Steem bangladesh contest // book review 📚 //"পথের পাঁচালী" বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় // by @hayat221 ll 31-05-2021

hayat221 (63)Verified+Delegation [250sp]in Steem Bangladesh • 3 years ago

𝐇𝐞𝐥𝐥𝐨!!

𝐦𝐲 𝐝𝐞𝐚𝐫 𝐟𝐫𝐢𝐞𝐧𝐝𝐬

𝐓𝐡𝐢𝐬 𝐢𝐬 @𝐡𝐚𝐲𝐚𝐭221 𝐟𝐫𝐨𝐦 𝐢𝐧 🅑︎🅐︎🅝︎🅖︎🅛︎🅐︎🅓︎🅔︎🅢︎🅗︎

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজকে "Steem bangladesh" কর্তৃক আয়োজিত "book review "কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।

আজকে আমি‌ "পথের পাঁচালী" বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাসটি রিভিউ করতে যাচ্ছি।

Source

পথের পাঁচালী হলো প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলার গ্রামে দুইভাই বোন, অপু আর দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়েই
এই বিখ্যাত উপন্যাস। এই উপন্যাসের ছোটদের জন্য সংরক্ষণটির নাম আম আঁটির ভেঁপু।

বইটির বিবরণ :

লেখক:	বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
দেশ:	ভারত

ভাষা:	বাংলা
ধরণ:	পারিবারিক কাহিনী

প্রকাশক:	রঞ্জন প্রকাশলয়
প্রকাশনার তারিখ:	১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে

পৃষ্ঠা সংখ্যা:	২৫
পরবর্তী বই:	অপরাজিত

উপন্যাসটির খন্ড:

সমগ্র উপন্যাসটি তিনটি খন্ড ও মোট ৩৫ টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। খন্ড তিনটি যথাক্রমে:-

১. বল্লালী বলাই।
২. আম আঁটির ভেঁপু।
৩.অক্রূর সংবাদ।

বল্লালী বলাই:

বল্লালী বালাই (পরিচ্ছেদ ১-৬ ) ইন্দির ঠাকরূনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

আম আঁটির ভেঁপু:

আম-আঁটির ভেঁপু (পরিচ্ছেদ ৭-২৯ ) অপু-দুর্গার একসাথে বেড়ে ওঠা, চঞ্চল শৈশব, দুর্গার মৃত্যু, অপুর সপরিবারে কাশীযাত্রা চিত্রিত হয়েছে।

অক্রূর সংবাদ:

অক্রূর সংবাদ (পরিচ্ছেদ ৩০-৩৫ ) অপুদের কাশীজীবন, হরিহরের মৃত্যু, সর্বজয়ার কাজের জন্য কাশীত্যাগ এবং পরিশেষে নিশ্চিন্দিপুরে ফিরে আসার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।

উপন্যাস বইটির ইতিহাস:

এটি প্রথম ১৯২৮ সালে কলকাতার পত্রিকায় ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হয়। এবং পরের বছরে একটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল লেখক এর প্রথম লেখা প্রকাশিত উপন্যাস।

উপন্যাসের কাহিনী:

হরিহর রায়, খুব ভাল ব্রাহ্মণ নন, নিশিন্দিপুর গ্রামে থাকেন। ইন্দিরা ঠাকুর, একজন বৃদ্ধা বিধবা মহিলা, যার দেখাশোনা করার জন্য কেউ ছিলনা। তিনি হরিহরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়, যে দূর সম্পর্কের আত্মীয়। কিন্তু হরিহরের স্ত্রী সর্বজয়া একজন খারাপ মেজাজের মহিলা, তিনি বৃদ্ধ মহিলাকে দেখতে পারেন না। তাই বৃদ্ধাকে বসবাস করার জন্য একটি কুঁড়েঘর দেওয়া হয়। তবে সর্বজয়া ছয় বছরের মেয়ে দুর্গা, ইন্দিরা ঠাকুরকে খুব ভালোবাসে। এবং রূপকথার গল্প শোনার জন্য তার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে।

কিছুদিন পর সর্বজয়ার একটি পুত্র সন্তান হয়। সর্বজয়া ইন্দিরা ঠাকুরকে হিংসা করতে থাকে কারণ তিনি মনে করেন যে, দুর্গা তার মায়ের সে বৃদ্ধাকে বেশি
ভালোবাসে। তাই ইন্দিরা ঠাকুরকে সামান্য কারণে নির্মমভাবে কুঁড়েঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। অসহায় বৃদ্ধা তার মৃত্যুর জন্য অসহায়ত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় যেন বাড়ি থেকে তাকে বার করে না দেয়। তার পরেও সর্বজয়া মেনে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধা চালের গুদামে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

৪-৫ বছর পর, ছেলে অপু প্রকৃতির সৌন্দর্য ও রহস্যের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হতে থাকে। সে এবং তার বোন দুর্গা সর্বদা নতুন কিছু দু:সাহসিক কাজের জন্য বাইরে ঘুরতে বের হতে থাকে। যেমন: জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো, আদিবাসীদের খেলায় অংশগ্রহণ এবং গোপনে ফুল ও ফল পাড়া। অপু গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হয়,যেখানে গ্রামের অনেক প্রবীণ জড়ো হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে সময় কাটাত। অপুকে একদিন তার বাবা এক মক্কেলের বাড়িতে নিয়ে যায়। অপু এই প্রথম বাইরের জগতের ঝলক দেখতে পায়, যা তার মনকে আনন্দ ও উত্তেজনায় ভরিয়ে দেয়। গ্রাম্য উৎসব, মেলা এবং যাত্রা ইত্যাদি গ্রাম্য জীবনের একচেটিয়া প্রবাহে বৈচিত্রে নিয়ে আসে। দুর্গা অস্থির, কিন্তু নির্দোষ মেয়ে, হঠাৎ করে মারা যায় এবং পুরো পরিবারকে শোকে ডুবিয়ে দেয় এবং ভাইকে একা করে চলে যায়। হরিহর দীর্ঘসময়ের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যায় জীবিকা অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে সংরাম করতে থাকে। বাড়ি ফেরার পর হরিহর নিশ্চিন্দিপুর ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারা সব গোছগাছ করে রেলওয়ে স্টেশনে যায়। ট্রেন ছারলে নিশ্চিন্দিপুর যাওয়ার জন্য তারা ট্রেনে উঠে পড়ে ও পিছনে চিরকালের মতো তাদের সুখ দুঃখের স্মৃতি রেখে যায়।

উপন্যাসের চরিত্র:

অপু ও দুর্গা তারা হচ্ছে দুই ভাইবোন। তার বাবা হরিহর ছিলেন একজন সৎ মানুষ, অন্যদিকে তার মা সর্বজয়া খুবই ভয়ংকর মানুষ। এক বৃদ্ধা মহিলা তার কাছে আশ্রয় চেয়েছিল সে পর্যন্ত দেয়নি । কেননা সে একজন মেয়ে হয়ে অন্য এক বৃদ্ধা মহিলাকে সহ্য করতে পারে না। অপু ও দুর্গা দুই ভাইবোন, দুজনেই ছিল কিছুটা আলাদা। যেমন: অপু তার গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিল। অন্যদিকে দুর্গা সারাদিন ঘুরে বেড়াতো। সারাদিন বন জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতো। আদিবাসীদের সাথে খেলাধুলায় অংশ নিতে। যখন অপু ও তার বোনের এসব দেখে এবং বাহিরের জগত দেখে সেও উত্তেজনায় পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তার বোন দুর্গা মারা গিয়েছিল। তখন সে একা হয়ে গিয়েছিল।