনে বসায় ঢুকলাম। আমার আব্বুর জন্য চকলেট নিলেও আব্বু যে খুশি হয়। তাই টুকটাক জিনিস নিয়ে প্রায় বাসায় ঢুকি।

সন্ধ্যা আব্বু নাস্তা নিয়ে আসছিলো। আমি আর আব্বু নাস্তা খেয়ে কথা শেষ করে। উঠে কিছু কখন গেম খেলে। এই পোষ্ট লিখা শুরু করলাম।