কলেজ লাইফের দিনগুলো।
আমি এসএসসি পাস করি দুই হাজার সতেরো সালে। এসএসসি পাস করার পর আমাদের উপজেলার মহিলা কলেজে আমি ভর্তি হয়। ফাস্ট ইয়ার পড়াশোনার তেমন চাপ ছিলনা। সারাদিন কলেজে ক্লাস করতাম, ইংরেজি প্রাইভেট পরতাম, বাসায় আসতাম। আমি প্রথম তিন মাস পড়াশোনা করি মনোযোগ দিয়ে কিন্তু তারপর থেকে সম্পূর্ণ ফাস্ট ইয়ার আর তেমন মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা হয়না।
মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা না করার কারণে ইয়ার ফাইনালের রেজাল্ট অনেক খারাপ হয় যা আমার কল্পনারো বাইরে। আমি ফাস্ট ইয়ারে মাত্র একটি মাত্র স্যারের কাছে পড়লেও সেকেন্ড ইয়ারে উঠে চারটা স্যারের কাছে পড়তে শুরু করি। এমনতবস্থায় বাড়ি থেকে চারটা টিউশনে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়না। আমি সারাদিন কলেজে ক্লাস করে, প্রাইভেটে গিয়ে, রাস্তায় জার্নি করে বাসায় এসে অনেক ক্লান্ত হয়ে যেতাম এবং বেশি রাত জেগে পড়তে পারতাম না ঘুমিয়ে যেতাম।
আমার আব্বুকে আমি বলি যে এভাবে চলতে থাকলে আমি গতবারের মতোই খারাপ রেজাল্ট করবো। আমার আব্বু কোনো উপায়ন্তর না দেখে আমার কলেজের কাছেই একটি মহিলা হোস্টেলে রেখে আসে। মহিলা হোস্টেলে আমার শুরু হয় এক অন্য রকম জগৎ দিয়ে। আমি নিজের রুটিন করে নিই এবং সে অনুযায়ি পড়াশোনা শুরু করে দিই। হোস্টেলে উঠার পর আমাকে জার্নি করতে হতোনা আমি ক্লান্ত হতাম না তাই খুব ভালোভাবেই নিজের পড়াশোনাটা এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করি।
হোস্টেল লাইফটা আমি আমার মতো করে অনেক অনন্দের সাথে পার করি। পড়াশোনাটা যেমন গতি পায় আমার জীবনটাও তেমনি নতুন জীবন পায়। আমার অনেক বান্ধবী হয় তারা সবাই আমার ক্লাসমেট না হয় বেচমেট তাই আমার কোনোই অসুবিধা হয় না। তারা ভীষণ ভালো ছিল আমাকে অনেক সাহায্য করতো এবং আমিও তাদের সাহায্য করতাম বিশেষত পড়াশোনার ক্ষেত্রে। আমার রুমমেট সে সবার থেকে আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠে।
আমার পরিক্ষা হয়ে গেল আমরা সবাই হোস্টেল থেকে চলে আসলাম। শুধু নিয়ে আসলাম একসাথে থাকাকালীন সব স্মৃতি গুলো। খুব মিস করি একসাথে থাকা সময়গুলো। জীবনের বাস্তবতা হয়তো অনেকদূর নিয়ে চলে এসেছে কিন্তু এখনও সেই বন্ধুদের স্মৃতি বয়ে বেড়াই। কখোনো যদি সুযোগ হয় অবশ্যই আবার এক হবো আমরা সবাই।
unfortunately I can not understand your language ... I was passing by and I leave you a greeting