The Diary-Game 29-08-2022

in Steem Bangladesh2 years ago

IMG_20201126_153610.jpg

My Diary-Game

আসসালামু আলাইকুম,

আজ অফিসে মাসিক মিটিং ছিল। আবার আমারও ওয়াইফের এটা ওয়ার্কশপ ছিল কক্সবাজার লং বিচ হোটেলে সকাল দশটা থেকে। আমার অফিস শুরু হয় সকাল ৯ টায়। তো তাদেরকে যেহেতু ওয়ার্কশপে দিয়ে আসতে হবে তাই বাসা থেকে একটু দেরিতে বাহির হলাম। ৯:৩০ মিনিটে সময় ঘর থেকে বাইর হই। বরাবর দশটায় লং বিচ হোটেলের সামনে গাড়ি থেকে নামি। ঠিক ওই সময় আমার ওয়াইফের মোবাইলে কল আসে, যারা ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে তাদের পক্ষ থেকে। মূলত আমরা আসলে আমি না মানে আমার ওয়াইফ ওয়ার্কশপে আসতেছে কিনা সেটা জানতেই কল করা। সে জানালো আমরা হোটেলে নিচে আছি দোতালায় আসতেছি।

তাদেরকে হোটেলে দিয়ে এসে নিচে নামলাম। নিচে নামতেই দেখি লিটন দাদা। ওনিও ওয়ার্কশপে আসতেছিল। দেখে আমাকে ডাক দিল চা খাওয়ার জন্য অফার করলো। দুজনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চা খেলাম। চা খেয়ে অফিসে ঢুকতে ঢুকতে দেখি প্রায় ১০.৩০ মিনিট। এরই মধ্যে অফিসের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট এর দুইজন আমার রুমে আমাকে খুজে গেছে। আমি যখন অফিসে উঠতে ছিলাম তখন সহকারি পরিচালকের সাথে সিড়িতে দেখা। সালাম দিলাম পরিচালক বলল এতক্ষণে। যেহেতু আমি লং বিচ হোটেলে গিয়েছিলাম তাই আসতে দেরি হয়ে গেল সেটা পরিচালককে জানালাম। যেহেতু মিটিং ছিল আমার তো সকল উপজেলা অফিসাররা অফিসে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।

আমাদের প্রতি মাসে একটা নিয়ম আছে সেটা হচ্ছে কেউ যদি দেরি করে আসে তাকে সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসতে হয়। আমি রুমে ঢুকে সবাই বলাবলি করতে ছিল আজকে ভাইয়াকে নাস্তা করাইতে হবে দেরি করে আসছে। আমি কিছু বললাম না আমাদের মিটিংয়ে একটা বাজেট থাকে নাস্তা এবং দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য। সে বাজার থেকে ইতিমধ্যে নাচতে আনতে পাঠানো হয়েছে আমি আসার আগেই। তা আমাদের আরেকজন দেরি করে আসে সে নিজ দায়িত্বে সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসে।

নাস্তা হিসেবে পেঁয়াজু এবং সিঙ্গারা আনা হয়। যেহেতু অফিস থেকেও আনা হয়েছে এবং একজন অফিসারও নিয়ে এসেছে তো নাস্তা বেশি হয়ে গেছে। যে যা পারে খেলো। নাস্তার পর্ব শেষ হওয়ার পর মার্ঠ পর্যায়ে অফিসাররা যে কাজ করেছে সেগুলোর বিল ভাউচার হিসাব অফিসারের কাছে জমা দেওয়া শুরু হয়। এভাবে মূলত সকালটা পার হয়।

প্রায় খাওয়ার টাইম হয়ে এসেছে দুপুরের কিন্তু কিন্তু মিটিং এর মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি। অ্যাকাউন্টস অফিসার কে জিজ্ঞেস করলাম সবার কাগজপত্র জমা নেয়া হয়েছে কিনা তিনি জানালো নেয়া হয়েছে। সবাইকে বললাম মিটিং শুরু, বেশি সময় নেবে না ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করব। তারপরে খেতে যাব সবাই। আমরা মূলত সবাই কাজ করছি এনজিওতে। এনজিওতে দুই ধরনের কাজ হয় একটি হচ্ছে প্রকল্প ভিত্তিক আরেকটি হচ্ছে মাইক্রো ক্রেডিট। আমরা কাজ করে মূলত প্রকল্পে।

