ঐতিহ্যবাহী তালের বড়া।
তালের বড়া। নামটি শুনতে হয়তো একটু কেমন কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু। বিশেষত বাংলাদেশে যারা বাস করেন তারা সহজেই এই খাবারটিকে চিনতে পারবেন। তালের রস দিয়ে তৈরি একটি অসাধারণ খাবার এটি।
শহর বা গ্রাম এই খাবারের ক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ নেই। তালের সময় আসলেই শহরে যেমন তালকুর খাওয়ার জন্য তাল কিনতে পাওয়া যায় তেমনি তালের বড়া খাওয়ার সময় আসলেও ঠিক একইভাবে শহরের বাজারে তাল পাওয়া যায়। এটি গরম গরম তেলে ভাজা বা তার দুই -তিন দিন পরেও খেতে ভালো লাগে এবং ভালোও থাকে নষ্ট হয়ে যায়না। অনেকে গরম আবার অনেকে তালের বড়া বাসি খেগে পছন্দ করে।
তালের বড়া তৈরি করতে যা যা লাগবে....
১। পাকা তাল।
২। চাল বা গমের আটা।
৩। চিনি।
৪। লবন
৫। তেল
তালের বড়া তৈরি করতে যা যা করতে হবে.....
প্রথমে তালের ওপরের অংশ বা চামড়া ভালো ভাবে তুলে নিতে হবে। একটি পরিষ্কার হলে অল্প সামান্য পানি নিয়ে (আপনি না চাইলে পানি নাও নিতে পারেন সেটা আপনার ইচ্ছা তবে পানি নিলে তালের রস বের করা সুবিধা হয়) তাল থেকে সম্পূর্ণ রস বের করে নিবেন। রসের পরিমান অনুযায়ি চাল বা গমের আটা, চিনি এবং সামান্য পরিমানে লবন দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিতে হবে। আটা এমন ভাবে মাখতে হবে যেন খুব ঘন না হয় আবার পাতলাও না হয়। এবার কড়াই একটু বেশি পরিমানে তেল দিয়ে ভালো ভাবে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে ছোট ছোট বল তৈরি করে তেলে দিয়ে দিতে হবে এবং ভেজে তুলতে হবে। তালের বড়া আরো সুস্বাদু করতে তালের গোলার সাথে নারকেল যোগ করতে পারেন তাহলে তালের বড়া খেতে আরো বেশি মজা হবে।
তালের বড়া একটি মৌসুমি খাবার। সাড়া বছর এই খাবারটি খাওয়া যায়না। কারণ বছরে একবারই তাল ধরে তাই তাল পাকার নির্দিষ্ট মাস ছাড়া পাকা তাল পাওয়া যায়না। বাংলাদেশে বাংলা মাস ভাদ্র- আশ্বিন মাসে তাল পাকে। তাই সবাই এই সময়টিতেই বেশি তালের বড়া খেয়ে থাকে।
আজকে আমার বাসায় তালের বড়া তৈরি হয়েছে। এই বছরে যারা এখনও তালের বড়া তৈরি করেননি তারা আমার রেসিপি দেখে সহজেই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু মচমচে তালের বড়া।