প্রকল্পের মাসব্যাপী যে কাজগুলো হয় সেগুলো নিয়ে আমরা মাসের শেষে একটা মূল্যায়ন মিটিং করি এবং পরবর্তী মাসের কাজগুলো কিভাবে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করি। আলোচনা শুরুতে যেসব কাজ মাঠ পর্যায়ে এখনো বাকি রয়ে গেছে সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করি এবং চলতি মাসে যে কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে সেই কাজগুলোর কোথায় ভুলত্রুটি ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে আমরা খেতে যাই রান্নাঘর রেস্তোরায়। আমাদের আসলে প্রকল্পের বাজেট খুবই কম। হোটেলে খেতে গেলে মোটামুটি প্রতিজনের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিল হয় কিন্তু আমাদের সর্বমোট বাজেট হচ্ছে দেড়শ টাকা সকালের নাস্তা সহ। আমরা খেতে গেলাম বিল হলো টোটাল ১৬০০ টাকা কিন্তু আমাদের ১১ জনের খাবার বিলের বাজেট আছে ১৬৫০ টাকা। সাতজনে মিলে আমরা ১১ জনের খাবার যে বিল আসে সে পরিমাণ খাবার খেয়ে ফেলেছি। আসলে খুব বেশি যে খেয়েছি বিষয়টা সেরকম না। সবাই চিকেন বিরিয়ানি খেল এতেই ১৬০০ টাকা বিল চলে এসেছে।

অফিসে এসে হিসাব বিভাগে যখন বিল জমা দিলাম হিসাব কর্মকর্তা বিল দেখে চমকে উঠল। বলতে লাগলো ১১ জনের খাবার আপনারা সাত জনে খেয়ে ফেলেছেন ১১ জনের বাজেট হলে ১৬৫০ আর আপনারা সাতজন মিলে ১৬৫০ টাকা বিল করেছেন। এভাবে দুপুরের খাবারটা শেষ হলো। মিটিং মোটামুটি শেষ আমি খাওয়ার শেষে আবার আমার ওয়াইফকে আনতে যেতে হবে। তার ওয়ার্কশপ শেষ হওয়ার কথা তিনটা ৩০ মিনিটে। আমি তাকে ফোন দিলাম প্রথমবার সে ফোন রিসিভ করে নাই, পাঁচ মিনিট পর আবার কল দেই তখন সে ফোন ধরে। একটু পরে শেষ হবে জানায়। আমি চারটার সময় রওনা দিলাম। আমি পৌছার পাঁচ মিনিট পর মিটিং শেষ হলো ওয়ার্কশপ শেষ হলো। তাদেরকে নিয়ে আমার অফিসের নিচে আসলাম। আমরা বাসা পরিবর্তন করার জন্য একটা বাসা দেখার কথা। সে বাসাটা দেখতে গেলাম তাদেরকে নিয়ে কিন্তু যে বাসা দেখব সে বাসায় তালা মারা। তাই আর দেখা হলো না। ছেলে এবং বউকে রিকশা করে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম। আমি আবার অফিসে ঢুকে গেলাম। সাধারণত আমাদের অফিস শেষ হয় পাঁচটায় কিন্তু আমরা কখনো পাঁচটার সময় অফিস থেকে বাইর হইতে পারি না। পাঁচটা ত্রিশ চল্লিশ, ছয়টা সাড়ে ছয়টা বাজে।।তো কালকে আমার হিসাবরক্ষক একটু অসুস্থ ছিল তাই সে জাস্ট পাঁচটার সময় বাইর হয়ে যায়। তার দশ মিনিট পর আমি চলে আসি বাসায়। বাসায় এসে নাস্তা করলাম আর বাহির হই নাই, বাসায় ছিলাম।

IMG_20210223_225008.jpg

সন্ধ্যাটা আবার বাচ্চার সাথে দুষ্টামি করে কাটালাম। রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম এভাবে দিনটা কাটলো।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 years ago (edited)
কমপক্ষে ৩-৪ টি ছবি এড করবেন এবং প্রতিটি ছবিতে লোকেশন দিবেন। ধন্যবাদ

Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .

Club StatusClub75 ✅
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
Delegation
#Burnsteem25


Polish_20201009_015638739.jpg

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:

ধন্যবাদ। সামনে থেকে মেনে চলব।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56998.67
ETH 2405.23
USDT 1.00
SBD 2.28